Dhaka ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ হাজার ৭৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
  • ৮৯ Time View

ঊর্ধ্বমুখী নমুনা পরীক্ষায় ভারতে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। যেখানে এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গত একদিনেই পৌনে এক লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সুস্থ হলেও প্রাণহানি ৬০ হাজার পেরিয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ হাজার ৭৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ২৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)।

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ২৩ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৪৭২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি পৌনে ৮৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সোয়া ৯ লাখ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে চতুর্থ।

এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজারের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৮৯ জন মানুষের। আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে রাজধানী দিল্লিকে টপকানো তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩৯ জন। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

তিনে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার সাড়ে ৩ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৪১ জন মানুষের।

দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৩৪৭ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৫৬ হাজার ১৩ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। যা ভারত সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ২৬ হাজারের কাছাকাছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ হাজার ৭৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

Update Time : ০৮:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

ঊর্ধ্বমুখী নমুনা পরীক্ষায় ভারতে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। যেখানে এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গত একদিনেই পৌনে এক লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সুস্থ হলেও প্রাণহানি ৬০ হাজার পেরিয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ হাজার ৭৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ২৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)।

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ২৩ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৪৭২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি পৌনে ৮৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সোয়া ৯ লাখ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে চতুর্থ।

এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজারের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৮৯ জন মানুষের। আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে রাজধানী দিল্লিকে টপকানো তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩৯ জন। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

তিনে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার সাড়ে ৩ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৪১ জন মানুষের।

দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৩৪৭ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৫৬ হাজার ১৩ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। যা ভারত সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ২৬ হাজারের কাছাকাছি।