Dhaka ০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

নরেন্দ্র মোদি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত’ সন্ত্রাসী : পাকিস্তান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ১৮ Time View

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত” সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্যও ভারতকে দায়ী করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, তারা (ভারত) সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গেছে। কানাডার মতো দেশেও ভারত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেছেন—“বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘স্বীকৃত’ সন্ত্রাসী হচ্ছেন মোদি”। সোমবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত কেবল দেশে নয়, বিদেশেও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়েছে… তারা কানাডায় গিয়েও শিখ সম্প্রদায়ের নেতাদের টার্গেট করেছে।”

সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিনের সামরিক উত্তেজনার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ দাবি করেছেন, এই সংকটে পাকিস্তান কূটনৈতিক, সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক—সব দিক থেকেই সাফল্য পেয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বড় শিকার হলেও, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের ভেতরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সহায়তা দিয়ে এসেছে।

মোদির সম্প্রতি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে খাজা আসিফ বলেন, “মোদির কথাবার্তায় পরাজয়ের ছাপ স্পষ্ট”। তিনি আরও বলেন, কাশ্মির ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা এখনও খোলা আছে—এই স্বীকারোক্তি মোদির পক্ষ থেকেই এসেছে, যা পাকিস্তানের জন্য একটি “আশার দিক”।

খাজা আসিফ দাবি করেন, ভারতে মোদির জনপ্রিয়তা কমছে এবং সাধারণ মানুষ এখন তার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন, ভবিষ্যতে যেকোনও সংলাপে কাশ্মিরসহ সব মৌলিক ইস্যু তুলবে পাকিস্তান।

আসিফ বলেন, ভারত শুধু পাকিস্তানে নয়, কানাডার মতো দেশেও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ব সীমান্তে সরাসরি যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি, পশ্চিম সীমান্তে ভারতের মদদপুষ্ট গোষ্ঠী—তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)—পাকিস্তানে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে ভারত এসব গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। আগে পাকিস্তানকে পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে হতো না, কিন্তু ভারতের হস্তক্ষেপের কারণে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

খাজা আসিফ বলেন, গত ১০ মে পাকিস্তান যখন পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, তখন ভারত সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করে দ্রুত পাঁচটি দেশের কাছে সহায়তা চেয়েছিল যুদ্ধবিরতির জন্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

নরেন্দ্র মোদি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত’ সন্ত্রাসী : পাকিস্তান

Update Time : ০৩:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত” সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্যও ভারতকে দায়ী করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, তারা (ভারত) সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গেছে। কানাডার মতো দেশেও ভারত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেছেন—“বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘স্বীকৃত’ সন্ত্রাসী হচ্ছেন মোদি”। সোমবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত কেবল দেশে নয়, বিদেশেও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়েছে… তারা কানাডায় গিয়েও শিখ সম্প্রদায়ের নেতাদের টার্গেট করেছে।”

সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিনের সামরিক উত্তেজনার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ দাবি করেছেন, এই সংকটে পাকিস্তান কূটনৈতিক, সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক—সব দিক থেকেই সাফল্য পেয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বড় শিকার হলেও, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের ভেতরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সহায়তা দিয়ে এসেছে।

মোদির সম্প্রতি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে খাজা আসিফ বলেন, “মোদির কথাবার্তায় পরাজয়ের ছাপ স্পষ্ট”। তিনি আরও বলেন, কাশ্মির ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা এখনও খোলা আছে—এই স্বীকারোক্তি মোদির পক্ষ থেকেই এসেছে, যা পাকিস্তানের জন্য একটি “আশার দিক”।

খাজা আসিফ দাবি করেন, ভারতে মোদির জনপ্রিয়তা কমছে এবং সাধারণ মানুষ এখন তার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন, ভবিষ্যতে যেকোনও সংলাপে কাশ্মিরসহ সব মৌলিক ইস্যু তুলবে পাকিস্তান।

আসিফ বলেন, ভারত শুধু পাকিস্তানে নয়, কানাডার মতো দেশেও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ব সীমান্তে সরাসরি যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি, পশ্চিম সীমান্তে ভারতের মদদপুষ্ট গোষ্ঠী—তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)—পাকিস্তানে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে ভারত এসব গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। আগে পাকিস্তানকে পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে হতো না, কিন্তু ভারতের হস্তক্ষেপের কারণে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

খাজা আসিফ বলেন, গত ১০ মে পাকিস্তান যখন পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, তখন ভারত সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করে দ্রুত পাঁচটি দেশের কাছে সহায়তা চেয়েছিল যুদ্ধবিরতির জন্য।