Dhaka ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসি!!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৩ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

বার্সেলোনা থেকে বিদায় বেলায় সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসি। চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না, হয়তো ধরে রাখতে পারেননি তার ভক্তরাও।

বার্সেলোনার হয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন মেসি… 

আমি বার্সেলোনাতে থেকে যেতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। এটা আমার ঘর, আমাদের ঘর। বার্সায় থেকে যাওয়াটাই আমার পরিকল্পনা ছিল, এখানেই আমার পুরো খেলোয়াড়ি জীবন কেটেছে। কিন্তু আজকে এই ক্লাব থেকে আমাকে চিরতরে বিদায় নিতে হচ্ছে। আগের বছর আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই বছর আমি থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এভাবে আমি চলে যেতে চাইনি, কারণ এটাই আমার ঘর.

এভাবে বিদায় নিতে হবে আমি ভাবিনি। আমি চেয়েছিলাম মাঠে সমর্থকদের সামনে বিদায় নিতে। আরও একবার তাদের কাছ থেকে অভিবাদন পেতে। আরও একবার ভালোবাসায় সিক্ত হতে। কিন্তু ১৮ মাস পর ভক্তদের এতো কাছাকাছি থেকেও আমাকে তারা বিদায় বলতে পারবে না, সেটা ভাবিনি। কিন্তু সেটাই হয়েছে।

আশা করি আমি একদিন ক্লাবের কোনো একটা অংশ হয়ে ফিরতে পারব, যে ভূমিকাতেই হোক। আশা করি এই ক্লাবকে সেরা করার জন্য আবার কিছু করতে পারব। এই মুহূর্তে অনেক কিছুই আমার মনে পড়ছে না। কিন্তু এখন ভাবার বা কথা বলার মতো খুব ভালো অবস্থায় আমি নেই।

২১ বছর পর আমি আমার স্ত্রী, তিন জন কাতালা-আর্জেন্টাইন সন্তানকে নিয়ে চলে যাচ্ছি। এই শহরে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করছি একদিন এখানে আবার আমরা থাকার জন্য ফিরব, আমি আমার ছেলেদেরও সেটাই বলেছি।

বার্সার হয়ে একটা সেরা মুহূর্ত বেছে নেওয়া অনেক কঠিন। আমার অনেক ভালো মুহূর্ত আছে, খারাপও আছে। হয়তো আমি অভিষেকের মুহূর্তটার কথাই বলব। যেটা দিয়ে সবকিছু শুরু হয়েছিল, আমার স্বপ্নের শুরু।

আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে গেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে লা লিগার ইস্যুর জন্য এটা হলো না। এটাই হয়েছে।

আমি ক্লাবের কথা বলতে পারি না, লাপোর্তা আমাকে বলেছে এটা লা লিগার জন্য হয়েছে। আমি শুধু বলতে পারি আমি এখানে থাকার জন্য যা যা সম্ভব সবকিছুই করেছি। আমি এটা বলেছি, এই বছর আমি থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি।

আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না এই ক্লাবটা ছেড়ে দিচ্ছি, আমার জীবন পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। এখন আমাকে শুন্য থেকে শুরু করতে হবে আবার, জীবনে বড় পরিবর্তন আসছে। আমার পরিবারের জন্যও এই শহর ছাড়া কঠিন। কিন্তু এখন এটার সঙ্গেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে আমাদের।

পিএসজি হয়তো একটা সম্ভাবনা,, কিন্তু আজকে পর্যন্ত কারও সাথে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। যখন সবকিছু নিশ্চিত হলো, আমি অনেক কল পেয়েছি। অনেক ক্লাবই আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু আমি কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কথা এখনো চলছে।

এখানে আমি মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বড় হয়েছি। আমি আশা করব আমি মাঠে যা করব এটার পাশাপাশি মানুষ এসবের কথাও মনে রাখবে।

এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত, এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমার জীবনে অনেক কঠিন মুহূর্ত এসেছে, অনেক পরাজয়ও দেখেছি। কিন্তু সবসময় আবার মাঠে ফিরে আবার বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল আমার। কিন্তু এখন আমি আর ফিরতে পারছি না, আমার সময় শেষ। এর চেয়ে কঠিন মুহূর্ত আর আসেনি।

বার্সা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব, দারুণ একটা স্কোয়াড আছে তাদের। খেলোয়াড় আসবে আর যাবে, এটাই সত্যি। আর লাপোর্তা যা বলেছে এই ক্লাবটা কোনো ব্যক্তির চেয়ে বড়। সমর্থকেরা এটার সঙ্গেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে, এটাই সত্যি। অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে দলে, ভালো কিছুই হবে দিন শেষে।

সবকিছুই ঠিক হয়ে ভেবেছিলাম, সবাই জানত আমি থাকব। আমি বলতে পারি, সমর্থকদের কাছে সবসময় সৎ থেকেছি। কখনোই তাদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি। আর অন্য কেউ করেছে বলে মনে হয় না, কারণ ব্যাপারটা ছিল অসম্ভব। আমি নিজের কথা বলতে পারি কারও সাথে কখনোই আমি অসৎ হইনি।

আমি শুধু জানি লা লিগার জন্য এটা সম্ভব ছিল না। কারণ ক্লাবের অনেক দেনা ছিল, আর দেনার ভার নিতে পারছিল না তারা। যখন বার্সা বুঝল লা লিগার জন্য এটা হবে না, তখন কথাবার্তা থেমে গেল। এটা ছিল অসম্ভব। এরপর আমাকে আমার ক্যারিয়ারের কথা ভাবতে হয়েছে। তেবাসকে নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, তার সাথে হাতেগোণা কয়েকবার কথা হয়েছে। ওটা বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। তেবাসের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই।

গত কিছুদিন খুব কষ্টের গেছে আমার। বাসায় গেলে খারাপ লাগা আরও বেশি হবে। তবে এখন আমার পরিবারের সাথে থাকতে হবে, আবার ফুটবল খেলতে হবে। যেটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। হয়তো ফুটবলই সব ভুলিয়ে দেবে আমাকে।

ডি মারিয়া আর পারেদেসের সঙ্গে কোপা আমেরিকায় কথা হয়েছে আমার। নেইমারও কল দিয়েছিল, ভেরাত্তিও ছিল। এটা শুধু একটা ছবি ছিল। ওরা মজা করে বলেছিল আমার পিএসজিতে আসা উচিত। কিন্তু এটা একটা ছবিই ছিল শুধু, তার বেশি কিছু নয়। কাকতালীয়ই ছিল শুধু।

আমি হয়তো আরও কিছু চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চেয়েছিলাম, লিভারপুলের সাথে সেমিফাইনালটা। হয়তো পেপের সময়ে চেলসির সাথে সেমিটা। আমার কোনো দুঃখ নেই, আমি সবসময় নিজের সেরাটা দিয়েছি। তবে আমি এমন একটা দলে খেলেছি যাদের আরও বেশি চ্যাম্পিয়নস লিগ থাকা উচিত ছিল।

আমি নিজের বেতন ৫০ ভাগ কমাতে রাজি হয়েছিলাম। এরপর বার্সা আর কিছু আমার কাছ থেকে চায়নি। অনেক কথা শোনা গেছে কিন্তু সেসব সত্যি নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসি!!

Update Time : ০৫:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

বার্সেলোনা থেকে বিদায় বেলায় সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসি। চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না, হয়তো ধরে রাখতে পারেননি তার ভক্তরাও।

বার্সেলোনার হয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন মেসি… 

আমি বার্সেলোনাতে থেকে যেতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। এটা আমার ঘর, আমাদের ঘর। বার্সায় থেকে যাওয়াটাই আমার পরিকল্পনা ছিল, এখানেই আমার পুরো খেলোয়াড়ি জীবন কেটেছে। কিন্তু আজকে এই ক্লাব থেকে আমাকে চিরতরে বিদায় নিতে হচ্ছে। আগের বছর আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই বছর আমি থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এভাবে আমি চলে যেতে চাইনি, কারণ এটাই আমার ঘর.

এভাবে বিদায় নিতে হবে আমি ভাবিনি। আমি চেয়েছিলাম মাঠে সমর্থকদের সামনে বিদায় নিতে। আরও একবার তাদের কাছ থেকে অভিবাদন পেতে। আরও একবার ভালোবাসায় সিক্ত হতে। কিন্তু ১৮ মাস পর ভক্তদের এতো কাছাকাছি থেকেও আমাকে তারা বিদায় বলতে পারবে না, সেটা ভাবিনি। কিন্তু সেটাই হয়েছে।

আশা করি আমি একদিন ক্লাবের কোনো একটা অংশ হয়ে ফিরতে পারব, যে ভূমিকাতেই হোক। আশা করি এই ক্লাবকে সেরা করার জন্য আবার কিছু করতে পারব। এই মুহূর্তে অনেক কিছুই আমার মনে পড়ছে না। কিন্তু এখন ভাবার বা কথা বলার মতো খুব ভালো অবস্থায় আমি নেই।

২১ বছর পর আমি আমার স্ত্রী, তিন জন কাতালা-আর্জেন্টাইন সন্তানকে নিয়ে চলে যাচ্ছি। এই শহরে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করছি একদিন এখানে আবার আমরা থাকার জন্য ফিরব, আমি আমার ছেলেদেরও সেটাই বলেছি।

বার্সার হয়ে একটা সেরা মুহূর্ত বেছে নেওয়া অনেক কঠিন। আমার অনেক ভালো মুহূর্ত আছে, খারাপও আছে। হয়তো আমি অভিষেকের মুহূর্তটার কথাই বলব। যেটা দিয়ে সবকিছু শুরু হয়েছিল, আমার স্বপ্নের শুরু।

আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে গেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে লা লিগার ইস্যুর জন্য এটা হলো না। এটাই হয়েছে।

আমি ক্লাবের কথা বলতে পারি না, লাপোর্তা আমাকে বলেছে এটা লা লিগার জন্য হয়েছে। আমি শুধু বলতে পারি আমি এখানে থাকার জন্য যা যা সম্ভব সবকিছুই করেছি। আমি এটা বলেছি, এই বছর আমি থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি।

আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না এই ক্লাবটা ছেড়ে দিচ্ছি, আমার জীবন পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। এখন আমাকে শুন্য থেকে শুরু করতে হবে আবার, জীবনে বড় পরিবর্তন আসছে। আমার পরিবারের জন্যও এই শহর ছাড়া কঠিন। কিন্তু এখন এটার সঙ্গেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে আমাদের।

পিএসজি হয়তো একটা সম্ভাবনা,, কিন্তু আজকে পর্যন্ত কারও সাথে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। যখন সবকিছু নিশ্চিত হলো, আমি অনেক কল পেয়েছি। অনেক ক্লাবই আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু আমি কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কথা এখনো চলছে।

এখানে আমি মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বড় হয়েছি। আমি আশা করব আমি মাঠে যা করব এটার পাশাপাশি মানুষ এসবের কথাও মনে রাখবে।

এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত, এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমার জীবনে অনেক কঠিন মুহূর্ত এসেছে, অনেক পরাজয়ও দেখেছি। কিন্তু সবসময় আবার মাঠে ফিরে আবার বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল আমার। কিন্তু এখন আমি আর ফিরতে পারছি না, আমার সময় শেষ। এর চেয়ে কঠিন মুহূর্ত আর আসেনি।

বার্সা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব, দারুণ একটা স্কোয়াড আছে তাদের। খেলোয়াড় আসবে আর যাবে, এটাই সত্যি। আর লাপোর্তা যা বলেছে এই ক্লাবটা কোনো ব্যক্তির চেয়ে বড়। সমর্থকেরা এটার সঙ্গেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে, এটাই সত্যি। অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে দলে, ভালো কিছুই হবে দিন শেষে।

সবকিছুই ঠিক হয়ে ভেবেছিলাম, সবাই জানত আমি থাকব। আমি বলতে পারি, সমর্থকদের কাছে সবসময় সৎ থেকেছি। কখনোই তাদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি। আর অন্য কেউ করেছে বলে মনে হয় না, কারণ ব্যাপারটা ছিল অসম্ভব। আমি নিজের কথা বলতে পারি কারও সাথে কখনোই আমি অসৎ হইনি।

আমি শুধু জানি লা লিগার জন্য এটা সম্ভব ছিল না। কারণ ক্লাবের অনেক দেনা ছিল, আর দেনার ভার নিতে পারছিল না তারা। যখন বার্সা বুঝল লা লিগার জন্য এটা হবে না, তখন কথাবার্তা থেমে গেল। এটা ছিল অসম্ভব। এরপর আমাকে আমার ক্যারিয়ারের কথা ভাবতে হয়েছে। তেবাসকে নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, তার সাথে হাতেগোণা কয়েকবার কথা হয়েছে। ওটা বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। তেবাসের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই।

গত কিছুদিন খুব কষ্টের গেছে আমার। বাসায় গেলে খারাপ লাগা আরও বেশি হবে। তবে এখন আমার পরিবারের সাথে থাকতে হবে, আবার ফুটবল খেলতে হবে। যেটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। হয়তো ফুটবলই সব ভুলিয়ে দেবে আমাকে।

ডি মারিয়া আর পারেদেসের সঙ্গে কোপা আমেরিকায় কথা হয়েছে আমার। নেইমারও কল দিয়েছিল, ভেরাত্তিও ছিল। এটা শুধু একটা ছবি ছিল। ওরা মজা করে বলেছিল আমার পিএসজিতে আসা উচিত। কিন্তু এটা একটা ছবিই ছিল শুধু, তার বেশি কিছু নয়। কাকতালীয়ই ছিল শুধু।

আমি হয়তো আরও কিছু চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চেয়েছিলাম, লিভারপুলের সাথে সেমিফাইনালটা। হয়তো পেপের সময়ে চেলসির সাথে সেমিটা। আমার কোনো দুঃখ নেই, আমি সবসময় নিজের সেরাটা দিয়েছি। তবে আমি এমন একটা দলে খেলেছি যাদের আরও বেশি চ্যাম্পিয়নস লিগ থাকা উচিত ছিল।

আমি নিজের বেতন ৫০ ভাগ কমাতে রাজি হয়েছিলাম। এরপর বার্সা আর কিছু আমার কাছ থেকে চায়নি। অনেক কথা শোনা গেছে কিন্তু সেসব সত্যি নয়।