Dhaka ০৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’- প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬১ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা এখন যেকোন অবস্থার মোকাবেলা করতে পারি। বাঙালি পারে। বাংলাদেশের মানুষ পারে। যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২০’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী। অবহেলিত সব এলাকাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে আমাদের সিদ্ধান্ত ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। এবারের বন্যা ব্যাপক ভাবে নাদী ভাঙন সৃষ্টি করেছে। এই নদী ভাঙনের কারণে বহু মানুষ গৃহহারা হয়েছে। কিন্তু আমার নির্দেশ রয়েছে, যারা গৃহহারা হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর তৈরি করে দিতে হবে। এমনকি যাদের ভিটে মাটি নেই, নদীগর্ভে চলে গেছে তাদের জমি কিনে ঘর তৈরি করে দিব।’

ধর্ষণকে পাশবিকতার সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পশুত্ব বেড়ে গেলেই মানুষ ধর্ষক হয়ে ওঠে। এই পাশবিকতার বিস্তার রোধে আমরা আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করেছি। যেহেতু এখন পার্লামেন্ট চলছে না, তাই এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এভাবে যেকোনো সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, আজ ১৩ অক্টোবর, ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’। নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করছে সরকার। দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে এবার নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া এবং বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায়কে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছে সরকার।

‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বরাবরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যাদের সর্বোচ্চ দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই অথবা ঘর থাকলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব মানুষরাই এই সুবিধা পাচ্ছেন। আর যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা ৬৫ বছরের ওপরে বয়স কর্মক্ষম নয় এমন পরিবারও এই ঘর পাবেন। আরও পাবেন যারা নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বেদে ও হিজরা সম্প্রদায়কেও।

৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে দুইটি রুম, ১টি করিডোর, ১টি বাথরুম ও ১টি রান্নাঘর থাকবে। ঘর প্রতি আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ করা দুর্যোগ সহনীয় প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম ও বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

‘দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’- প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৭:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা এখন যেকোন অবস্থার মোকাবেলা করতে পারি। বাঙালি পারে। বাংলাদেশের মানুষ পারে। যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২০’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী। অবহেলিত সব এলাকাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে আমাদের সিদ্ধান্ত ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। এবারের বন্যা ব্যাপক ভাবে নাদী ভাঙন সৃষ্টি করেছে। এই নদী ভাঙনের কারণে বহু মানুষ গৃহহারা হয়েছে। কিন্তু আমার নির্দেশ রয়েছে, যারা গৃহহারা হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর তৈরি করে দিতে হবে। এমনকি যাদের ভিটে মাটি নেই, নদীগর্ভে চলে গেছে তাদের জমি কিনে ঘর তৈরি করে দিব।’

ধর্ষণকে পাশবিকতার সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পশুত্ব বেড়ে গেলেই মানুষ ধর্ষক হয়ে ওঠে। এই পাশবিকতার বিস্তার রোধে আমরা আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করেছি। যেহেতু এখন পার্লামেন্ট চলছে না, তাই এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এভাবে যেকোনো সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, আজ ১৩ অক্টোবর, ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’। নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করছে সরকার। দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে এবার নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া এবং বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায়কে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছে সরকার।

‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বরাবরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যাদের সর্বোচ্চ দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই অথবা ঘর থাকলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব মানুষরাই এই সুবিধা পাচ্ছেন। আর যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা ৬৫ বছরের ওপরে বয়স কর্মক্ষম নয় এমন পরিবারও এই ঘর পাবেন। আরও পাবেন যারা নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বেদে ও হিজরা সম্প্রদায়কেও।

৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে দুইটি রুম, ১টি করিডোর, ১টি বাথরুম ও ১টি রান্নাঘর থাকবে। ঘর প্রতি আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ করা দুর্যোগ সহনীয় প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম ও বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।