Dhaka ০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তা ‘বিব্রতকর’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • ১৪৮ Time View

গত সপ্তাহের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তা ‘বিব্রতকর’ বলে উল্লেখ করেছেন জো বাইডেন। খবর বিবিসি’র।

তবে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, কোন কিছুই ক্ষমতা হস্তান্তর বন্ধ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তা বিব্রতকর একটা ব্যাপার।

এর মধ্যেই ট্রাম্প একটি টুইট করে ঘোষণা করেছেন যে, নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, সেখানে আসলে তিনিই বিজয়ী হতে চলেছেন।

এখনও অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। অনেক রাজ্যে এখনও ভোট গণনা চলছে। চূড়ান্ত ফলাফল তখনি ঘোষিত হবে যখন, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। আর এই বৈঠকটি হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ইলেক্টেড প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাচনে পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, সেই ব্যাপারে তিনি কি মনে করেন?

জো বাইডেন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি মনে করি, এটা একটা বিব্রতকর ব্যাপার। একমাত্র বিষয় হলো, যদি কৌশলের সঙ্গে বলতে হয়, আমার মতে এটা প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কোন সাহায্য করবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আপনারা সবাই জানেন, জানুয়ারির বিশ তারিখেই পরিপূর্ণতা দেখা যাবে।’

ইতিমধ্যে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তুতি হিসাবে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন জো বাইডেন। মঙ্গলবার তিনি যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, ফরাসি প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে হস্তান্তর আয়োজন যে ফেডারেল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে, যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত একজন কর্মকর্তা। তিনি হস্তান্তরের কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছেন।

নতুন প্রশাসনের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এখনো এই প্রতিষ্ঠানটি বাইডেনকে ইলেক্ট-প্রেসিডেন্ট হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।

তবে জো বাইডেন বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, কোন কিছুই আমাদের থমকে দিতে পারবে না।’

এদিকে, মঙ্গলবার টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং আমরাই বিজয়ী হবো।’

কোন তথ্যপ্রমাণ না দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করে যাচ্ছেন যে, শুধুমাত্র নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমেই জো বাইডেন বিজয়ী হতে পারেন। কিন্তু তিনি তার এসব দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ দেননি। তাই তার এসব টুইটকে ‘বিতর্কিত’ বলে লেবেল দিয়ে রেখেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তা ‘বিব্রতকর’

Update Time : ০৭:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

গত সপ্তাহের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তা ‘বিব্রতকর’ বলে উল্লেখ করেছেন জো বাইডেন। খবর বিবিসি’র।

তবে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, কোন কিছুই ক্ষমতা হস্তান্তর বন্ধ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তা বিব্রতকর একটা ব্যাপার।

এর মধ্যেই ট্রাম্প একটি টুইট করে ঘোষণা করেছেন যে, নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, সেখানে আসলে তিনিই বিজয়ী হতে চলেছেন।

এখনও অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। অনেক রাজ্যে এখনও ভোট গণনা চলছে। চূড়ান্ত ফলাফল তখনি ঘোষিত হবে যখন, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। আর এই বৈঠকটি হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ইলেক্টেড প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাচনে পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, সেই ব্যাপারে তিনি কি মনে করেন?

জো বাইডেন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি মনে করি, এটা একটা বিব্রতকর ব্যাপার। একমাত্র বিষয় হলো, যদি কৌশলের সঙ্গে বলতে হয়, আমার মতে এটা প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কোন সাহায্য করবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আপনারা সবাই জানেন, জানুয়ারির বিশ তারিখেই পরিপূর্ণতা দেখা যাবে।’

ইতিমধ্যে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তুতি হিসাবে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন জো বাইডেন। মঙ্গলবার তিনি যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, ফরাসি প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে হস্তান্তর আয়োজন যে ফেডারেল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে, যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত একজন কর্মকর্তা। তিনি হস্তান্তরের কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছেন।

নতুন প্রশাসনের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এখনো এই প্রতিষ্ঠানটি বাইডেনকে ইলেক্ট-প্রেসিডেন্ট হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।

তবে জো বাইডেন বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, কোন কিছুই আমাদের থমকে দিতে পারবে না।’

এদিকে, মঙ্গলবার টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং আমরাই বিজয়ী হবো।’

কোন তথ্যপ্রমাণ না দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করে যাচ্ছেন যে, শুধুমাত্র নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমেই জো বাইডেন বিজয়ী হতে পারেন। কিন্তু তিনি তার এসব দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ দেননি। তাই তার এসব টুইটকে ‘বিতর্কিত’ বলে লেবেল দিয়ে রেখেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।