Dhaka ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নন্দীগ্রামে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে ১৫৬ পরিবার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • 169
টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম (বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবার দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে।
উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা বরাদ্দ হতে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার কাজগুলো তদারকি করছেন।এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিগন নিয়মিত বাসগৃহ নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা প্রকৃত অসহায় গৃহহীন যাদের জায়গা জমি ঘরবাড়ি নেই তাদের সঠিক তালিকা তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দেওয়ার পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা নির্ধারণ করে গত নভেম্বর মাস থেকে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে কাজগুলো প্রায় সমাপ্তির পথে। অতি শীঘ্রই নির্ধারিত গৃহহীন পরিবারের নিকট দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃশারমিন আখতার বলেন, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ আমি নিজেই তদারকি করছি। যথারীতিভাবে সরকারী নিয়ম মেনেই শতভাগ কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। এই কাজে কোনো প্রকার অনিয়ম নেই। আর যদি কোথাও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় তাহলে আমি নিজেই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সরকারের উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে আমাদের যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনেই কাজগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ভূমিহীন পরিবারের বাসগৃহ নির্মাণ কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার নিজেই তদারকি করছেন। আমরা শতভাগ নিয়ম মেনেই বাসগৃহ নির্মাণ কাজ পরিচালনা  করছি। অনিয়ম করার কোনো প্রশ্নই আসে না। গোছন গ্রামের আমেনা বেওয়া, গোপালপুর গ্রামের হাসিনা বেগম, মাহামুদা খাতুন ও মাকছুদা বিবি জানান, আমরা মাথাগোঁজার ঠাই পেয়ে এই সরকারের উপর খুব খুশি হয়েছি। এর আগে কোনো সরকার আমাদের এরকম পাকা ঘর তৈরী করে দেয়নি। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। আমরা শেখ হাসিনার জন্য প্রান খুলে দোয়া করি।উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নে ১৯ টি, নন্দীগ্রাম ইউনিয়নে ৪৬ টি, ভাটরা ইউনিয়নে ১৪ টি, থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে ৪২ টি ও ভাটগ্রাম ইউনিয়নে ৩৫ টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

নন্দীগ্রামে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে ১৫৬ পরিবার

Update Time : ১২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম (বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবার দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে।
উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা বরাদ্দ হতে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার কাজগুলো তদারকি করছেন।এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিগন নিয়মিত বাসগৃহ নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা প্রকৃত অসহায় গৃহহীন যাদের জায়গা জমি ঘরবাড়ি নেই তাদের সঠিক তালিকা তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দেওয়ার পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা নির্ধারণ করে গত নভেম্বর মাস থেকে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে কাজগুলো প্রায় সমাপ্তির পথে। অতি শীঘ্রই নির্ধারিত গৃহহীন পরিবারের নিকট দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃশারমিন আখতার বলেন, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ আমি নিজেই তদারকি করছি। যথারীতিভাবে সরকারী নিয়ম মেনেই শতভাগ কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। এই কাজে কোনো প্রকার অনিয়ম নেই। আর যদি কোথাও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় তাহলে আমি নিজেই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সরকারের উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে আমাদের যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনেই কাজগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ভূমিহীন পরিবারের বাসগৃহ নির্মাণ কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার নিজেই তদারকি করছেন। আমরা শতভাগ নিয়ম মেনেই বাসগৃহ নির্মাণ কাজ পরিচালনা  করছি। অনিয়ম করার কোনো প্রশ্নই আসে না। গোছন গ্রামের আমেনা বেওয়া, গোপালপুর গ্রামের হাসিনা বেগম, মাহামুদা খাতুন ও মাকছুদা বিবি জানান, আমরা মাথাগোঁজার ঠাই পেয়ে এই সরকারের উপর খুব খুশি হয়েছি। এর আগে কোনো সরকার আমাদের এরকম পাকা ঘর তৈরী করে দেয়নি। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। আমরা শেখ হাসিনার জন্য প্রান খুলে দোয়া করি।উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নে ১৯ টি, নন্দীগ্রাম ইউনিয়নে ৪৬ টি, ভাটরা ইউনিয়নে ১৪ টি, থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে ৪২ টি ও ভাটগ্রাম ইউনিয়নে ৩৫ টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।