Dhaka ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৯৪ Time View

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে।

বড় শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিকিৎসক, ফিজিশিয়ানসহ সেবাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা ‘রেড রিবন মুভমেন্ট মিয়ানমার ২০২০’ নামে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসি’র।

সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়েছেন। অনেক চিকিৎসক রোগীর কথা বিবেচনায় নিয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা জান্তা সরকারের নতুন মন্ত্রিসভাকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন।

‘রেড রিবন মুভমেন্ট মিয়ানমার ২০২০’ এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা জানিয়েছে ইয়াঙ্গনের বাসিন্দারাও। তারা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলে লাল করেছে কিংবা তিন আঙুল দিয়ে স্যালুট দিয়েছে। এই কর্মসূচিটি মূলত সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্কিত ব্যবসা এবং সেবা পরিহার কর্মসূচি।

এছাড়া বাসিন্দারা রাতে মোমবাতি জ্বালানো, রান্নার পাত্র এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে ধাতব বালতি বাজানোর মাধ্যমে দেশটিতে শয়তানের আত্মা তাড়ানোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মিয়ানমারে সেনা শাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অনেক বাসিন্দা আগের সেনা অভ্যুত্থানের ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেনি।

অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সুচির মুক্তির দাবিতে ৭০টি হাসপাতাল ও মেডিকেল বিভাগের কর্মীরা কাজ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, অং সান সুচি যিনি নির্বাচিত সরকারের প্রধান ছিলেন, তাকে সোমবার সকালে সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আর দেখা যায়নি। তবে তাকে রাজধানী নেপিডোতে তার বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনেক এমপিকে নেপিডোতে মিউনিসিপাল বা সরকারি অতিথি ভবনে আটকে রাখা হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। তবে সেনা অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে অনেক এনএলডির এমপিই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু সরকারি অতিথি ভবন ছেড়ে যেতে এই এমপিদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে নোটিশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ

Update Time : ০৪:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে।

বড় শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিকিৎসক, ফিজিশিয়ানসহ সেবাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা ‘রেড রিবন মুভমেন্ট মিয়ানমার ২০২০’ নামে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসি’র।

সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়েছেন। অনেক চিকিৎসক রোগীর কথা বিবেচনায় নিয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা জান্তা সরকারের নতুন মন্ত্রিসভাকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন।

‘রেড রিবন মুভমেন্ট মিয়ানমার ২০২০’ এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা জানিয়েছে ইয়াঙ্গনের বাসিন্দারাও। তারা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলে লাল করেছে কিংবা তিন আঙুল দিয়ে স্যালুট দিয়েছে। এই কর্মসূচিটি মূলত সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্কিত ব্যবসা এবং সেবা পরিহার কর্মসূচি।

এছাড়া বাসিন্দারা রাতে মোমবাতি জ্বালানো, রান্নার পাত্র এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে ধাতব বালতি বাজানোর মাধ্যমে দেশটিতে শয়তানের আত্মা তাড়ানোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মিয়ানমারে সেনা শাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অনেক বাসিন্দা আগের সেনা অভ্যুত্থানের ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেনি।

অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সুচির মুক্তির দাবিতে ৭০টি হাসপাতাল ও মেডিকেল বিভাগের কর্মীরা কাজ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, অং সান সুচি যিনি নির্বাচিত সরকারের প্রধান ছিলেন, তাকে সোমবার সকালে সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আর দেখা যায়নি। তবে তাকে রাজধানী নেপিডোতে তার বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনেক এমপিকে নেপিডোতে মিউনিসিপাল বা সরকারি অতিথি ভবনে আটকে রাখা হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। তবে সেনা অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে অনেক এনএলডির এমপিই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু সরকারি অতিথি ভবন ছেড়ে যেতে এই এমপিদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে নোটিশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী।