Dhaka ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
ভারতের মরণবাঁধ ফারাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ৬ কোটি মানুষ ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান গাজায় গণহত্যা চলছেই, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৫৩ হাজার রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৫ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস এবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় সরকার দায়ী নয় : শফিকুল আলম দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস-পিওকে ডেকেছে দুদক ৪০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : আসামি সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহসিনসহ ১৬ জন ঋণের দায়ে গাভি কেড়ে নিলেন বিএনপি নেতা, বাছুর নিয়ে আদালতে নারগিস

জনগণের আস্থা আনতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই: রিজওয়ানা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • ২৮ Time View

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জনগণের আস্থা আনতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই।

বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, চ্যালেঞ্জ একটা সরকারের জন্য যেমন হয়, গতানুগতিক কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। তবে এখন একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়া। সেটা অবশ্যই একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এটাকে চ্যালেঞ্জ বলেন আর না বলেন, একটা প্রক্রিয়া তো বটেই। ওটাতে সবাইকে একসাথে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে একটা বড় জায়গা, আমি মনে করি। আরেকটা হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।

তিনি বলেন, আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে সবসময় আমরা বলি এই যে জুলাই আগস্টে যে হত্যাকাণ্ডটা হলো, যে বর্বরতা হলো, এটার একটা সুষ্ঠু বিচার। এখন আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, মানুষকে এই বিচারের কিছু কিছু রায় যদি মানুষের সামনে দিতে পারি, তাদের মধ্যে যেন ওই আস্থাটা আসে, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হচ্ছে।

ঐকমত্য কতটা হবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐকমত্য করব। কিন্তু একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টি ভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলোকে কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, সেটা একটু সময় লাগবে। একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। সেখানে নিশ্চয়ই তারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবেন। তারা তো আরও অনেক বেশি অভিজ্ঞ, আমাদের অনেকের চেয়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ভারতের মরণবাঁধ ফারাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ৬ কোটি মানুষ

জনগণের আস্থা আনতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই: রিজওয়ানা

Update Time : ০৪:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জনগণের আস্থা আনতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই।

বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, চ্যালেঞ্জ একটা সরকারের জন্য যেমন হয়, গতানুগতিক কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। তবে এখন একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়া। সেটা অবশ্যই একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এটাকে চ্যালেঞ্জ বলেন আর না বলেন, একটা প্রক্রিয়া তো বটেই। ওটাতে সবাইকে একসাথে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে একটা বড় জায়গা, আমি মনে করি। আরেকটা হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।

তিনি বলেন, আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে সবসময় আমরা বলি এই যে জুলাই আগস্টে যে হত্যাকাণ্ডটা হলো, যে বর্বরতা হলো, এটার একটা সুষ্ঠু বিচার। এখন আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, মানুষকে এই বিচারের কিছু কিছু রায় যদি মানুষের সামনে দিতে পারি, তাদের মধ্যে যেন ওই আস্থাটা আসে, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হচ্ছে।

ঐকমত্য কতটা হবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐকমত্য করব। কিন্তু একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টি ভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলোকে কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, সেটা একটু সময় লাগবে। একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। সেখানে নিশ্চয়ই তারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবেন। তারা তো আরও অনেক বেশি অভিজ্ঞ, আমাদের অনেকের চেয়ে।