Dhaka ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজলী মরিচের ঝাল দাম দুটোই বেশি,লাভের অংক গুনছে চাষিরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০
  • ১৭৭ Time View

টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া :

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটি সোনার চেয়েও খাটি এতে কোনো সন্দেহ নেই।

এ উপজেলার ফসলি জমির মাটিতে উর্বরশক্তি অনেক বেশি রয়েছে। একারণে প্রায় সবধরনের ফসলের চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। কিন্তু আগে এ উপজেলার কৃষকরা বেশিরভাগ ধানের চাষাবাদ করতো। রবিশস্য চাষাবাদে একেবারেই গুরুত্ব দিতো না। এখন আবার রবিশস্য চাষাবাদে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। সেকারণে প্রায় সবধরনের ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে। এটাও কৃষকদের জন্য বড় একরকম সাফল্য হিসেবে গণ্য করা হয়। মরিচ সবচেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। মরিচ ছাড়া ৩ বেলা খাবার রান্না করা যায় না।

একারণে মরিচের যেমন ঝাল তেমন দামও বেশি। এবছর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। কাঁচামরিচের এতো বেশি দাম শুনেই ক্রেতাদের হতাশ হতে হয়েছে। তবুও নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই কিনতে হয় কাঁচামরিচ। প্রতি বছর এভাবেই কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পায়। সেকারণে মরিচ চাষিরা গুনে থাকে লাভের অংক। এবারো তাই গুনছে।

এ উপজেলায় বেশিরভাগ বিজলী মরিচের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। উপজেলার তেঘরী মাঠের জমিতে প্রায় সবাই বিজলী মরিচ চাষাবাদ করেছে। তেঘরী গ্রামের কৃষক শামীম হাসান, জাকারিয়া হোসেন জিম ও রমেন উদ্দিন বলেছে, আমরা বিজলী মরিচ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। তাই এবারো বিজলী মরিচ চাষ করেছি। আগস্ট মাসের শেষের দিকে মরিচ চাষ শুরু করেছি। ৬ মাস জমি থেকে মরিচ উঠানো হবে। প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১৫ দিন পরপর প্রতি বিঘা জমি থেকে ১০/১২ মণ মরিচ উঠানো হয়। ৬ মাসে প্রায় ২ লাখ টাকার মরিচ বিক্রয় করা হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলায় মরিচ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মরিচ চাষীরা অনেক লাভবান হবে। উপজেলার হাট-বাজারে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রয় হচ্ছে। যে কারণে কৃষকদের মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি রবিশস্য’র ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বিজলী মরিচের ঝাল দাম দুটোই বেশি,লাভের অংক গুনছে চাষিরা

Update Time : ০৯:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০

টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া :

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটি সোনার চেয়েও খাটি এতে কোনো সন্দেহ নেই।

এ উপজেলার ফসলি জমির মাটিতে উর্বরশক্তি অনেক বেশি রয়েছে। একারণে প্রায় সবধরনের ফসলের চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। কিন্তু আগে এ উপজেলার কৃষকরা বেশিরভাগ ধানের চাষাবাদ করতো। রবিশস্য চাষাবাদে একেবারেই গুরুত্ব দিতো না। এখন আবার রবিশস্য চাষাবাদে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। সেকারণে প্রায় সবধরনের ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে। এটাও কৃষকদের জন্য বড় একরকম সাফল্য হিসেবে গণ্য করা হয়। মরিচ সবচেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। মরিচ ছাড়া ৩ বেলা খাবার রান্না করা যায় না।

একারণে মরিচের যেমন ঝাল তেমন দামও বেশি। এবছর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। কাঁচামরিচের এতো বেশি দাম শুনেই ক্রেতাদের হতাশ হতে হয়েছে। তবুও নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই কিনতে হয় কাঁচামরিচ। প্রতি বছর এভাবেই কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পায়। সেকারণে মরিচ চাষিরা গুনে থাকে লাভের অংক। এবারো তাই গুনছে।

এ উপজেলায় বেশিরভাগ বিজলী মরিচের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। উপজেলার তেঘরী মাঠের জমিতে প্রায় সবাই বিজলী মরিচ চাষাবাদ করেছে। তেঘরী গ্রামের কৃষক শামীম হাসান, জাকারিয়া হোসেন জিম ও রমেন উদ্দিন বলেছে, আমরা বিজলী মরিচ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। তাই এবারো বিজলী মরিচ চাষ করেছি। আগস্ট মাসের শেষের দিকে মরিচ চাষ শুরু করেছি। ৬ মাস জমি থেকে মরিচ উঠানো হবে। প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১৫ দিন পরপর প্রতি বিঘা জমি থেকে ১০/১২ মণ মরিচ উঠানো হয়। ৬ মাসে প্রায় ২ লাখ টাকার মরিচ বিক্রয় করা হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলায় মরিচ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মরিচ চাষীরা অনেক লাভবান হবে। উপজেলার হাট-বাজারে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রয় হচ্ছে। যে কারণে কৃষকদের মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি রবিশস্য’র ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।