Dhaka ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে পুলিশের চাকরি ছাড়লেন ৫ এএসপি তিন দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না : ডিএমপি ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে, এনবিআর যেভাবে ভাগ করা হয়েছে, সেরকমই থাকবে: অর্থ উপদেষ্টা সারাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি, কারামুক্ত হয়ে নুসরাত ফারিয়া ইশরাককে মেয়র ঘোষণা না দিলে সব সেবা বন্ধের হুমকি কর্মচারীদের বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট ফিরে গেল কলকাতায়

পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ২৬ Time View

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর স্টেট সেক্রেটারি স্টাইন রেনাটে হাহেইমের নেতৃত্বে একটি নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (২০মে) সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে নরওয়ের দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা গানহিল্ড এরিকসেন, ক্রিস্টিন লুন্ডেন ও রাষ্ট্রদূত আরাল্ড গুলব্রাডসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী নবায়নযোগ্য শক্তি নীতির প্রশংসা করে নরওয়েজিয়ান দল।

রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু তহবিলের সুষম বণ্টন, লবণাক্ততা ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুপেয় পানি ও অভিযোজন প্রকল্পে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বন ও নদী সংরক্ষণ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের নদী ও বনাঞ্চল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ এখানেই ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, ভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়নের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এছাড়া কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশগত ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি উল্লেখ করেন, এই শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণ এখনও উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার ছাড়া এটিকে ‘সবুজ’ হিসেবে প্রচার করা যায় না। নরওয়ের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও নীতিগত সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। রিজওয়ানা হাসান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হলো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা। আমরা নদী ও বন রক্ষায় কাজ করছি, কিন্তু জাহাজ ভাঙা শিল্পের মতো ক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানবাধিকারের প্রশ্নে আপস করব না।

স্টাইন রেনাটে হাহেইম বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের অগ্রগতিতে গভীরভাবে সমর্থন জানায়। আমরা টেকসই উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও নরওয়ে দুই দেশই জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ ও সবুজ শিল্পের প্রসারে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে

পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক

Update Time : ১১:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর স্টেট সেক্রেটারি স্টাইন রেনাটে হাহেইমের নেতৃত্বে একটি নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (২০মে) সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে নরওয়ের দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা গানহিল্ড এরিকসেন, ক্রিস্টিন লুন্ডেন ও রাষ্ট্রদূত আরাল্ড গুলব্রাডসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী নবায়নযোগ্য শক্তি নীতির প্রশংসা করে নরওয়েজিয়ান দল।

রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু তহবিলের সুষম বণ্টন, লবণাক্ততা ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুপেয় পানি ও অভিযোজন প্রকল্পে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বন ও নদী সংরক্ষণ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের নদী ও বনাঞ্চল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ এখানেই ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, ভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়নের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এছাড়া কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশগত ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি উল্লেখ করেন, এই শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণ এখনও উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার ছাড়া এটিকে ‘সবুজ’ হিসেবে প্রচার করা যায় না। নরওয়ের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও নীতিগত সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। রিজওয়ানা হাসান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হলো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা। আমরা নদী ও বন রক্ষায় কাজ করছি, কিন্তু জাহাজ ভাঙা শিল্পের মতো ক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানবাধিকারের প্রশ্নে আপস করব না।

স্টাইন রেনাটে হাহেইম বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের অগ্রগতিতে গভীরভাবে সমর্থন জানায়। আমরা টেকসই উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও নরওয়ে দুই দেশই জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ ও সবুজ শিল্পের প্রসারে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।