Dhaka ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে: ফরিদা আখতার ‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • ৯০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর,বি ও ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আইদেশি) যৌথভাবে প্রায় ২০০ কোভিড-১৯ নমুনার সিকোস্লেপিংস করে বাংলাদেশে বি.১.১.৭ (যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৩৫১ (সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৫২৫ (নাইজেরিয়া ভ্যারিয়েন্ট) ও বি.১.৬১৭.২ (ভারত ভ্যারিয়েট) শনাক্ত করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালে সার্স-কভ-২ প্রথম শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত এর অনেক ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্তে আইইডিসিআর করোনাভাইরাস অতিমারীর শুরুর পর্যায় থেকে অ্যাকটিভ কন্স সার্চ, করোনা শনাক্তকরণ, কনটাক্ট ট্রলিং ও জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনায় বিশ্বের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আইইডিসিআর ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে রোগতাত্ত্বিক তদন্ত ও সন্দেহজনক রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইইডিসিআর এপ্রিল মাসে ভারত থেকে আসা ২৬ সন্দেহজনক করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে। এতে ৬ জনের নমুনায় বি.১.৬১৭.২ (ভারত ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত করা হয়। ভ্যারিয়েন্টটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েট অফ কনসার্ন বা উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৪ টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্ত রোগীদের সকলেরই ১ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন স্থানে (চেলাহ, ব্যাঙ্গালুরু, হরিয়ানাও পশ্চিমবঙ্গ) চিকিৎসার উদ্দেশে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এই ছয়জনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের বয়স ৫ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে।

এরা সবাই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন হাসপাতালে তারা আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ক্যানসারসহ অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি পরবর্তী সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে শনাক্তকৃত ভারত ভ্যারিয়েন্টের সিকোয়েন্স বৈশ্বিক ডাটাবেজ জিআইএস আইডিতে জমা দেয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত

Update Time : ০১:৪০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর,বি ও ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আইদেশি) যৌথভাবে প্রায় ২০০ কোভিড-১৯ নমুনার সিকোস্লেপিংস করে বাংলাদেশে বি.১.১.৭ (যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৩৫১ (সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৫২৫ (নাইজেরিয়া ভ্যারিয়েন্ট) ও বি.১.৬১৭.২ (ভারত ভ্যারিয়েট) শনাক্ত করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালে সার্স-কভ-২ প্রথম শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত এর অনেক ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্তে আইইডিসিআর করোনাভাইরাস অতিমারীর শুরুর পর্যায় থেকে অ্যাকটিভ কন্স সার্চ, করোনা শনাক্তকরণ, কনটাক্ট ট্রলিং ও জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনায় বিশ্বের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আইইডিসিআর ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে রোগতাত্ত্বিক তদন্ত ও সন্দেহজনক রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইইডিসিআর এপ্রিল মাসে ভারত থেকে আসা ২৬ সন্দেহজনক করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে। এতে ৬ জনের নমুনায় বি.১.৬১৭.২ (ভারত ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত করা হয়। ভ্যারিয়েন্টটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েট অফ কনসার্ন বা উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৪ টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্ত রোগীদের সকলেরই ১ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন স্থানে (চেলাহ, ব্যাঙ্গালুরু, হরিয়ানাও পশ্চিমবঙ্গ) চিকিৎসার উদ্দেশে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এই ছয়জনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের বয়স ৫ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে।

এরা সবাই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন হাসপাতালে তারা আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ক্যানসারসহ অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি পরবর্তী সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে শনাক্তকৃত ভারত ভ্যারিয়েন্টের সিকোয়েন্স বৈশ্বিক ডাটাবেজ জিআইএস আইডিতে জমা দেয়া হয়েছে।