Dhaka ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে রাস্তার কাজ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • ২০৯ Time View

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘ দিন থেকে নাজেহাল পড়ে আছে থানাপাড়া ডেমনার পাড় এলাকার রাস্তাটি। কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারী।

এই রাস্তার কাজ এখন স্বপ্ন দেখার মতো। বাস্তবে নেই কোনো অগ্রগতি, বরং পূর্বের রাস্তাই ভালো ছিলো। এখন বর্ষা মৌসুমে পানির ঢল নেমে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাটি। অনেক জায়গায় কাদা ও পানির কারণে গাড়ি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায়ই দেখা যায় গাড়ি উলটে যেতে। এখন এই রাস্তা টি অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে’ -এমন অভিযোগ এলাকাবাসী। রাস্তাটি খোড়ার পর মাসের পর মাস পেড়িয়ে গেলেও পাকা করনের কাজ শুরু না হওয়ায় দুর্ভোগে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে কাদামাটি আর জলাবন্ধতায় থেমে আছে চিলমারী উপজেলার সদরের ডেমনার পাড়সহ আশপাশ এলাকার মানুষের চলার পথ। কাজ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেও কোন ফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। নজর নেই কর্তৃপক্ষের। যেন ঘুমিয়ে আছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বেড়েই চলছে দুর্ভোগ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সদরে অবস্থিত হলেও অজ্ঞাত কারনে উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত এই সড়ক ব্যবস্থা। দুর্ভোগ আর দুঃচিন্তা মাথায় নিয়ে বছরের পর বছর পারি দিচ্ছে এই এলাকার হাজারো মানুষ। অবশেষে এলজিইডি’র তত্বাবধায়নে ২০১৯ সালে উপজেলা শহর মাষ্টার প্লান প্রনয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন (নন্ মিউনিসিপ্যাল) প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজ কাজ শুরু করেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, এতে থানাহাট হেট কোয়াটার কেসি সড়ক থেকে (ডেমনার পাড় সড়ক) মোজাফ্ফর খলিফা বাড়ি পর্যন্ত। রাস্তা পাকা করন করার কথা থাকলেও খোড়াখুড়ির পর বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজটি। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে তা বন্ধ থাকায় পূর্বের তুলনায় বেশি বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী, যার ফলে গত বছরের বন্যায় বুকপানি ভেঙ্গে চলাচল করতে হয়েছিল মানুষ জনকে। শুকনা মৌসুমে দুর্ভোগ দেখা দেয় ধুলাবালির অবশেষে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে বৃষ্টির সাথে সাথে। দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত, কাদামাটি ও জলাবন্ধতার ফলে দুর্ভোগের সাথে সাথে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। এলাকার আব্দুল করিম, রাফি, ময়নাসহ অনেকে বলেন, মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে কিন্তু কাজ কেন করছেনা এটাই বুঝে আসতেছেনা, তারা এই জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেন এবং দ্রুত এর সমাধান চান। কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সমস্যার কারনে পূর্বের কাজটি বাতিল পূর্বক নতুন করে কাজ চালুর জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে সিন্ধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

চিলমারীতে রাস্তার কাজ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ

Update Time : ০৭:২৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘ দিন থেকে নাজেহাল পড়ে আছে থানাপাড়া ডেমনার পাড় এলাকার রাস্তাটি। কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারী।

এই রাস্তার কাজ এখন স্বপ্ন দেখার মতো। বাস্তবে নেই কোনো অগ্রগতি, বরং পূর্বের রাস্তাই ভালো ছিলো। এখন বর্ষা মৌসুমে পানির ঢল নেমে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাটি। অনেক জায়গায় কাদা ও পানির কারণে গাড়ি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায়ই দেখা যায় গাড়ি উলটে যেতে। এখন এই রাস্তা টি অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে’ -এমন অভিযোগ এলাকাবাসী। রাস্তাটি খোড়ার পর মাসের পর মাস পেড়িয়ে গেলেও পাকা করনের কাজ শুরু না হওয়ায় দুর্ভোগে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে কাদামাটি আর জলাবন্ধতায় থেমে আছে চিলমারী উপজেলার সদরের ডেমনার পাড়সহ আশপাশ এলাকার মানুষের চলার পথ। কাজ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেও কোন ফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। নজর নেই কর্তৃপক্ষের। যেন ঘুমিয়ে আছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বেড়েই চলছে দুর্ভোগ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সদরে অবস্থিত হলেও অজ্ঞাত কারনে উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত এই সড়ক ব্যবস্থা। দুর্ভোগ আর দুঃচিন্তা মাথায় নিয়ে বছরের পর বছর পারি দিচ্ছে এই এলাকার হাজারো মানুষ। অবশেষে এলজিইডি’র তত্বাবধায়নে ২০১৯ সালে উপজেলা শহর মাষ্টার প্লান প্রনয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন (নন্ মিউনিসিপ্যাল) প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজ কাজ শুরু করেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, এতে থানাহাট হেট কোয়াটার কেসি সড়ক থেকে (ডেমনার পাড় সড়ক) মোজাফ্ফর খলিফা বাড়ি পর্যন্ত। রাস্তা পাকা করন করার কথা থাকলেও খোড়াখুড়ির পর বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজটি। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে তা বন্ধ থাকায় পূর্বের তুলনায় বেশি বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী, যার ফলে গত বছরের বন্যায় বুকপানি ভেঙ্গে চলাচল করতে হয়েছিল মানুষ জনকে। শুকনা মৌসুমে দুর্ভোগ দেখা দেয় ধুলাবালির অবশেষে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে বৃষ্টির সাথে সাথে। দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত, কাদামাটি ও জলাবন্ধতার ফলে দুর্ভোগের সাথে সাথে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। এলাকার আব্দুল করিম, রাফি, ময়নাসহ অনেকে বলেন, মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে কিন্তু কাজ কেন করছেনা এটাই বুঝে আসতেছেনা, তারা এই জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেন এবং দ্রুত এর সমাধান চান। কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সমস্যার কারনে পূর্বের কাজটি বাতিল পূর্বক নতুন করে কাজ চালুর জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে সিন্ধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।