Dhaka ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

বিল এডগার যিনি মৃত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১২৩ Time View

মীর ইমাম হোসেন, অস্ট্রেলিয়া :

বিল এডগার মৃত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হাজির হয়ে তিনি তাদের হয়ে লোকজনের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেন।

এজন্য তাকে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়। তবে এই কাজটির জন্য তাকে অর্থ দিতে হয়।

যেভাবে শুরু :

বিলের মাথায় যখন এই কাজটি করার আইডিয়া আসে তখন তিনি অস্ট্রেলিয়াতে মৃত্যুপথযাত্রী এক রোগীর ব্যক্তিগত গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছিলেন।

“মৃত্যুর বিষয়ে আমরা কথাবার্তা বলতাম, মৃত্যুর পর জীবন কেমন হবে – এধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। একদিন তিনি বললেন, ‘আমি আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য কিছু করতে চাই।’ আমি তখন তাকে ওই অনুষ্ঠানে নিজের সম্পর্কে নিজের প্রশংসা করার ধারণা দেই।”

কিন্তু লোকটি তখন বলেন যে শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে তিনি যেসব কথা বলতে চান সেগুলো তার পরিবার ও বন্ধুরা পছন্দ করবে না। ফলে তারা সম্ভবত তার লিখে যাওয়া বার্তা পাঠ করা থেকে বিরত থাকবেন অথবা তারা রেকর্ড করা অন্য কিছু বাজাবেন।

“তখন আমি তার হয়ে এই কাজটা করার প্রস্তাব দেই। এবং এভাবেই কাজটা শুরু হয়ে গেল।”

কতো খরচ :

এখন এই কাজ করাটাই তার জীবিকা নির্বাহের উপায়।

তিনি একজন ‘কফিন কনফেসর’, যার অর্থ, “ফিউনারালের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আমি উঠে দাঁড়াই, খামের ভেতর থেকে একটা কাগজ বের করি এবং কফিনে শায়িত লোকটির না বলা কথাগুলো সেখান থেকে পাঠ করি।”

এজন্যে তিনি নেন প্রায় ১০,০০০ অস্ট্রেলিয় ডলার।

এই অর্থের বিনিময়ে তিনি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে হাজির হন, তার আগে মৃতদেহের পাশে সারা রাত ধরে বিলাপ করেন, উইল পাঠ করে শোনান এবং মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে স্পর্শকাতর জিনিসপত্র সবার অগোচরে সরিয়ে নেন।

“যে কোন জিনিস হতে পারে, পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে সেক্স টয়, ড্রাগ, বন্দুক, অর্থ – যে কোন কিছু।”

না বলা কথা :

একবার তিনি এরকম এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বক্তব্য রাখছিলেন। তখন মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু হঠাৎ করে তার কথা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।

“আমি তাকে বসতে বলি, বলি চুপ করে থাকতে। তাকে বলি তার বন্ধু যেসব কথা বলে গেছে, আমার বলার জন্য, সেসব শুনতে। কথাটা হচ্ছে – তিনি যখন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন তার ঘনিষ্ঠ ওই বন্ধু তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার ব্যাপারে তাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।”

বিল জানান এর পর ওই ব্যক্তি “সুর সুর করে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে চলে যান।” মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে আরো কয়েকজন ব্যক্তিকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। “কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিউনারাল সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বিল এডগার যিনি মৃত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করেন

Update Time : ১০:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

মীর ইমাম হোসেন, অস্ট্রেলিয়া :

বিল এডগার মৃত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হাজির হয়ে তিনি তাদের হয়ে লোকজনের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেন।

এজন্য তাকে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়। তবে এই কাজটির জন্য তাকে অর্থ দিতে হয়।

যেভাবে শুরু :

বিলের মাথায় যখন এই কাজটি করার আইডিয়া আসে তখন তিনি অস্ট্রেলিয়াতে মৃত্যুপথযাত্রী এক রোগীর ব্যক্তিগত গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছিলেন।

“মৃত্যুর বিষয়ে আমরা কথাবার্তা বলতাম, মৃত্যুর পর জীবন কেমন হবে – এধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। একদিন তিনি বললেন, ‘আমি আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য কিছু করতে চাই।’ আমি তখন তাকে ওই অনুষ্ঠানে নিজের সম্পর্কে নিজের প্রশংসা করার ধারণা দেই।”

কিন্তু লোকটি তখন বলেন যে শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে তিনি যেসব কথা বলতে চান সেগুলো তার পরিবার ও বন্ধুরা পছন্দ করবে না। ফলে তারা সম্ভবত তার লিখে যাওয়া বার্তা পাঠ করা থেকে বিরত থাকবেন অথবা তারা রেকর্ড করা অন্য কিছু বাজাবেন।

“তখন আমি তার হয়ে এই কাজটা করার প্রস্তাব দেই। এবং এভাবেই কাজটা শুরু হয়ে গেল।”

কতো খরচ :

এখন এই কাজ করাটাই তার জীবিকা নির্বাহের উপায়।

তিনি একজন ‘কফিন কনফেসর’, যার অর্থ, “ফিউনারালের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আমি উঠে দাঁড়াই, খামের ভেতর থেকে একটা কাগজ বের করি এবং কফিনে শায়িত লোকটির না বলা কথাগুলো সেখান থেকে পাঠ করি।”

এজন্যে তিনি নেন প্রায় ১০,০০০ অস্ট্রেলিয় ডলার।

এই অর্থের বিনিময়ে তিনি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে হাজির হন, তার আগে মৃতদেহের পাশে সারা রাত ধরে বিলাপ করেন, উইল পাঠ করে শোনান এবং মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে স্পর্শকাতর জিনিসপত্র সবার অগোচরে সরিয়ে নেন।

“যে কোন জিনিস হতে পারে, পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে সেক্স টয়, ড্রাগ, বন্দুক, অর্থ – যে কোন কিছু।”

না বলা কথা :

একবার তিনি এরকম এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বক্তব্য রাখছিলেন। তখন মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু হঠাৎ করে তার কথা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।

“আমি তাকে বসতে বলি, বলি চুপ করে থাকতে। তাকে বলি তার বন্ধু যেসব কথা বলে গেছে, আমার বলার জন্য, সেসব শুনতে। কথাটা হচ্ছে – তিনি যখন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন তার ঘনিষ্ঠ ওই বন্ধু তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার ব্যাপারে তাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন।”

বিল জানান এর পর ওই ব্যক্তি “সুর সুর করে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে চলে যান।” মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে আরো কয়েকজন ব্যক্তিকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। “কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিউনারাল সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।