Dhaka ০৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে বেড়েই চলেছে নারী প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৬৮ Time View

সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ

রাজশাহী শহরের লাগাবে লাগামহীন ভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে নারী প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য।

এদের শিকারের টার্গেট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, ঠিকাদার, পুলিশের বড়কর্তাসহ বিত্তবানেরা।

তবে এই চক্রটির শিকার যারা হয়েছেন তারা বেশিরভাগই বিকৃত যৌনাচারে অভ্যাসগত।
তবে,আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা একাধিক কারণে তাদের সহযোগিতা করায় এরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাথা ঘুরার কথা বলে বাসায় ডেকে চিকিৎসকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এসময় ওই চিকিৎসকের থেকে ২০ লাখ টাকাও দাবি করা হয়। এসময় ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা কাবির নামার ভলিয়মে স্বাক্ষার নেওয়ার অভিযোগ করেছেন মাহবুব আলম নামের ওই চিকিৎসক।

পরে এনিয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলাও হয়েছেন ভুক্তভোগি চিকিৎসক। পরে পাপিয়া সুলতানা পলি (৩০) নামের ওই নারীকে নগরীর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম চন্দ্রিমা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আর চন্দ্রিমার বারিন্দ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনা কালীন পাপিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ হয় পাশের ভাড়াটি সূত্রে। সেই সুবাদে তার মেয়েকে (১৭) প্রাইভেট পড়াতেন মাহবুব। এতে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এর সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে ফোনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন অভিযুক্ত পলি। ঘটনার দিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অভিযুক্ত পলি মাহবুবকে ফোনে জানান তার প্রচুর মাথা ব্যথা করছে। তাই বাইরে বের হয়ে ওষুধ কেনা তার পক্ষে সম্ভব না। এতে করে ওষুধ কিনে আনতে বলে মাহবুবকে।

পরে মাহবুব ওষুধ ও ডাব কিনে নিয়ে আসে পলির বাসায়। এর কিছুক্ষন পরে অজ্ঞতনামা ৫ থেকে ৬ জন রুমের ভেতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পলির লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মৃত্যুর ভয় দেখায়। এছাড়া ১০০ টাকা মূল্যে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পেসহ কথিত কাজী একটি ফাঁকা কাবিন নামা ভলিয়মে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।

চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুম মনির বলেন- মামলার পরে অভিযান চালিয়ে পাপিয়া সুলতানা পলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

রাজশাহীতে বেড়েই চলেছে নারী প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য

Update Time : ০২:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ

রাজশাহী শহরের লাগাবে লাগামহীন ভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে নারী প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য।

এদের শিকারের টার্গেট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, ঠিকাদার, পুলিশের বড়কর্তাসহ বিত্তবানেরা।

তবে এই চক্রটির শিকার যারা হয়েছেন তারা বেশিরভাগই বিকৃত যৌনাচারে অভ্যাসগত।
তবে,আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা একাধিক কারণে তাদের সহযোগিতা করায় এরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাথা ঘুরার কথা বলে বাসায় ডেকে চিকিৎসকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এসময় ওই চিকিৎসকের থেকে ২০ লাখ টাকাও দাবি করা হয়। এসময় ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা কাবির নামার ভলিয়মে স্বাক্ষার নেওয়ার অভিযোগ করেছেন মাহবুব আলম নামের ওই চিকিৎসক।

পরে এনিয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলাও হয়েছেন ভুক্তভোগি চিকিৎসক। পরে পাপিয়া সুলতানা পলি (৩০) নামের ওই নারীকে নগরীর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম চন্দ্রিমা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আর চন্দ্রিমার বারিন্দ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনা কালীন পাপিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ হয় পাশের ভাড়াটি সূত্রে। সেই সুবাদে তার মেয়েকে (১৭) প্রাইভেট পড়াতেন মাহবুব। এতে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এর সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে ফোনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন অভিযুক্ত পলি। ঘটনার দিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অভিযুক্ত পলি মাহবুবকে ফোনে জানান তার প্রচুর মাথা ব্যথা করছে। তাই বাইরে বের হয়ে ওষুধ কেনা তার পক্ষে সম্ভব না। এতে করে ওষুধ কিনে আনতে বলে মাহবুবকে।

পরে মাহবুব ওষুধ ও ডাব কিনে নিয়ে আসে পলির বাসায়। এর কিছুক্ষন পরে অজ্ঞতনামা ৫ থেকে ৬ জন রুমের ভেতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পলির লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মৃত্যুর ভয় দেখায়। এছাড়া ১০০ টাকা মূল্যে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পেসহ কথিত কাজী একটি ফাঁকা কাবিন নামা ভলিয়মে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।

চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুম মনির বলেন- মামলার পরে অভিযান চালিয়ে পাপিয়া সুলতানা পলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।