অনলাইন ডেস্ক: লকডাউনের পুরো সময়টা স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী ছিলেন বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ের অনুমতি থাকায় দীর্ঘ সময় পর আবারও কাজে ফিরেছেন এই চিত্রনায়িকা। আর তারই অংশ হিসেবে পাঁচ দিনের সফরে খুলনায় গেলেন এ চিত্রনায়িকা। তার সফর সঙ্গি হিসেবে আছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির বড় একটি দল।
শুক্রবার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চেপে যশোরের উদ্দেশে উড়াল দেন নির্মাতা রায়হান জুয়েল, আবু হুরায়রা তানভীর, সিয়াম আহমেদসহ অনেকেই। যশোর থেকে ওইদিন রাতেই খুলনায় পাড়ি দিয়েছেন তারা।
অনেকদিন পরে শুটিংয়ে এসে পরীমনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে অনেক দিন পর খাঁচা থেকে মুক্তি পেলাম। কাজে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অসাধারণ একটা টিম। এর আগেও, এই টিমের সঙ্গে শুটিং করে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি। বিশেষ করে টিমের জানবাচ্চাগুলোর সঙ্গে কাজ করে খুবই ভালো লাগে। ওদের সঙ্গে আবারও মেতে ওঠার সুযোগ পেলাম।’
নির্মাতা রায়হান জুয়েল বলেন, ‘৫ দিনের সফরে বেরিয়েছি। এ সময় শুটিং করবেন খুলনার বেশক’টি নদী অঞ্চলে। এরপর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরে ১১ তারিখ থেকে আবারও শুটিং করব সদরঘাটে।’
চলতি বছর ১৪ মার্চ ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির শুটিং শুরু হয়। এদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে ভাড়া করা আস্ত একটি লঞ্চ নিয়ে শুটিংয়ে গিয়েছিলে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম। মূল শিল্পী ছাড়াও একঝাঁক শিশু ছিল তাদের সঙ্গে। লক্ষ্য ছিল, ঢাকা টু সুন্দরবনের এই জলভ্রমণের মাধ্যমে টানা ২৫ দিনে শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরবে লঞ্চটি। পরিচালকের পরিকল্পনা ছিল শতভাগ কাজ শেষ করেই ঢাকায় ফেরার। তবে তা হয়নি। করোনার প্রাদুর্ভাব এবং প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ৮ দিনের শুটিং বাকি রেখেই লঞ্চটিকে ফিরে আসতে হলো সদরঘাটে।
এই ৮ দিনের শুটিং শেষ করার কথা ছিল সদরঘাট এলাকায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। লকডাউনের সময় এমনটাই জানিয়েছিলেন নির্মাতা রায়হান জুয়েল। তবে সেই পরিকল্পনা পাল্টে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম বিমানযোগে উড়াল দিলো খুলনায়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। ছবির অন্যতম দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, কচি খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক শিশুশিল্পী।