Dhaka ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করার নির্দেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩৩ Time View

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এতোদিন সস্তায় বিক্রি হওয়া এ পণ্যটি কোথাও কোথাও ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে। এখন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েছে আলুর দামে। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে পর্যাপ্ত আলু আছে জানিয়ে খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

এজন্য মনিটরিং করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। একই সাথে হিমাগারে ২৩ এবং পাইকারী পর্যায়ে ২৫ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

এদিকে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন এবং অব্যাহতহারে আমদানি থাকলেও কেবল ভারত রফতানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। কাঁচামরিচ আমদানি করতে হওয়ায় এর দাম এখন ৩০০ টাকার নিচে নামছেই না। এখন আলুও উঠে গেলো ৫০ টাকার ওপরে।

এদিকে নির্ধারিত দামে কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে তাদের।

চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। গত বছর উৎপাদিত আলু থেকে প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। তবে আলু ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ড ষ্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।

সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রয় করা যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে আলু সংরক্ষণকারীর ২ টাকা মুনাফা হয় বলে প্রতীয়মান হয়।

অন্যদিকে আড়তদারী, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেই অনুযায়ী পাইকারি মূল্য (আড়ৎ পর্যায়) ২৩ টাকা ৭৭ পয়সার সঙ্গে মুনাফা যোগ করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দেয়া যেতে পারে। এজন্য হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে আলু যে উচ্চ মূল্য দেখা যাচ্ছে তা অযৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করার নির্দেশ

Update Time : ০৭:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এতোদিন সস্তায় বিক্রি হওয়া এ পণ্যটি কোথাও কোথাও ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে। এখন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েছে আলুর দামে। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে পর্যাপ্ত আলু আছে জানিয়ে খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

এজন্য মনিটরিং করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। একই সাথে হিমাগারে ২৩ এবং পাইকারী পর্যায়ে ২৫ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

এদিকে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন এবং অব্যাহতহারে আমদানি থাকলেও কেবল ভারত রফতানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। কাঁচামরিচ আমদানি করতে হওয়ায় এর দাম এখন ৩০০ টাকার নিচে নামছেই না। এখন আলুও উঠে গেলো ৫০ টাকার ওপরে।

এদিকে নির্ধারিত দামে কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে তাদের।

চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। গত বছর উৎপাদিত আলু থেকে প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। তবে আলু ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ড ষ্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।

সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রয় করা যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে আলু সংরক্ষণকারীর ২ টাকা মুনাফা হয় বলে প্রতীয়মান হয়।

অন্যদিকে আড়তদারী, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেই অনুযায়ী পাইকারি মূল্য (আড়ৎ পর্যায়) ২৩ টাকা ৭৭ পয়সার সঙ্গে মুনাফা যোগ করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দেয়া যেতে পারে। এজন্য হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে আলু যে উচ্চ মূল্য দেখা যাচ্ছে তা অযৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়।