Dhaka ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রবাদপ্রতিম সাধক পণ্ডিত যশরাজ আর নেই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • ৯০ Time View

ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রবাদপ্রতিম সাধক পণ্ডিত যশরাজ আর নেই। তার মেয়ে দুর্গা যশরাজের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রকোপ বাড়তে থাকায় ভারত সরকার গত মার্চে যখন লকডাউনের ঘোষণা দেয়, পণ্ডিত যশরাজ তখন যুক্তরাষ্ট্রে। ওই অবস্থায় তিনি সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

৯০ বছর বয়সী পণ্ডিত যশরাজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটে লিখেছেন, এই সংগীত গুরুর মৃত্যুতে ভারতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক গভীর শূন্যতা তৈরি হলো। তিনি যে কেবল নিজের পরিবেশনায় অনন্য ছিলেন তা নয়, অসাধারণ একজন সংগীত গুরু হিসেবে তিনি বহু শিল্পীর ওপর ছায়া রেখে গেছেন। তার পরিবার আর বিশ্বজোড়া তার ভক্তদের জন্য সমবেদনা। ওঁম শান্তি।

উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফতেহাবাদের পিলি মান্দরি গ্রামে যশরাজের জন্ম। শৈশবে বাবা পণ্ডিত মতিরামকে হারানোর পর তিনি বেড়ে ওঠেন ভাই মণিরামের কাছে। পণ্ডিত মতিরাম ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতের মেওয়াতি ঘরানার অনুসারী; শৈশবে যশরাজের হাতেখড়িও হয় পরিবারেই।

তার বাবা চেয়েছিলেন ছেলে বড় তবলাবাদক হবে। যশরাজও সেভাবেই তালিম নিচ্ছিলেন। কিন্তু একদিন বেগম আখতারের কণ্ঠের সংগীত শুনে বদলে ফেলেন সিদ্ধান্ত। ঠিক করেন, তিনিও গাইবেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ক্লাসিকালের পাশাপাশি সেমি-ক্লাসিকাল মিউজিক নিয়েও কাজ শুরু করেন যশরাজ। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য পণ্ডিত যশরাজ ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ খেতাব পেয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রবাদপ্রতিম সাধক পণ্ডিত যশরাজ আর নেই

Update Time : ০৭:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রবাদপ্রতিম সাধক পণ্ডিত যশরাজ আর নেই। তার মেয়ে দুর্গা যশরাজের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রকোপ বাড়তে থাকায় ভারত সরকার গত মার্চে যখন লকডাউনের ঘোষণা দেয়, পণ্ডিত যশরাজ তখন যুক্তরাষ্ট্রে। ওই অবস্থায় তিনি সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

৯০ বছর বয়সী পণ্ডিত যশরাজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটে লিখেছেন, এই সংগীত গুরুর মৃত্যুতে ভারতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক গভীর শূন্যতা তৈরি হলো। তিনি যে কেবল নিজের পরিবেশনায় অনন্য ছিলেন তা নয়, অসাধারণ একজন সংগীত গুরু হিসেবে তিনি বহু শিল্পীর ওপর ছায়া রেখে গেছেন। তার পরিবার আর বিশ্বজোড়া তার ভক্তদের জন্য সমবেদনা। ওঁম শান্তি।

উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফতেহাবাদের পিলি মান্দরি গ্রামে যশরাজের জন্ম। শৈশবে বাবা পণ্ডিত মতিরামকে হারানোর পর তিনি বেড়ে ওঠেন ভাই মণিরামের কাছে। পণ্ডিত মতিরাম ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতের মেওয়াতি ঘরানার অনুসারী; শৈশবে যশরাজের হাতেখড়িও হয় পরিবারেই।

তার বাবা চেয়েছিলেন ছেলে বড় তবলাবাদক হবে। যশরাজও সেভাবেই তালিম নিচ্ছিলেন। কিন্তু একদিন বেগম আখতারের কণ্ঠের সংগীত শুনে বদলে ফেলেন সিদ্ধান্ত। ঠিক করেন, তিনিও গাইবেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ক্লাসিকালের পাশাপাশি সেমি-ক্লাসিকাল মিউজিক নিয়েও কাজ শুরু করেন যশরাজ। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য পণ্ডিত যশরাজ ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ খেতাব পেয়েছেন।