Dhaka ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

খুলনা তেরখাদায় ঔষধ ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলার রায়

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • ৯০ Time View
খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মৃত রহমান মোল্লার ছেলে ফরিদ মোল্লা, লকিত মোল্লার ছেলে মিসবাহ মোল্লা, রিজ্জাক মোল্লার ছেলে মোর্তজা মোল্লা ও খালিদ মোল্লার ছেলে টুটুল মোল্লা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের আফসার শিকদারের ছেলে সেলিম শিকদার, মোস্তফা শিকদারের ছেলে শহিদুল শিকদার চানমিয়া শিকদারের ছেলে নাসির শিকদার ও মুক্ত মোল্লা।
এ ছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির আসামি মোরতোজা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী পলাতক।
আদালত সূত্র জানায়, তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ওষুধের দোকান বন্ধ করে আরিফ মোল্লাকে সঙ্গে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোজা উপলক্ষে মালামাল ক্রয়ের জন্য মুন্সী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পৌঁছামাত্র তার পূর্ব পরিচিত সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে ফিরোজ শেখ ও তাকে বহনকারী ভ্যান চালকের চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে তেরখাদা হাসপাতালে নেয়া হয়, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৩টায় মারা যান। ওই ঘটনার তিন দিন পর নিহতের ভাই হিরু শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
৩০ জন সাক্ষী মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১৩ আসামির মধ্যে চার আসামিকে ফাঁসি ও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম ইলিয়াজ খান।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

খুলনা তেরখাদায় ঔষধ ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলার রায়

Update Time : ১২:৫৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মৃত রহমান মোল্লার ছেলে ফরিদ মোল্লা, লকিত মোল্লার ছেলে মিসবাহ মোল্লা, রিজ্জাক মোল্লার ছেলে মোর্তজা মোল্লা ও খালিদ মোল্লার ছেলে টুটুল মোল্লা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের আফসার শিকদারের ছেলে সেলিম শিকদার, মোস্তফা শিকদারের ছেলে শহিদুল শিকদার চানমিয়া শিকদারের ছেলে নাসির শিকদার ও মুক্ত মোল্লা।
এ ছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির আসামি মোরতোজা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী পলাতক।
আদালত সূত্র জানায়, তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ওষুধের দোকান বন্ধ করে আরিফ মোল্লাকে সঙ্গে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোজা উপলক্ষে মালামাল ক্রয়ের জন্য মুন্সী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পৌঁছামাত্র তার পূর্ব পরিচিত সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে ফিরোজ শেখ ও তাকে বহনকারী ভ্যান চালকের চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে তেরখাদা হাসপাতালে নেয়া হয়, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৩টায় মারা যান। ওই ঘটনার তিন দিন পর নিহতের ভাই হিরু শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
৩০ জন সাক্ষী মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১৩ আসামির মধ্যে চার আসামিকে ফাঁসি ও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম ইলিয়াজ খান।