Dhaka ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

বিজিবি- বিএসএফ বৈঠকে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১৯ Time View

পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি-ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ডিজি পর্যায়ের বৈঠকের আলোচনায় সীমান্ত হত্যা ও মাদক চোরাচালান বন্ধের বিষয়টি প্রধান্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি ও বিএসএফ প্রধানের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে।

৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের বৈঠক বিকেল ৩ টার দিকে শেষ হয়েছে বলে জানান বিজিবি।

এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা অথবা সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া অথবা আটক রাখা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম অথবা বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারী নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন ও ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পাবর্ত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সম্মেলনে যোগদানের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল বুধবার পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে এসে পৌঁছেছেন বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন শেষে বিএসএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহন করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ ও বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।

বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বিজিবি- বিএসএফ বৈঠকে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে

Update Time : ০২:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি-ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ডিজি পর্যায়ের বৈঠকের আলোচনায় সীমান্ত হত্যা ও মাদক চোরাচালান বন্ধের বিষয়টি প্রধান্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি ও বিএসএফ প্রধানের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে।

৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের বৈঠক বিকেল ৩ টার দিকে শেষ হয়েছে বলে জানান বিজিবি।

এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা অথবা সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া অথবা আটক রাখা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম অথবা বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারী নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন ও ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পাবর্ত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সম্মেলনে যোগদানের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল বুধবার পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে এসে পৌঁছেছেন বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন শেষে বিএসএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহন করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ ও বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।

বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।