Dhaka ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোরবানির পশুর চামড়ায় ২৯% দাম কমালো সরকার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • ২৩৯ Time View

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করেছে সরকার। এবছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা দাম ধরা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৩-১৫ টাকা আর বকরির চামড়ার দাম ১০-১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জুলাই) এক ভিডিও কনফারেন্সে চামড়া ব্যবসায়ীদের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ দাম ঘোষণা করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাজার দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাও কমে গেছে। কিন্তু চামড়াজাত পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনায় গত বছরের দামই নির্ধারণ করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে চামড়ার মান বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। পাশাপাশি ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা।’

এই হিসাবে এবছর গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৯ শতাংশ, খাসির চামড়ার ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ ও ছাগলের চামড়ায় ২৩ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত বছর সরকার নির্ধারিত দামে দেশের কোথাও কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা হয়নি বললেই চলে। গেলবার চামড়ার দামে বিপর্যয়ের কারণে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামি বিধান অনুযায়ী এই টাকার হক বঞ্চিত হয়েছেন গরিব মানুষেরা।

বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে চামড়া খাত শিল্পের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইসলামি বিধান অনুযায়ী, কোরবানির চামড়া বা বিক্রি করা অর্থ দান করতে হয়। এই দান এতিমখানা, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীই পেয়ে থাকে। কিন্তু গেল বছরের চিত্র ছিল পুরো ভিন্ন। চামড়ার দাম পেয়ে যাদের উপকৃত হওয়ার কথা সেই গরিব মানুষের পকেটে কোনও টাকা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আড়তদার, ব্যবসায়ী আর ট্যানারি মালিকরা চামড়া বিক্রির টাকায় নিজেদের পকেট ভারি করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কোরবানির পশুর চামড়ায় ২৯% দাম কমালো সরকার

Update Time : ০৮:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করেছে সরকার। এবছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা দাম ধরা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৩-১৫ টাকা আর বকরির চামড়ার দাম ১০-১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জুলাই) এক ভিডিও কনফারেন্সে চামড়া ব্যবসায়ীদের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ দাম ঘোষণা করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাজার দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাও কমে গেছে। কিন্তু চামড়াজাত পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনায় গত বছরের দামই নির্ধারণ করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে চামড়ার মান বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। পাশাপাশি ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা।’

এই হিসাবে এবছর গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৯ শতাংশ, খাসির চামড়ার ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ ও ছাগলের চামড়ায় ২৩ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত বছর সরকার নির্ধারিত দামে দেশের কোথাও কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা হয়নি বললেই চলে। গেলবার চামড়ার দামে বিপর্যয়ের কারণে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামি বিধান অনুযায়ী এই টাকার হক বঞ্চিত হয়েছেন গরিব মানুষেরা।

বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে চামড়া খাত শিল্পের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইসলামি বিধান অনুযায়ী, কোরবানির চামড়া বা বিক্রি করা অর্থ দান করতে হয়। এই দান এতিমখানা, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীই পেয়ে থাকে। কিন্তু গেল বছরের চিত্র ছিল পুরো ভিন্ন। চামড়ার দাম পেয়ে যাদের উপকৃত হওয়ার কথা সেই গরিব মানুষের পকেটে কোনও টাকা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আড়তদার, ব্যবসায়ী আর ট্যানারি মালিকরা চামড়া বিক্রির টাকায় নিজেদের পকেট ভারি করেছেন।