Dhaka ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে ফোনালাপ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • 31

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বুধবার (১৮ জুন) টেলিফোনে এক আলোচনা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও মোদী তাদের আলোচনার সময়ে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘর্ষ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন।

তবে দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট আলোচনা হয় মূলত ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে।

বুধবারই ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির। তার আগেই ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যে কথা হলো।

পহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পরে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেদিন তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সমর্থনের কথাও জানিয়েছিলেন। তারপরে দুই নেতার মধ্যে এই প্রথম কথা হলো বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

মিশ্রি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ২২ এপ্রিলের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পের কথা গোটা বিশ্বের কাছে জানিয়ে দিয়েছিলো ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে ছয়-সাত মে রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শুধু জঙ্গি ঘাঁটি ও গোপন আস্তানাগুলোকেই নিশানা করেছিল ভারত। পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা যাতে প্রশমিত না হয়, সেরকমই পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। ভারত এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে কোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

বিক্রিম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারত নয়-দশ মে রাতে পাকিস্তানের হামলার কঠিন জবাব দেয় এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে। তাদের সামরিক বিমানঘাঁটিগুলো অকেজো করে দেওয়া হয়। ভারতের দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তান সামরিক অভিযান বন্ধের অনুরোধ করতে বাধ্য হয়।

বিবৃতিতে তিনি এও বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এই গোটা ঘটনাক্রমে কোনো সময়েই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় নি।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

মিশ্রি জানিয়েছেন, যে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন ট্রাম্প আর মোদীর মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ায় ওই আলোচনা হতে পারে নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে ফোনালাপ

Update Time : ০৯:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বুধবার (১৮ জুন) টেলিফোনে এক আলোচনা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও মোদী তাদের আলোচনার সময়ে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘর্ষ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন।

তবে দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট আলোচনা হয় মূলত ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে।

বুধবারই ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির। তার আগেই ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যে কথা হলো।

পহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পরে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেদিন তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সমর্থনের কথাও জানিয়েছিলেন। তারপরে দুই নেতার মধ্যে এই প্রথম কথা হলো বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

মিশ্রি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ২২ এপ্রিলের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পের কথা গোটা বিশ্বের কাছে জানিয়ে দিয়েছিলো ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে ছয়-সাত মে রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শুধু জঙ্গি ঘাঁটি ও গোপন আস্তানাগুলোকেই নিশানা করেছিল ভারত। পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা যাতে প্রশমিত না হয়, সেরকমই পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। ভারত এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে কোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

বিক্রিম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারত নয়-দশ মে রাতে পাকিস্তানের হামলার কঠিন জবাব দেয় এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে। তাদের সামরিক বিমানঘাঁটিগুলো অকেজো করে দেওয়া হয়। ভারতের দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তান সামরিক অভিযান বন্ধের অনুরোধ করতে বাধ্য হয়।

বিবৃতিতে তিনি এও বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এই গোটা ঘটনাক্রমে কোনো সময়েই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় নি।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

মিশ্রি জানিয়েছেন, যে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন ট্রাম্প আর মোদীর মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ায় ওই আলোচনা হতে পারে নি।