Dhaka ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিবারসহ নাফিজ সরাফতের ফ্ল্যাট প্লট ও জমি ক্রোকের আদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৩৪ Time View

ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকায় পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে থাকা ১৯টি ফ্ল্যাট, চারটি প্লট, দুটি বাড়িসহ ৮৫ দশমিক ২৯ শতাংশ জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতসহ মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের ৩ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ তথা দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত বা বৈধ আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সাথে তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিগুলো অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

পরিবারসহ নাফিজ সরাফতের ফ্ল্যাট প্লট ও জমি ক্রোকের আদেশ

Update Time : ০১:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকায় পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে থাকা ১৯টি ফ্ল্যাট, চারটি প্লট, দুটি বাড়িসহ ৮৫ দশমিক ২৯ শতাংশ জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতসহ মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের ৩ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ তথা দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত বা বৈধ আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সাথে তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিগুলো অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।