Dhaka ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে জাতীয় সংসদে বিল পাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • ২২৪ Time View

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে জাতীয় সংসদে আজ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০ পাস করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলে বিদ্যমান আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের স্থলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিলে ধর্ষনের শিকার এবং অভিযুক্তের ডিএনএ টেষ্ট বাধ্যতামূলক করার বিধান রয়েছে।

এর আগে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। ৭১ বিধিতে জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও শিশু ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটন সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আইনে সর্বোচ্চ দন্ডের বিধান যুক্ত করে এই বিলটি আনা হয়েছে।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার দাবি জানান। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এ অধ্যাদেশের আইনী ধারাবাহিকতায় এ বিলটি পাস করা হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশটি সংবিধান অনুযায়ি সংসদে উত্তথাপন করা হয়।

এছাড়া আজ সংসদে আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, ২০২০ পাস করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

বিল দুটি পাসের প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বি এনপির হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, বেগম রুমিন ফারহানা এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে জাতীয় সংসদে বিল পাস

Update Time : ০২:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে জাতীয় সংসদে আজ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০ পাস করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলে বিদ্যমান আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের স্থলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিলে ধর্ষনের শিকার এবং অভিযুক্তের ডিএনএ টেষ্ট বাধ্যতামূলক করার বিধান রয়েছে।

এর আগে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। ৭১ বিধিতে জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও শিশু ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটন সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আইনে সর্বোচ্চ দন্ডের বিধান যুক্ত করে এই বিলটি আনা হয়েছে।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার দাবি জানান। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এ অধ্যাদেশের আইনী ধারাবাহিকতায় এ বিলটি পাস করা হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশটি সংবিধান অনুযায়ি সংসদে উত্তথাপন করা হয়।

এছাড়া আজ সংসদে আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, ২০২০ পাস করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

বিল দুটি পাসের প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বি এনপির হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, বেগম রুমিন ফারহানা এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।