Dhaka ০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথকস্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৫০ Time View

কুষ্টিয়া ও নড়াইলের পৃথকস্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পৃথকস্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন এক গৃহবধু। অন্যদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ তিন জনের মৃত্যু হয়।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া মাঠে বজ্রপাতে মারা যান কামাল (২৫) ও মহিবুল (২৭) নামে দুই কৃষক। এরা নাটপাড়া গ্রামের আবুজেল ও নুরুর ছেলে। মাঠে কাজ করা অবস্থায় বৃষ্টির সঙ্গে প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

এছাড়া বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার চকদৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বজ্রপাতে নাহারুল ইসলাম (৫০) নামে এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়। তিনি দৌলতপুর থানা বাজারের নৈশ প্রহরী ছিলেন। এসময় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী কমেলা খাতুন (৪৫)।

স্থানীয়রা জানায়, নাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কমেলা খাতুন নিজ বাড়িতে টিনের ঘরে কাজ করা অবস্থায় বৃষ্টির সাথে প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই নাহারুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এসময় তার স্ত্রী কমেলা খাতুন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি নিশিকান্ত সরকার বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে ও দিগদাইড় ইউনিয়নের বুড়ারদহ ব্রীজে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কাতলাহার গ্রামের সুবাস চন্দ্র রায়ের ছেলে সুমন চন্দ্র রায় (১৭), মধুপুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেন (৩৫) ও তার ছেলে সিয়াম হোসেন (১০)।

সোনাতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন জানান, উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বড়ুারদহ ব্রীজের কাছে মাছ ধরছিলেন এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুমন কুমার (১৬)। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত সুমন কাতলাহার গ্রামের সুভাষ কুমারের ছেলে।

অপরদিকে বেলা ১২টার দিকে সোনাতলা থানার মধুপুর গ্রামের মাটিয়ালি বিলে মাছ ধরার সময় বাবা সিদ্দিক হোসেন (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১০) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

পৃথকস্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু

Update Time : ০২:২৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুষ্টিয়া ও নড়াইলের পৃথকস্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পৃথকস্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন এক গৃহবধু। অন্যদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ তিন জনের মৃত্যু হয়।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া মাঠে বজ্রপাতে মারা যান কামাল (২৫) ও মহিবুল (২৭) নামে দুই কৃষক। এরা নাটপাড়া গ্রামের আবুজেল ও নুরুর ছেলে। মাঠে কাজ করা অবস্থায় বৃষ্টির সঙ্গে প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

এছাড়া বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার চকদৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বজ্রপাতে নাহারুল ইসলাম (৫০) নামে এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়। তিনি দৌলতপুর থানা বাজারের নৈশ প্রহরী ছিলেন। এসময় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী কমেলা খাতুন (৪৫)।

স্থানীয়রা জানায়, নাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কমেলা খাতুন নিজ বাড়িতে টিনের ঘরে কাজ করা অবস্থায় বৃষ্টির সাথে প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই নাহারুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এসময় তার স্ত্রী কমেলা খাতুন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি নিশিকান্ত সরকার বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে ও দিগদাইড় ইউনিয়নের বুড়ারদহ ব্রীজে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কাতলাহার গ্রামের সুবাস চন্দ্র রায়ের ছেলে সুমন চন্দ্র রায় (১৭), মধুপুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেন (৩৫) ও তার ছেলে সিয়াম হোসেন (১০)।

সোনাতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন জানান, উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বড়ুারদহ ব্রীজের কাছে মাছ ধরছিলেন এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুমন কুমার (১৬)। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত সুমন কাতলাহার গ্রামের সুভাষ কুমারের ছেলে।

অপরদিকে বেলা ১২টার দিকে সোনাতলা থানার মধুপুর গ্রামের মাটিয়ালি বিলে মাছ ধরার সময় বাবা সিদ্দিক হোসেন (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১০) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন।