Dhaka ১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৭ Time View

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা- সার্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপালের অবস্থান অভিন্ন। সার্কের সর্বশেষ সম্মেলনের পর টেকনিক্যাল কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করে এলেও সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক পর্যায়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি।

রোববার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধন : নতুন উচ্চতার দিকে’ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কাঠমান্ডুতে ২০১৪ সালে সার্ক সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর আর হয়নি। সেই সময় থেকেই নেপাল সার্ক চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তখন থেকেই সার্কের টেকনিক্যাল কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করে এলেও সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক পর্যায়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি। সদস্য দেশগুলো যতক্ষণ না পর্যন্ত শীর্ষ সম্মেলন, মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক বা যেকোনো সম্মতিতে একমত না হবে, এটাকে এগিয়ে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, আমি এটুকুই বলতে পারি, সার্ক এগিয়ে নেওয়া বা পুনরুজ্জীবনে বাংলাদেশ ও নেপালের অবস্থান অভিন্ন।

ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলো‌তে নেপাল ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হ‌য়েছে। এই ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক একীকর‌ণে অপরিসীম সম্ভাবনা বহন করে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে। পরিবর্তে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে নেপাল থেকে নবায়নযোগ্য জলবিদ্যুৎ আমদানি করে উপকৃত হতে পারে। উন্নত পরিবহন সংযোগ; সড়ক, রেল বা বিমান বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত

Update Time : ১২:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা- সার্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপালের অবস্থান অভিন্ন। সার্কের সর্বশেষ সম্মেলনের পর টেকনিক্যাল কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করে এলেও সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক পর্যায়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি।

রোববার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধন : নতুন উচ্চতার দিকে’ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কাঠমান্ডুতে ২০১৪ সালে সার্ক সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর আর হয়নি। সেই সময় থেকেই নেপাল সার্ক চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তখন থেকেই সার্কের টেকনিক্যাল কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করে এলেও সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক পর্যায়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি। সদস্য দেশগুলো যতক্ষণ না পর্যন্ত শীর্ষ সম্মেলন, মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক বা যেকোনো সম্মতিতে একমত না হবে, এটাকে এগিয়ে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, আমি এটুকুই বলতে পারি, সার্ক এগিয়ে নেওয়া বা পুনরুজ্জীবনে বাংলাদেশ ও নেপালের অবস্থান অভিন্ন।

ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলো‌তে নেপাল ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হ‌য়েছে। এই ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক একীকর‌ণে অপরিসীম সম্ভাবনা বহন করে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে। পরিবর্তে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে নেপাল থেকে নবায়নযোগ্য জলবিদ্যুৎ আমদানি করে উপকৃত হতে পারে। উন্নত পরিবহন সংযোগ; সড়ক, রেল বা বিমান বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।