Dhaka ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবজির দামে উত্তাপ, মাংসের দরও বাড়তি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • 32

বাজারে উত্তাপ কমছে না সবজির, একই চিত্র মাংসেও। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যগুলো।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যেই। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করল্লা কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে পটলের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

অপরদিকে মাংসের দামও বাড়তির দিকেই। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়, লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের মতো একই দাম বজায় রয়েছে গরু ও খাসির বাজারে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।

বাজারে আসা ক্রেতা আমিনুল হোসেন বলেন, সবকিছুর দাম কেবল বাড়েই, কমে না। একটা জিনিসের দাম কমলেও আরেকটার দাম বেড়ে যায়। একটু স্বস্তিতে বাজার করার উপায় নেই।

আরেক ক্রেতা বদরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য রোজকার কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। সবকিছুর দাম বেশি। অল্প কয়েকটা জিনিস কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়, আমরা চলবো কীভাবে?

বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতা আল আমিন বলেন, আমাদের এখন পাইকারি বাজার থেকেই কেনা বেশি পড়তেছে। বৃষ্টির কারণে নাকি সাপ্লাই কমে গেছে, তাই বাড়তি দাম। কেনা বেশি পড়লে তো আমাদের কম দামের বিক্রির সুযোগ নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

সবজির দামে উত্তাপ, মাংসের দরও বাড়তি

Update Time : ০৪:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

বাজারে উত্তাপ কমছে না সবজির, একই চিত্র মাংসেও। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যগুলো।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যেই। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করল্লা কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে পটলের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

অপরদিকে মাংসের দামও বাড়তির দিকেই। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়, লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের মতো একই দাম বজায় রয়েছে গরু ও খাসির বাজারে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।

বাজারে আসা ক্রেতা আমিনুল হোসেন বলেন, সবকিছুর দাম কেবল বাড়েই, কমে না। একটা জিনিসের দাম কমলেও আরেকটার দাম বেড়ে যায়। একটু স্বস্তিতে বাজার করার উপায় নেই।

আরেক ক্রেতা বদরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য রোজকার কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। সবকিছুর দাম বেশি। অল্প কয়েকটা জিনিস কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়, আমরা চলবো কীভাবে?

বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতা আল আমিন বলেন, আমাদের এখন পাইকারি বাজার থেকেই কেনা বেশি পড়তেছে। বৃষ্টির কারণে নাকি সাপ্লাই কমে গেছে, তাই বাড়তি দাম। কেনা বেশি পড়লে তো আমাদের কম দামের বিক্রির সুযোগ নেই।