Dhaka ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৫৩ Time View

নিজের ভুলের জন্য ভক্ত-দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

গতকালের ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় খেলা শেষেই নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

দেশের সিনিয়র এই ক্রিকেটার মঙ্গলবার সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি দিয়ে লিখেন, ‘এমন কিছু আর ভবিষ্যতে করবেন না।’

গতকাল এলিমেনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় বেক্সিমকো ঢাকা। এমন ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে ফেললেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি ফিল্ডার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে যায় মুশির!

দলের সিনিয়র প্লেয়ার ও অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের এমন আচণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাগোগ মাধ্যামে উঠে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

ফেসবুক পোস্টে মুশফিক লিখেছেন, ‘প্রথমে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সব সমর্থক ও দর্শকদের কাছে কালকের ম্যাচের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করছি। আমি ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত সৃষ্টিকর্তার কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি সবসময় মাথায় রাখি- আমি সবকিছুর পর একজন মানুষ এবং আমি মাঠে যে আচরণ প্রদর্শন করেছি তা মেনে নেওয়ার মত নয়। ইনশাআল্লাহ্ আমি প্রতিজ্ঞা করছি,‌ ভবিষ্যতে আমি এমন আচরণের পুনরাবৃত্তি করবো না, মাঠে বা মাঠের বাইরে।’

মুশফিক কালকের ম্যাচে প্রথম মেজাজ হারান ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে। নাসুমের বল শর্ট মিড উইকেটে ঠেলেই দ্রুত একটি রান নেন আফিফ হোসেন। বোলার ও কিপার, দুজনেই ছুটে যান বল ধরতে। মুশফিক আগে পৌঁছে বল ধরেই হাত বাড়িয়ে মারের ভঙ্গি করেন নাসুমের দিকে।

দ্বিতীয় ঘটনা সপ্তদশ ওভারে। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন আফিফ হোসেন। মুশফিক শর্ট লেগের দিকে ছুটে গিয়ে গ্লাভসে বন্দি করেন বল। শর্ট ফাইন লেগেই ফিল্ডার ছিলেন নাসুম। তিনি ক্যাচ নিতে ছুটে এলেও শেষ পর্যন্ত মুশফিককেই সুযোগ দেন, মুশফিকের জন্য বাধার সৃষ্টি করেননি। কিন্তু এবারও মুশফিক ক্যাচ নিয়েই নাসুমের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন।

এই দুই ঘটনা ছাড়াও আরও এই ম্যাচে কয়েকবার বোলারদের বাজে ডেলিভারিতে বা ফিল্ডারদের ভুলের পর বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে মুশফিকের আচরণে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

Update Time : ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

নিজের ভুলের জন্য ভক্ত-দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

গতকালের ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় খেলা শেষেই নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

দেশের সিনিয়র এই ক্রিকেটার মঙ্গলবার সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি দিয়ে লিখেন, ‘এমন কিছু আর ভবিষ্যতে করবেন না।’

গতকাল এলিমেনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় বেক্সিমকো ঢাকা। এমন ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে ফেললেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি ফিল্ডার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে যায় মুশির!

দলের সিনিয়র প্লেয়ার ও অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের এমন আচণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাগোগ মাধ্যামে উঠে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

ফেসবুক পোস্টে মুশফিক লিখেছেন, ‘প্রথমে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সব সমর্থক ও দর্শকদের কাছে কালকের ম্যাচের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করছি। আমি ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত সৃষ্টিকর্তার কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি সবসময় মাথায় রাখি- আমি সবকিছুর পর একজন মানুষ এবং আমি মাঠে যে আচরণ প্রদর্শন করেছি তা মেনে নেওয়ার মত নয়। ইনশাআল্লাহ্ আমি প্রতিজ্ঞা করছি,‌ ভবিষ্যতে আমি এমন আচরণের পুনরাবৃত্তি করবো না, মাঠে বা মাঠের বাইরে।’

মুশফিক কালকের ম্যাচে প্রথম মেজাজ হারান ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে। নাসুমের বল শর্ট মিড উইকেটে ঠেলেই দ্রুত একটি রান নেন আফিফ হোসেন। বোলার ও কিপার, দুজনেই ছুটে যান বল ধরতে। মুশফিক আগে পৌঁছে বল ধরেই হাত বাড়িয়ে মারের ভঙ্গি করেন নাসুমের দিকে।

দ্বিতীয় ঘটনা সপ্তদশ ওভারে। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন আফিফ হোসেন। মুশফিক শর্ট লেগের দিকে ছুটে গিয়ে গ্লাভসে বন্দি করেন বল। শর্ট ফাইন লেগেই ফিল্ডার ছিলেন নাসুম। তিনি ক্যাচ নিতে ছুটে এলেও শেষ পর্যন্ত মুশফিককেই সুযোগ দেন, মুশফিকের জন্য বাধার সৃষ্টি করেননি। কিন্তু এবারও মুশফিক ক্যাচ নিয়েই নাসুমের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন।

এই দুই ঘটনা ছাড়াও আরও এই ম্যাচে কয়েকবার বোলারদের বাজে ডেলিভারিতে বা ফিল্ডারদের ভুলের পর বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে মুশফিকের আচরণে।