Dhaka ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেন ওয়াটসন ও ডু প্লেসিসের ব্যাটিং দাপটে পাঞ্জাবকে ১০ উইকেটে হারালো চেন্নাই

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩৮ Time View

তিন ম্যাচে হেরে প্রবল চাপে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামার আগে তাই সতীর্থদের কড়া বার্তা পাঠিয়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতেই যেন কাজ হলো।

শেন ওয়াটসন ও ডু প্লেসিসের ব্যাটিং দাপটে ১০ উইকেটের লজ্জার হার দেখলো রাহুলের পাঞ্জাব।

২০১৪ সালে টানা তিন ম্যাচ হেরে গিয়ে তারপর জিতেছিল চেন্নাই। এবারের টুর্নামেন্টেও টানা তিনটি ম্যাচ হেরে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল ধোনি বাহিনী। হয়েছেও তাই। রোববার রাতের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ২০ ওভারে করলো চার উইকেটে ১৭৮ রান।

লোকেশ রাহুলরা অবশ্য দুশোর বেশি রান করতেই পারত এদিন। কারণ একসময়ে পাঞ্জাব অধিনায়ক ও নিকোলাস পুরান ঝড় তুলতে শুরু করেন। শার্দুল ঠাকুর পর পর দু’বলে এই দুজনকে ফিরিয়ে দেওয়ায় দুশোয় পৌঁছতে পারেনি দলটি। দুবাইয়ের মাঠ শারজার মতো ছোট নয়। তাই চেন্নাইকে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জই পাঞ্জাব ছুড়ে দিয়েছিল- তা বলাই যায়।

তবে জবাব দিতে নেমে আজ একেবারেই চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলেছে তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচগুলোয় শেন ওয়াটসন ফর্মে ছিলেন না। আউট হয়ে যাচ্ছিলেন দ্রুত। এ দিন শুরু থেকেই ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে নিয়ে পুরনো ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন দুজন। দুই ওপেনারই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।

দারুণ ও দুরন্ত সব স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দুজনে পাঞ্জাবের দেয়া লক্ষ্যকে টপকে গেছেন ১৭.৪ ওভারেই। ওয়াটসন ও ডু প্লেসিস সমান ৫৩টি করে বল মোকাবেলা করে রান করেছেন যথাক্রমে ৮৩ ও ৮৭। ম্যাচ সেরা ওয়াটসন ২টি ছক্কা বেশি মারলেও চার মেরেছেন দুজনে সমান ১১টি করেই। যাতে ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙলো অল ইয়েলোজ।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লোকেশ রাহুল। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার অধিনায়ক নিজে ও মায়াঙ্ক অগারওয়াল মিলে পাওয়ারপ্লেতে তোলেন ৪৬ রান। পীযূষ চাওলার বলে মায়াঙ্ক ২৬ রানে আউট হলে মানদীপকে নিয়ে ৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রাহুল। রবীন্দ্র জাদেজার বলে অম্বাতি রায়ডুর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মানদীপ (২৭)। আর লোকেশ রাহুল ৫২ বলে ৬৩ রান করেন। শার্দুল ঠাকুরের বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন ধোনি। তার আগের বলেই নিকোলাস পুরানকে (১৭ বলে ৩৩) ফেরান শার্দুল। শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১) ও সরফরাজ খান (১৪) মারমুখী ব্যাটিং করেন।

শেষ দুই ম্যাচেও হারতে হয়েছে পাঞ্জাবকে। আর আজকের হারে পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে এখন একেবারেই তলানিতে তারা। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে উঠে গেছে ধোনির চেন্নাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

শেন ওয়াটসন ও ডু প্লেসিসের ব্যাটিং দাপটে পাঞ্জাবকে ১০ উইকেটে হারালো চেন্নাই

Update Time : ১০:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

তিন ম্যাচে হেরে প্রবল চাপে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামার আগে তাই সতীর্থদের কড়া বার্তা পাঠিয়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতেই যেন কাজ হলো।

শেন ওয়াটসন ও ডু প্লেসিসের ব্যাটিং দাপটে ১০ উইকেটের লজ্জার হার দেখলো রাহুলের পাঞ্জাব।

২০১৪ সালে টানা তিন ম্যাচ হেরে গিয়ে তারপর জিতেছিল চেন্নাই। এবারের টুর্নামেন্টেও টানা তিনটি ম্যাচ হেরে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল ধোনি বাহিনী। হয়েছেও তাই। রোববার রাতের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ২০ ওভারে করলো চার উইকেটে ১৭৮ রান।

লোকেশ রাহুলরা অবশ্য দুশোর বেশি রান করতেই পারত এদিন। কারণ একসময়ে পাঞ্জাব অধিনায়ক ও নিকোলাস পুরান ঝড় তুলতে শুরু করেন। শার্দুল ঠাকুর পর পর দু’বলে এই দুজনকে ফিরিয়ে দেওয়ায় দুশোয় পৌঁছতে পারেনি দলটি। দুবাইয়ের মাঠ শারজার মতো ছোট নয়। তাই চেন্নাইকে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জই পাঞ্জাব ছুড়ে দিয়েছিল- তা বলাই যায়।

তবে জবাব দিতে নেমে আজ একেবারেই চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলেছে তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচগুলোয় শেন ওয়াটসন ফর্মে ছিলেন না। আউট হয়ে যাচ্ছিলেন দ্রুত। এ দিন শুরু থেকেই ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে নিয়ে পুরনো ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন দুজন। দুই ওপেনারই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।

দারুণ ও দুরন্ত সব স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দুজনে পাঞ্জাবের দেয়া লক্ষ্যকে টপকে গেছেন ১৭.৪ ওভারেই। ওয়াটসন ও ডু প্লেসিস সমান ৫৩টি করে বল মোকাবেলা করে রান করেছেন যথাক্রমে ৮৩ ও ৮৭। ম্যাচ সেরা ওয়াটসন ২টি ছক্কা বেশি মারলেও চার মেরেছেন দুজনে সমান ১১টি করেই। যাতে ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙলো অল ইয়েলোজ।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লোকেশ রাহুল। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার অধিনায়ক নিজে ও মায়াঙ্ক অগারওয়াল মিলে পাওয়ারপ্লেতে তোলেন ৪৬ রান। পীযূষ চাওলার বলে মায়াঙ্ক ২৬ রানে আউট হলে মানদীপকে নিয়ে ৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রাহুল। রবীন্দ্র জাদেজার বলে অম্বাতি রায়ডুর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মানদীপ (২৭)। আর লোকেশ রাহুল ৫২ বলে ৬৩ রান করেন। শার্দুল ঠাকুরের বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন ধোনি। তার আগের বলেই নিকোলাস পুরানকে (১৭ বলে ৩৩) ফেরান শার্দুল। শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১) ও সরফরাজ খান (১৪) মারমুখী ব্যাটিং করেন।

শেষ দুই ম্যাচেও হারতে হয়েছে পাঞ্জাবকে। আর আজকের হারে পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে এখন একেবারেই তলানিতে তারা। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে উঠে গেছে ধোনির চেন্নাই।