Dhaka ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ অপেক্ষমান সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৯৭ Time View

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ অপেক্ষমান সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘ডিনস্ কমিটির এক সভায় অনার্স ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ও মাস্টার্সের ২য় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অনার্স ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ও মাস্টার্সের ২য় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য অপেক্ষাধীন রয়েছেন, তাদের পরীক্ষা আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় পরীক্ষা চলাকালীন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রসায়ন বিভাগ মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম চয়ন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। তবে আমি মনে করি আরো আগে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো ভাল হতো। কারণ অনেকেই পরীক্ষার কারণে তাদের অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করতে না পারায় সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায়, চাইলেও আবেদন করতে পারছে না। তাছাড়া করোনার কারণে প্রায় প্রত্যেকেরই একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা পরীক্ষার কারণে আটকে আছে তাদের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ, সুবিধা দেওয়া উচিত। যাতে তারা খুব সহজে একাডেমিক শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারে।’

ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৪র্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. রায়হান হোসেন অপু বলেন, ‘২০১৫-১৬ সেশন হিসেবে যেখানে আমাদের ২০১৯ এর ডিসেম্বরে পরীক্ষায় বসার কথা সেখানে আমাদের পরীক্ষা হয়নি; প্রথমত সেশনজট এবং দ্বিতীয়ত করোনার কারণে। এজন্য একই ব্যাচের ছাত্রছাত্রী হয়েও অন্য বিভাগের মতো আমরা বিসিএসসহ অসংখ্যা চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছি না, যার কারণে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। তবে এখন প্রায় ১ বছর পর ২০ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিন কমিটি সেখানে এই সিদ্ধান্ত তাদের আরো অনেক আগে নেয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত পরীক্ষাগুলা নিয়ে আমাদের দুঃচিন্তা থেকে মুক্ত করবেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘অনার্স ও মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সুবিধার ক্ষেত্রেই তাদের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাদের ক্লাস শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া ছিল আগেই তাদের পরীক্ষার রুটিন করা হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে একটা রোটেশন করা হবে যাতে সবাই একসাথে না আসে। বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিনরা একটা রোটেশন করবে এবং একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থীরা ওই দিন পরীক্ষা দিতে আসবে। অর্থ্যাৎ একদিন এক গ্রুপ অন্যদিনে অন্য গ্রুপ পরীক্ষা দিবে।’

দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা নেয়ার জন্য অনার্স ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ও মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছিল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করলে জরুরি ভিত্তিতে এই বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ অপেক্ষমান সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত

Update Time : ০৬:১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ অপেক্ষমান সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘ডিনস্ কমিটির এক সভায় অনার্স ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ও মাস্টার্সের ২য় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অনার্স ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ও মাস্টার্সের ২য় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য অপেক্ষাধীন রয়েছেন, তাদের পরীক্ষা আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় পরীক্ষা চলাকালীন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রসায়ন বিভাগ মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম চয়ন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। তবে আমি মনে করি আরো আগে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো ভাল হতো। কারণ অনেকেই পরীক্ষার কারণে তাদের অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করতে না পারায় সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায়, চাইলেও আবেদন করতে পারছে না। তাছাড়া করোনার কারণে প্রায় প্রত্যেকেরই একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা পরীক্ষার কারণে আটকে আছে তাদের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ, সুবিধা দেওয়া উচিত। যাতে তারা খুব সহজে একাডেমিক শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারে।’

ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৪র্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. রায়হান হোসেন অপু বলেন, ‘২০১৫-১৬ সেশন হিসেবে যেখানে আমাদের ২০১৯ এর ডিসেম্বরে পরীক্ষায় বসার কথা সেখানে আমাদের পরীক্ষা হয়নি; প্রথমত সেশনজট এবং দ্বিতীয়ত করোনার কারণে। এজন্য একই ব্যাচের ছাত্রছাত্রী হয়েও অন্য বিভাগের মতো আমরা বিসিএসসহ অসংখ্যা চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছি না, যার কারণে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। তবে এখন প্রায় ১ বছর পর ২০ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিন কমিটি সেখানে এই সিদ্ধান্ত তাদের আরো অনেক আগে নেয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত পরীক্ষাগুলা নিয়ে আমাদের দুঃচিন্তা থেকে মুক্ত করবেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘অনার্স ও মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সুবিধার ক্ষেত্রেই তাদের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাদের ক্লাস শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া ছিল আগেই তাদের পরীক্ষার রুটিন করা হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে একটা রোটেশন করা হবে যাতে সবাই একসাথে না আসে। বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিনরা একটা রোটেশন করবে এবং একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থীরা ওই দিন পরীক্ষা দিতে আসবে। অর্থ্যাৎ একদিন এক গ্রুপ অন্যদিনে অন্য গ্রুপ পরীক্ষা দিবে।’

দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা নেয়ার জন্য অনার্স ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ও মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছিল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করলে জরুরি ভিত্তিতে এই বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।