Dhaka ০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লালজমিন’ প্রদর্শনের বিশেষ উদ্যোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • ১১২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয়ের নাটক ‘লালজমিন’ প্রদর্শনের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা বলে জানান মোমেনা চৌধুরী।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী বলেন, আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া ‘লালজমিন’। ইতিমধ্যে নাটকটি দেশের ৬০টি জেলা, উপজেলা, থানা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, কোরিয়া ও ভারতে ২৬৫টি মঞ্চায়ন হয়েছে। বাংলাদেশে থিয়েটারের ইতিহাসে একক অভিনীত কোনো নাটকের এমন মঞ্চায়নের ইতিহাস এই প্রথম। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘লালজমিন’ এর এত প্রদর্শনী আমার কাছে অপার্থিব আনন্দের।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘লালজমিন’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় (২০১৭-২০১৮) দুই অর্থ বছরের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৭৫টি প্রদর্শনী করা হয়েছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন কলেজে মঞ্চায়ন হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পুলিশ লাইনে মঞ্চায়ন অব্যাহত রয়েছে। এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘লালজমিন’ প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নাটকটি দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন উল্লেখ করে মোমেনা চৌধুরী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আন্তরিক প্রশংসা করে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্যবহ এই নাটকটির আরও বেশি মঞ্চায়ন হওয়া প্রয়োজন’।

শুন্যন রোপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘লালজমিন’ নাটকটি রচনা করেছেন বাংলাদেশের সদ্যপ্রয়াত প্রখ্যাত নাট্যকার মান্নান হীরা। আর নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ প্রতিভাবান নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী। এই নাটকে অভিনয়গুণে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন মোমেনা চৌধুরী।

‘লালজমিন’ নাটকটির গল্প মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ডচিত্রের বয়ান। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন কিশোরীর অংশগ্রহণ, গল্পের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহতা, মেয়েটির ত্যাগ- সবশেষে স্বাধীনতা অর্জন দর্শকদের এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ‘লালজমিন’।

‘লালজমিন’ কিশোরীর রক্তরাঙা অভিজ্ঞতার মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্য প্রকাশ। ‘লালজমিন’ নাটকের গল্প তেরো পেরিয়ে চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই এক কিশোরী কন্যার। কিশোরীর দু’চোখ জুড়ে মানিক বিলের আটক লাল পদ্মের জন্য প্রেম। সে কৈশোরেই শোনে বাবা-মায়ের মধ্যরাতের গুঞ্জন। শুধু দুটি শব্দ কিশোরীর মস্তকে আর মনে জেগে রয়, মুক্তি-স্বাধীনতা। ওই বয়সে কিশোরী এক ছায়ার কাছ থেকে প্রেম পায়। বাবা যুদ্ধে চলে যায়।

অগোচরে কিশোরী নানা কৌশলে যুদ্ধে যাওয়ার আয়োজন করে, সশস্ত্র যুদ্ধ। কিন্তু বয়স তাকে অনুমোদন দেয় না। এক পর্যায়ে কিশোরীর সেই ছায়া প্রেম সম্মুখে দাঁড়ায়। সে তার সেনাপতিকে চিনতে পারে। তারপর যুদ্ধযাত্রা। লক্ষ্যে পৌঁছবার আগেই পুরুষ যোদ্ধারা কেউ শহীদ হোন, কেউ নদীর জলে হারিয়ে যান। পাঁচ যুবতীসহ যুদ্ধযাত্রী এই কিশোরীর জীবনে ঘটে নানা অভিজ্ঞতা। চৌদ্দ বছরের কিশোরীর ধবধবে সাদাজমিন যুদ্ধকালীন নয় মাসে রক্তরাঙা হয়ে ওঠে।

দেশের বরেণ্য নাট্যাভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরীর প্রাণবন্ত অভিনয় নাটকটি নিমিষেই দর্শকদের আকৃষ্ট করে। চরিত্রানুযায়ী কণ্ঠের সূক্ষ্ম কাজ যেমন দেখিয়েছেন তেমনি নাচ এবং কোরিওগ্রাফিতে নিজেকে মিলিয়ে দিয়েছেন গল্পের বুনুনিতে। নাটকের পোশাক সেট আলো সবই যেন মোমেনা চৌধুরীকে নিয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে। মঞ্চে মোমেনা চৌধুরী যেন হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দলিল।

অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী কর্মজীবনে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে দীর্ঘ ২৫বছর কর্মরত ছিলেন।

তার অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে ‘বগুড়া থিয়েটার’-এ যোগদানের মধ্য দিয়ে। দলের একটি নাটকের রিহার্সেল চলাকালীন সে বছরই তার চাকরি হয়ে যায় গাজীপুরের ‘টাঁকশাল’-এ। চাকরিকালীন সেখানে তিনি ‘অবশিষ্ট মঞ্চায়ন পরিষদ’র সাথে যুক্ত হন। সেই দলের হয়ে ‘প্রত্যাশিত প্রলাপ’ নাটকের তিনটি প্রদর্শনীতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন।

এর পরপরই ১৯৯০ সালে তিনি ‘আরণ্যক’ নাট্যদলের সাথে যুক্ত হন। ‘ইবলিশ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মোমেনার আরন্যক যাত্রা। এরপর থেকে আজ অবধি এই দলেরই হয়ে আছেন। ‘আরণ্যক’র হয়ে মোমেনা অভিনয় করেছেন ‘সংক্রান্তি’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘প্রাকৃত জনকথা’ ইত্যাদি নাটকে। তবে তার অভিনয় জীবনের সেরা অর্জনের একটি ‘লালজমিন’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটম-লে ২০১১ সালের ১৯ মে শুন্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘লালজমিন’ নাটকের প্রথম মঞ্চায়ন হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লালজমিন’ প্রদর্শনের বিশেষ উদ্যোগ

Update Time : ০২:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয়ের নাটক ‘লালজমিন’ প্রদর্শনের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা বলে জানান মোমেনা চৌধুরী।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী বলেন, আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া ‘লালজমিন’। ইতিমধ্যে নাটকটি দেশের ৬০টি জেলা, উপজেলা, থানা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, কোরিয়া ও ভারতে ২৬৫টি মঞ্চায়ন হয়েছে। বাংলাদেশে থিয়েটারের ইতিহাসে একক অভিনীত কোনো নাটকের এমন মঞ্চায়নের ইতিহাস এই প্রথম। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘লালজমিন’ এর এত প্রদর্শনী আমার কাছে অপার্থিব আনন্দের।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘লালজমিন’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় (২০১৭-২০১৮) দুই অর্থ বছরের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৭৫টি প্রদর্শনী করা হয়েছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন কলেজে মঞ্চায়ন হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পুলিশ লাইনে মঞ্চায়ন অব্যাহত রয়েছে। এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘লালজমিন’ প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নাটকটি দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন উল্লেখ করে মোমেনা চৌধুরী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আন্তরিক প্রশংসা করে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্যবহ এই নাটকটির আরও বেশি মঞ্চায়ন হওয়া প্রয়োজন’।

শুন্যন রোপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘লালজমিন’ নাটকটি রচনা করেছেন বাংলাদেশের সদ্যপ্রয়াত প্রখ্যাত নাট্যকার মান্নান হীরা। আর নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ প্রতিভাবান নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী। এই নাটকে অভিনয়গুণে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন মোমেনা চৌধুরী।

‘লালজমিন’ নাটকটির গল্প মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ডচিত্রের বয়ান। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন কিশোরীর অংশগ্রহণ, গল্পের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহতা, মেয়েটির ত্যাগ- সবশেষে স্বাধীনতা অর্জন দর্শকদের এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ‘লালজমিন’।

‘লালজমিন’ কিশোরীর রক্তরাঙা অভিজ্ঞতার মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্য প্রকাশ। ‘লালজমিন’ নাটকের গল্প তেরো পেরিয়ে চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই এক কিশোরী কন্যার। কিশোরীর দু’চোখ জুড়ে মানিক বিলের আটক লাল পদ্মের জন্য প্রেম। সে কৈশোরেই শোনে বাবা-মায়ের মধ্যরাতের গুঞ্জন। শুধু দুটি শব্দ কিশোরীর মস্তকে আর মনে জেগে রয়, মুক্তি-স্বাধীনতা। ওই বয়সে কিশোরী এক ছায়ার কাছ থেকে প্রেম পায়। বাবা যুদ্ধে চলে যায়।

অগোচরে কিশোরী নানা কৌশলে যুদ্ধে যাওয়ার আয়োজন করে, সশস্ত্র যুদ্ধ। কিন্তু বয়স তাকে অনুমোদন দেয় না। এক পর্যায়ে কিশোরীর সেই ছায়া প্রেম সম্মুখে দাঁড়ায়। সে তার সেনাপতিকে চিনতে পারে। তারপর যুদ্ধযাত্রা। লক্ষ্যে পৌঁছবার আগেই পুরুষ যোদ্ধারা কেউ শহীদ হোন, কেউ নদীর জলে হারিয়ে যান। পাঁচ যুবতীসহ যুদ্ধযাত্রী এই কিশোরীর জীবনে ঘটে নানা অভিজ্ঞতা। চৌদ্দ বছরের কিশোরীর ধবধবে সাদাজমিন যুদ্ধকালীন নয় মাসে রক্তরাঙা হয়ে ওঠে।

দেশের বরেণ্য নাট্যাভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরীর প্রাণবন্ত অভিনয় নাটকটি নিমিষেই দর্শকদের আকৃষ্ট করে। চরিত্রানুযায়ী কণ্ঠের সূক্ষ্ম কাজ যেমন দেখিয়েছেন তেমনি নাচ এবং কোরিওগ্রাফিতে নিজেকে মিলিয়ে দিয়েছেন গল্পের বুনুনিতে। নাটকের পোশাক সেট আলো সবই যেন মোমেনা চৌধুরীকে নিয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে। মঞ্চে মোমেনা চৌধুরী যেন হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দলিল।

অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী কর্মজীবনে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে দীর্ঘ ২৫বছর কর্মরত ছিলেন।

তার অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে ‘বগুড়া থিয়েটার’-এ যোগদানের মধ্য দিয়ে। দলের একটি নাটকের রিহার্সেল চলাকালীন সে বছরই তার চাকরি হয়ে যায় গাজীপুরের ‘টাঁকশাল’-এ। চাকরিকালীন সেখানে তিনি ‘অবশিষ্ট মঞ্চায়ন পরিষদ’র সাথে যুক্ত হন। সেই দলের হয়ে ‘প্রত্যাশিত প্রলাপ’ নাটকের তিনটি প্রদর্শনীতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন।

এর পরপরই ১৯৯০ সালে তিনি ‘আরণ্যক’ নাট্যদলের সাথে যুক্ত হন। ‘ইবলিশ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মোমেনার আরন্যক যাত্রা। এরপর থেকে আজ অবধি এই দলেরই হয়ে আছেন। ‘আরণ্যক’র হয়ে মোমেনা অভিনয় করেছেন ‘সংক্রান্তি’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘প্রাকৃত জনকথা’ ইত্যাদি নাটকে। তবে তার অভিনয় জীবনের সেরা অর্জনের একটি ‘লালজমিন’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটম-লে ২০১১ সালের ১৯ মে শুন্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘লালজমিন’ নাটকের প্রথম মঞ্চায়ন হয়।