Dhaka ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • ৫০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 বৃহস্পতিবার (৯ই জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

বাজেটে সবারই চোখ থাকে কোন পণ্যের দাম কমতে এবং কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে, তার ওপর।

বাজেট ঘোষণার ওপর বাজারের বিভিন্ন পণ্যের ওঠা-নামা বা নতুন দাম নির্ধারণ নির্ভর করে। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় থাকবে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়। এসব কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে বলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে জানান অর্থমন্ত্রী।

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের 

>মুড়ি ও চিনি: মুড়ি ও চিনির উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।

>গমের আটা: গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

>দেশি মোবাইল ফোন ব্যাটারি, চার্জার ও ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিসপ্লে: তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

>পাওয়ার টিলার: পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

> ব্রেইল: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

>কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারি: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

> বিশেষায়িত হুইল চেয়ার: শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

> কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

>রড: এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।

> পলিথিন ব্যাগ: পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে।

এছাড়াও জুয়েলারি শিল্পের প্রসারে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণালংকার আগের তুলনায় কম দামে মিলতে পারে। এছাড়া এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, টোনার, হার্ডডিস্ক, সিসিটিভি এবং অন্যান্য আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

কমতে পারে কৃষি যন্ত্রপাতি, দেশীয় মোটরগাড়ি, দেশীয় ডায়াপার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্রেশার কুকার, পাওয়ার টিলার, মাইক্রোবাস, হাইব্রিড গাড়ি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ক্যাপসিকাম, পেপার, স্পিনিং মিলের পেপার, পানির ফিল্টার, বিমানের জন্য ব্যবহৃত টায়ার, কাজু-বাদাম ও পেস্তা বাদাম ও নির্মাণ সামগ্রীর।

বরাবরের মতো এবারের বাজেটও ঘাটতি বাজেট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

উপস্থাপিত বাজেটে কর বাবদ আয়  ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজস্ব বহির্ভূত আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

Update Time : ০৪:২৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 বৃহস্পতিবার (৯ই জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

বাজেটে সবারই চোখ থাকে কোন পণ্যের দাম কমতে এবং কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে, তার ওপর।

বাজেট ঘোষণার ওপর বাজারের বিভিন্ন পণ্যের ওঠা-নামা বা নতুন দাম নির্ধারণ নির্ভর করে। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় থাকবে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়। এসব কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে বলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে জানান অর্থমন্ত্রী।

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের 

>মুড়ি ও চিনি: মুড়ি ও চিনির উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।

>গমের আটা: গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

>দেশি মোবাইল ফোন ব্যাটারি, চার্জার ও ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিসপ্লে: তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

>পাওয়ার টিলার: পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

> ব্রেইল: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

>কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারি: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

> বিশেষায়িত হুইল চেয়ার: শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

> কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

>রড: এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।

> পলিথিন ব্যাগ: পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে।

এছাড়াও জুয়েলারি শিল্পের প্রসারে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণালংকার আগের তুলনায় কম দামে মিলতে পারে। এছাড়া এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, টোনার, হার্ডডিস্ক, সিসিটিভি এবং অন্যান্য আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

কমতে পারে কৃষি যন্ত্রপাতি, দেশীয় মোটরগাড়ি, দেশীয় ডায়াপার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্রেশার কুকার, পাওয়ার টিলার, মাইক্রোবাস, হাইব্রিড গাড়ি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ক্যাপসিকাম, পেপার, স্পিনিং মিলের পেপার, পানির ফিল্টার, বিমানের জন্য ব্যবহৃত টায়ার, কাজু-বাদাম ও পেস্তা বাদাম ও নির্মাণ সামগ্রীর।

বরাবরের মতো এবারের বাজেটও ঘাটতি বাজেট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

উপস্থাপিত বাজেটে কর বাবদ আয়  ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজস্ব বহির্ভূত আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।