Dhaka ০২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

সেভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে কোপা দেল রে’র ফাইনালে বার্সা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • ১১৭ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক:

প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারলেও, ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে নেমে সেই সেভিয়াকে ঠিকই হারালো বার্সেলোনা। শুধু হারালোই না, লা লীগার ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হারানো সেভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়েই কোপা দেল রে’র ফাইনালে উঠেছে বার্সা। 

অতিরিক্ত টাইমে গড়ানো ম্যাচে জেরার্ড পিকের নাটকীয় গোলে এ নিয়ে গেলো ৭ মৌসুমে ষষ্ঠবারের মতো কোপা দেল রে’র ফাইনালের টিকিট কাটলো কাতালানরা। আর সেইসঙ্গে চলতি মৌসুমে অন্তত একটা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো বার্সেলোনা।

ভাঙাচোরা একটা দল। মাঠের বাইরেও কতো ইস্যু! গুছিয়ে উঠতে হিমশিম খায় বার্সেলোনা। যার জন্য খেলা, সেই ট্রফিগুলো থেকে যায় নাগালের বাইরে। কোপা দেল রে’র শিরোপার স্বপ্নটাও ধূসর হয়ে আসছিলো। কিন্তু, ক্যাম্প ন্যু’তে নায়কের বেশে আবির্ভূত হলেন জেরার্ড পিকে। ম্যাচের শেষ মিনিটে গল্পটা বদলে গেলো স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের ম্যাজিক্যাল স্পর্শে।

প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা সেভিয়ার আশা ছিল যে কোনও মূল্যে ফাইনালে ওঠা। শুরু থেকে ডি-বক্স আগলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় লস পালাঙ্গানারা। আগলে রাখা ডি-বক্সে ফাটল ধরালো ডেম্বেলের বুলেট গতির শটটা। ১২ মিনিটে বার্সা এগিয়ে গেলো ১-০ গোলে। ফাইনালে যেতে আরও গোল চাই। কাতালানরা লিওনেল মেসির জাদুর অপেক্ষায়। ৩৩ মিনিটে গোললাইন থেকে বল ফিরলে আফসোসে পুড়তে হয়।

দ্বিতীয়ার্ধেও পেরোয় অনেকটা সময়। দ্বিতীয় গোলটা রয়ে যায় অদেখা। ৬৭ মিনিটে জর্ডি আলবা ফেরেন ক্রসবার কাঁপিয়ে। কাতালানদের কাঁপুনি বাড়িয়ে ৭১ মিনিটে সেভিয়ার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু, ত্রাতা আন্দ্রে স্টেগানের বিশ্বস্ত গ্লাভসে আটকে যায় ওক্যাম্পোসের স্পট কিকটি।

বড় দলের সঙ্গে অন্যদের তফাৎটা তো এখানেই। এমন ম্যাচে সুযোগ লুফে নেয়া চাই শতভাগ। সেটা তো লোপেতেগুইয়ের দল পারলোই না, উল্টো ফার্নান্দোর লাল কার্ডে ১০ জনের দলে পরিণত হলো সেভিয়া।

আর এতে মুহূর্তেই পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। গ্রিজম্যানের অ্যাসিস্টে পিকের নাটকীয় গোলে, দুই লেগ মিলিয়ে ২-২’এর সমতার পর, অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায় আরও লিড নিতে দেরি হয়নি বার্সার। জর্ডি আলবার অ্যাসিস্টে ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-০ করেন ব্রাথওয়েট।

ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিলো যেখানে, মার্চের শুরু সেখান থেকেই। পরপর দু’ম্যাচে সেভিয়াকে ডোবালো রোনাল্ড কোম্যানের দল। সেবার লা লিগায় জয় ছিলো ২-০’তে, এবারেরটা আরও তাৎপর্যপূর্ণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সেভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে কোপা দেল রে’র ফাইনালে বার্সা

Update Time : ০২:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক:

প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারলেও, ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে নেমে সেই সেভিয়াকে ঠিকই হারালো বার্সেলোনা। শুধু হারালোই না, লা লীগার ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হারানো সেভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়েই কোপা দেল রে’র ফাইনালে উঠেছে বার্সা। 

অতিরিক্ত টাইমে গড়ানো ম্যাচে জেরার্ড পিকের নাটকীয় গোলে এ নিয়ে গেলো ৭ মৌসুমে ষষ্ঠবারের মতো কোপা দেল রে’র ফাইনালের টিকিট কাটলো কাতালানরা। আর সেইসঙ্গে চলতি মৌসুমে অন্তত একটা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো বার্সেলোনা।

ভাঙাচোরা একটা দল। মাঠের বাইরেও কতো ইস্যু! গুছিয়ে উঠতে হিমশিম খায় বার্সেলোনা। যার জন্য খেলা, সেই ট্রফিগুলো থেকে যায় নাগালের বাইরে। কোপা দেল রে’র শিরোপার স্বপ্নটাও ধূসর হয়ে আসছিলো। কিন্তু, ক্যাম্প ন্যু’তে নায়কের বেশে আবির্ভূত হলেন জেরার্ড পিকে। ম্যাচের শেষ মিনিটে গল্পটা বদলে গেলো স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের ম্যাজিক্যাল স্পর্শে।

প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা সেভিয়ার আশা ছিল যে কোনও মূল্যে ফাইনালে ওঠা। শুরু থেকে ডি-বক্স আগলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় লস পালাঙ্গানারা। আগলে রাখা ডি-বক্সে ফাটল ধরালো ডেম্বেলের বুলেট গতির শটটা। ১২ মিনিটে বার্সা এগিয়ে গেলো ১-০ গোলে। ফাইনালে যেতে আরও গোল চাই। কাতালানরা লিওনেল মেসির জাদুর অপেক্ষায়। ৩৩ মিনিটে গোললাইন থেকে বল ফিরলে আফসোসে পুড়তে হয়।

দ্বিতীয়ার্ধেও পেরোয় অনেকটা সময়। দ্বিতীয় গোলটা রয়ে যায় অদেখা। ৬৭ মিনিটে জর্ডি আলবা ফেরেন ক্রসবার কাঁপিয়ে। কাতালানদের কাঁপুনি বাড়িয়ে ৭১ মিনিটে সেভিয়ার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু, ত্রাতা আন্দ্রে স্টেগানের বিশ্বস্ত গ্লাভসে আটকে যায় ওক্যাম্পোসের স্পট কিকটি।

বড় দলের সঙ্গে অন্যদের তফাৎটা তো এখানেই। এমন ম্যাচে সুযোগ লুফে নেয়া চাই শতভাগ। সেটা তো লোপেতেগুইয়ের দল পারলোই না, উল্টো ফার্নান্দোর লাল কার্ডে ১০ জনের দলে পরিণত হলো সেভিয়া।

আর এতে মুহূর্তেই পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। গ্রিজম্যানের অ্যাসিস্টে পিকের নাটকীয় গোলে, দুই লেগ মিলিয়ে ২-২’এর সমতার পর, অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায় আরও লিড নিতে দেরি হয়নি বার্সার। জর্ডি আলবার অ্যাসিস্টে ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-০ করেন ব্রাথওয়েট।

ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিলো যেখানে, মার্চের শুরু সেখান থেকেই। পরপর দু’ম্যাচে সেভিয়াকে ডোবালো রোনাল্ড কোম্যানের দল। সেবার লা লিগায় জয় ছিলো ২-০’তে, এবারেরটা আরও তাৎপর্যপূর্ণ।