Dhaka ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলার ভিডিও ধারন করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১২২ Time View

মনজু হোসেন,ব্যুরো প্রধান পঞ্চগড়:

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকে মারধরের ভিডিও ধারন করায় বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পঞ্চগড় প্রতিনিধি সাংবাদিক সোহাগ হায়দারের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় ও তার পরিবারের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগীতায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনায় দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকার সাংবাদিক মমতাজ আলীর উপরও হামলা হয় এবং তাদের বাঁচাতে গিয়ে সাংবাদিক মমতাজের স্ত্রী আসমা বেগম হামলার শিকার হয়।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন ভজনপুর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।

ভজনপুর বাজারে অবস্থিত পঞ্চগড় ডেন্টাল কেয়ারের, ডেন্টিস্ট, মোঃ রবিউল আলম বাবু জানান,গত ৭/৮ মাস আগে হাসিবুল ইসলাম নামে এক মুদি ব্যাবসায়ী দাতের স্কেলিং করে। কিন্তু হটাৎ গত কয়েক দিন থেকে সে বলছে আমার স্কেলিং ভালো হয়নি। আমি তাকে পরামর্শ দেই রংপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য। সে উল্টো আমাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত তিন দিন আগে মসজিদে নামাজের সময় আমাকে চর থাপ্পর দেয়। আজ দুপুরে চেম্বার খোলে নামাজে যাওয়ার সময় হাসিবুল ও তার বড় ছেলে ওলিউল্লাহ খান রনি,মেজো ছেলে আল আমিন ও ছোট ছেলে মানিকসহ এবং তার দোকানের কর্মচারী সহ ৫/৬ জন মিলে আমাকে মারার জন্য ধাওয়া দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে দৌাড়ে পাশের চায়ের দোকানে বশে থাকা সাংবাদিক মমতাজ আলীর কাছে আশ্রয় নেই। সেখানে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় সাংবাদিক ভিডিও ধারন করলে তার ফোন কেরে নিয়ে তাকেউ মারধর শুরু করে।

এদিকে সাংবাদিক মমতাজ আলী জানান, ডেন্টিস রবিউল আলম বাবুকে মারধর করলে সে ভয়ে আমার কাছে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রসীরা খান্ত না হলে আমি ভিডিও করতে থাকি। এসময় হাসিবুল ও তার ছেলে আমার মোবাইল ফোন কেরে নেয়। আমি দ্রত সাংবাদিক সোহাগ হায়দারকে ফোন দিলে সে ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই তার উপর হামলা শুরু করে। এক দিকে আমাকে মারধর করে অন্য দিকে সহকর্মী সোহাগকে মারধর করতে থাকে।

এবিষয় সাংবাদিক সোহাগ হায়দার জানান, আমি ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে আমাকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমাদের বাঁচাতে গিয়ে আসা আসমা বেগম ঐ সব সন্ত্রসীর হাতে শ্লীলতাহানি ও হামলার শিকার হয়। স্থানিয়রা দ্রুত থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলা লকারীরা সবাই পালিয়ে যায়।

এ বিষয় তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আবু সায়েম মিয়া জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলার ভিডিও ধারন করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

Update Time : ০৪:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মনজু হোসেন,ব্যুরো প্রধান পঞ্চগড়:

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকে মারধরের ভিডিও ধারন করায় বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পঞ্চগড় প্রতিনিধি সাংবাদিক সোহাগ হায়দারের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় ও তার পরিবারের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগীতায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনায় দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকার সাংবাদিক মমতাজ আলীর উপরও হামলা হয় এবং তাদের বাঁচাতে গিয়ে সাংবাদিক মমতাজের স্ত্রী আসমা বেগম হামলার শিকার হয়।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন ভজনপুর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।

ভজনপুর বাজারে অবস্থিত পঞ্চগড় ডেন্টাল কেয়ারের, ডেন্টিস্ট, মোঃ রবিউল আলম বাবু জানান,গত ৭/৮ মাস আগে হাসিবুল ইসলাম নামে এক মুদি ব্যাবসায়ী দাতের স্কেলিং করে। কিন্তু হটাৎ গত কয়েক দিন থেকে সে বলছে আমার স্কেলিং ভালো হয়নি। আমি তাকে পরামর্শ দেই রংপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য। সে উল্টো আমাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত তিন দিন আগে মসজিদে নামাজের সময় আমাকে চর থাপ্পর দেয়। আজ দুপুরে চেম্বার খোলে নামাজে যাওয়ার সময় হাসিবুল ও তার বড় ছেলে ওলিউল্লাহ খান রনি,মেজো ছেলে আল আমিন ও ছোট ছেলে মানিকসহ এবং তার দোকানের কর্মচারী সহ ৫/৬ জন মিলে আমাকে মারার জন্য ধাওয়া দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে দৌাড়ে পাশের চায়ের দোকানে বশে থাকা সাংবাদিক মমতাজ আলীর কাছে আশ্রয় নেই। সেখানে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় সাংবাদিক ভিডিও ধারন করলে তার ফোন কেরে নিয়ে তাকেউ মারধর শুরু করে।

এদিকে সাংবাদিক মমতাজ আলী জানান, ডেন্টিস রবিউল আলম বাবুকে মারধর করলে সে ভয়ে আমার কাছে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রসীরা খান্ত না হলে আমি ভিডিও করতে থাকি। এসময় হাসিবুল ও তার ছেলে আমার মোবাইল ফোন কেরে নেয়। আমি দ্রত সাংবাদিক সোহাগ হায়দারকে ফোন দিলে সে ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই তার উপর হামলা শুরু করে। এক দিকে আমাকে মারধর করে অন্য দিকে সহকর্মী সোহাগকে মারধর করতে থাকে।

এবিষয় সাংবাদিক সোহাগ হায়দার জানান, আমি ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে আমাকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমাদের বাঁচাতে গিয়ে আসা আসমা বেগম ঐ সব সন্ত্রসীর হাতে শ্লীলতাহানি ও হামলার শিকার হয়। স্থানিয়রা দ্রুত থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলা লকারীরা সবাই পালিয়ে যায়।

এ বিষয় তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আবু সায়েম মিয়া জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।