Dhaka ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক’

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩১ Time View

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। আন্দোলনের নামে বিএনপি কেবল তর্জন-গর্জনই সার।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সব সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। মানবিক কারণে বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।’

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এই বিএনপি ঢাকা মহানগরিতে একটা বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি! শেখ হাসিনা মানবিকতা, উদারতা, বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি চিন্তা করে তাকে আজকে কারাদন্ডাদেশ স্থগিত করে ছয় মাস। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়,এটা শেখ হাসিনার মানবিকতা এবং উদারতার দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘তারা বারবার নির্বাচন আন্দোলনের প্রত্যাখাত হয়ে বারবার বিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনো কোরবানির পরে আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি। আজকে বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চাই, আর সাংবাদিকদেরও বলতে চাই, আপনারা কি বিশ্বাস করে বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাড়ে তর্জন-গর্জনের সার কি না?’

আওয়ামী লীগ টানা মেয়াদে সরকারে আছে। তারপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য ওঠানামার পেছনে একটা সিন্ডিকেট সবসময় কাজ করে। তবে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে এ কথাটা ঠিক নয়। আপনি প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য, কোথাও আমদানি-রফতানিতে আগের পর্যায়ে কেউ নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা ব্যাপার আছে। যেমন- পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি। ভারতে কর্নাটক, মহারাষ্ট্রেও পেঁয়াজের উৎপাদন কম নয়। তখন সেখানে একটা সংকট হয়। সে কারণে তারা বন্ধ করে দেয় রফতানি। কিন্তু আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও এগুলো উঠানামা করবে। এখন বর্ষা, এসময়ে একটু দ্রব্যমূল্য বাড়ে, আবারও এগুলো ঠিক হয়ে আসে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আপনাদেরকে তার বিফ্রিংয়ে বলে থাকেন। কাজেই এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।

আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকান্ড পূর্ণ উদ্যোমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ৩ নভেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

‘বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক’

Update Time : ১২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। আন্দোলনের নামে বিএনপি কেবল তর্জন-গর্জনই সার।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সব সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। মানবিক কারণে বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।’

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এই বিএনপি ঢাকা মহানগরিতে একটা বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি! শেখ হাসিনা মানবিকতা, উদারতা, বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি চিন্তা করে তাকে আজকে কারাদন্ডাদেশ স্থগিত করে ছয় মাস। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়,এটা শেখ হাসিনার মানবিকতা এবং উদারতার দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘তারা বারবার নির্বাচন আন্দোলনের প্রত্যাখাত হয়ে বারবার বিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনো কোরবানির পরে আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি। আজকে বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চাই, আর সাংবাদিকদেরও বলতে চাই, আপনারা কি বিশ্বাস করে বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাড়ে তর্জন-গর্জনের সার কি না?’

আওয়ামী লীগ টানা মেয়াদে সরকারে আছে। তারপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য ওঠানামার পেছনে একটা সিন্ডিকেট সবসময় কাজ করে। তবে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে এ কথাটা ঠিক নয়। আপনি প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য, কোথাও আমদানি-রফতানিতে আগের পর্যায়ে কেউ নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা ব্যাপার আছে। যেমন- পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি। ভারতে কর্নাটক, মহারাষ্ট্রেও পেঁয়াজের উৎপাদন কম নয়। তখন সেখানে একটা সংকট হয়। সে কারণে তারা বন্ধ করে দেয় রফতানি। কিন্তু আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও এগুলো উঠানামা করবে। এখন বর্ষা, এসময়ে একটু দ্রব্যমূল্য বাড়ে, আবারও এগুলো ঠিক হয়ে আসে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আপনাদেরকে তার বিফ্রিংয়ে বলে থাকেন। কাজেই এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।

আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকান্ড পূর্ণ উদ্যোমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ৩ নভেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন।