Dhaka ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান যেকোনও মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে: শেহবাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৭ Time View

কাশ্মিরে হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি বন্টন চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান আগেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পানি আটকে দেওয়ার যে কোনও পদক্ষেপ “যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে গণ্য হবে”।

এমন অবস্থায় সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে আবারও কড়া বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান যেকোনও মূল্যে পানির অধিকার রক্ষা করবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না এবং পাকিস্তান যে কোনো মূল্যেই নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে।

শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান-এর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। আলাপে তিনি আবারও নিশ্চিত করেন, সন্ত্রাসবাদের যেকোনও ধরনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান।

শেহবাজ শরিফ স্পষ্ট করে বলেন, ভারতশাসিত কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার সাথে পাকিস্তানের কোনো সরাসরি বা পরোক্ষ সম্পর্ক নেই। বরং, গত দুই দশকে পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের অন্যতম বড় শিকার, যেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পেহেলগাম ঘটনার বিষয়ে পাকিস্তান নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রস্তুত।

পেহেলগাম হামলার পর ভারতের উত্তেজক পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চলজুড়ে শান্তি চায় এবং যদি ইরান এই বিষয়ে কোনও ভূমিকা রাখতে চায়, তবে পাকিস্তান তা স্বাগত জানাবে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সবসময় কাশ্মিরি জনগণের পাশে থাকবে এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ন্যায্য দাবির পক্ষে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে সমর্থন দিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, কাশ্মিরের ভারত-শাসিত অঞ্চলে ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। বহু কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন এবং তারা চায়, অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানে যোগ দিক অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।

ভারত দাবি করে থাকে, এটি পাকিস্তান-প্রভাবিত “সন্ত্রাসবাদ”। অন্যদিকে পাকিস্তান বলে— এটি একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। দীর্ঘ সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

পাকিস্তান যেকোনও মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে: শেহবাজ

Update Time : ০৩:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মিরে হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি বন্টন চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান আগেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পানি আটকে দেওয়ার যে কোনও পদক্ষেপ “যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে গণ্য হবে”।

এমন অবস্থায় সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে আবারও কড়া বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান যেকোনও মূল্যে পানির অধিকার রক্ষা করবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না এবং পাকিস্তান যে কোনো মূল্যেই নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে।

শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান-এর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। আলাপে তিনি আবারও নিশ্চিত করেন, সন্ত্রাসবাদের যেকোনও ধরনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান।

শেহবাজ শরিফ স্পষ্ট করে বলেন, ভারতশাসিত কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার সাথে পাকিস্তানের কোনো সরাসরি বা পরোক্ষ সম্পর্ক নেই। বরং, গত দুই দশকে পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের অন্যতম বড় শিকার, যেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পেহেলগাম ঘটনার বিষয়ে পাকিস্তান নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রস্তুত।

পেহেলগাম হামলার পর ভারতের উত্তেজক পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চলজুড়ে শান্তি চায় এবং যদি ইরান এই বিষয়ে কোনও ভূমিকা রাখতে চায়, তবে পাকিস্তান তা স্বাগত জানাবে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সবসময় কাশ্মিরি জনগণের পাশে থাকবে এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ন্যায্য দাবির পক্ষে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে সমর্থন দিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, কাশ্মিরের ভারত-শাসিত অঞ্চলে ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। বহু কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন এবং তারা চায়, অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানে যোগ দিক অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।

ভারত দাবি করে থাকে, এটি পাকিস্তান-প্রভাবিত “সন্ত্রাসবাদ”। অন্যদিকে পাকিস্তান বলে— এটি একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। দীর্ঘ সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।