Dhaka ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেস্টের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিলেন শান্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • 36

গুঞ্জনটা সিরিজের প্রথম টেস্টের পরই শোনা যাচ্ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর সে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট অধিনায়কত্বটাও ছেড়ে দিলেন। কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ঘোষণাটা দিলেন তিনি।

২০২৩ বিশ্বকাপের পর সব ফরম্যাটের অধিনায়ক করা হয়েছিল তাকে। তার এক বছর না পেরোতে গত বছর নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এরপর বোর্ড সভাপতির অনুরোধে তা ধরে রাখেন শান্ত। যদিও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বটা তখনই ছেড়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এরপর চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরুর আগে শান্ত জানতে পারেন ওয়ানডের নেতৃত্বে আর রাখা হচ্ছে না তাকে। তার বদলে মেহেদী হাসান মিরাজকে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কের দায়িত্বটা। এরপর থেকেই গুঞ্জন ছিল, শান্ত টেস্টের নেতৃত্বটাও নিজের কাছে রাখবেন না আর। শেষমেশ সে গুঞ্জনই বাস্তবে রূপ নিল।

শান্তর অধীনে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১৪টি। তার ভেতরে ৪টিতে জিতেছে দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ জিতেছে দলটা। এদিকে ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি ম্যাচে।

অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স অবশ্য বেশ ছিল শান্তর। অন্তত টেস্ট আর ওয়ানডেতে তো বটেই। টেস্টে তার ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৩২, সেখানে অধিনায়ক হিসেবে তার গড়টা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬-এ। পুরো ক্যারিয়ারে ৭ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটি করেছেন তিনি। তার ৩টি সেঞ্চুরি আর ২টি অর্ধশতক এসেছে অধিনায়ক হওয়ার পর।

ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে তার পারফর্ম্যান্স আরও ভালো। ক্যারিয়ার গড় প্রায় দেড় গুণ বেড়ে গিয়েছিল অধিনায়ক হিসেবে। তার গড় ৩৪, তবে অধিনায়ক হিসেবে তা ৫১। ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংসটা অধিনায়ক থাকাকালেই এসেছে তার ব্যাটে। সঙ্গে তার স্ট্রাইক রেটেও উন্নতি হয়েছে এই সময়।

টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য অধিনায়ক হওয়ার পর ভালো পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। ক্যারিয়ার গড় আর স্ট্রাইক রেট দুটোই কমেছে এই সময়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

টেস্টের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিলেন শান্ত

Update Time : ০৬:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

গুঞ্জনটা সিরিজের প্রথম টেস্টের পরই শোনা যাচ্ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর সে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট অধিনায়কত্বটাও ছেড়ে দিলেন। কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ঘোষণাটা দিলেন তিনি।

২০২৩ বিশ্বকাপের পর সব ফরম্যাটের অধিনায়ক করা হয়েছিল তাকে। তার এক বছর না পেরোতে গত বছর নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এরপর বোর্ড সভাপতির অনুরোধে তা ধরে রাখেন শান্ত। যদিও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বটা তখনই ছেড়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এরপর চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরুর আগে শান্ত জানতে পারেন ওয়ানডের নেতৃত্বে আর রাখা হচ্ছে না তাকে। তার বদলে মেহেদী হাসান মিরাজকে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কের দায়িত্বটা। এরপর থেকেই গুঞ্জন ছিল, শান্ত টেস্টের নেতৃত্বটাও নিজের কাছে রাখবেন না আর। শেষমেশ সে গুঞ্জনই বাস্তবে রূপ নিল।

শান্তর অধীনে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১৪টি। তার ভেতরে ৪টিতে জিতেছে দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ জিতেছে দলটা। এদিকে ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি ম্যাচে।

অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স অবশ্য বেশ ছিল শান্তর। অন্তত টেস্ট আর ওয়ানডেতে তো বটেই। টেস্টে তার ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৩২, সেখানে অধিনায়ক হিসেবে তার গড়টা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬-এ। পুরো ক্যারিয়ারে ৭ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটি করেছেন তিনি। তার ৩টি সেঞ্চুরি আর ২টি অর্ধশতক এসেছে অধিনায়ক হওয়ার পর।

ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে তার পারফর্ম্যান্স আরও ভালো। ক্যারিয়ার গড় প্রায় দেড় গুণ বেড়ে গিয়েছিল অধিনায়ক হিসেবে। তার গড় ৩৪, তবে অধিনায়ক হিসেবে তা ৫১। ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংসটা অধিনায়ক থাকাকালেই এসেছে তার ব্যাটে। সঙ্গে তার স্ট্রাইক রেটেও উন্নতি হয়েছে এই সময়।

টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য অধিনায়ক হওয়ার পর ভালো পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। ক্যারিয়ার গড় আর স্ট্রাইক রেট দুটোই কমেছে এই সময়।