Dhaka ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ ইন্টারপোলে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন বিচার-সংস্কার-গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছে এনসিপি তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন হুনানের গভর্নর

কানের সমস্যা হলে কি করণীয়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৩ Time View

অনেকেই কানে কম শোনার সমস্যায় ভোগেন। কানে কম শোনা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটি প্রচলিত সমস্যা। এ সমস্যার সুদূরপ্রসারী কিছু প্রভাব রয়েছে। হঠাৎ করে কানে কম শোনা উচ্চ বা নিম্ন কম্পাংকের হতে পারে এবং এর ফলে কথা বুঝতে পারার ক্ষমতাও কমে যায়। এছাড়া মাথা ঝিম ঝিম করা, ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

কানে কম শোনার সমস্যা এক বা উভয় কানেই হতে পারে। এর সাথে সাথে কানে শব্দ হওয়ার সমস্যাও হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই হয়ত কানে না শোনার অভিজ্ঞতা হতে পারে যা রাতে ঘুমানোর সময় ছিল না। অথবা কয়েকদিন যাবত কানে কম শোনার অভিজ্ঞতাও হতে পারে। তবে সময় মতো সেগুলো নির্ণয় করা হলে তাও নিরাময়যোগ্য।

কানে কম শোনার কারণ-

* মাথায় আঘাত পেলে বা বহিরাগত কোনো বস্তুর কারণে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, প্রচণ্ড শব্দের কারণে অথবা কানের কোন অপারেশন হলে।

* কানের ভেতরের ও বাহিরের বায়ুর ভারসাম্যের সমস্যা হলে।

* অটোটক্সিক ওষধ যেমন- জেন্টামিসিন, ফিউরোস্যামাইড (ল্যাসিক্স) অথবা অ্যাসপিরিনের বেশি মাত্রায় খেলে।

* ভাইরাস ইনফেকশনের কারণে।

* স্নায়বিক সমস্যা।

* মাথা ঘুরানোর সমস্যা থাকলে।

* কানে যে কোন টিউমার বৃদ্ধি পেতে থাকলে।

* রক্ত প্রবাহের পরিবর্তন এবং মধ্যকর্ণে কম অক্সিজেন পৌঁছানোর কারণে

হঠাৎ করেই কানে কম শোনার সমস্যার ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। যত দ্রুত আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। কিন্তু দ্রুত শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রবণ ক্ষমতা ফিরে আসে। অন্য গবেষণায় বলা হয় যে, করটিকোস্টেরয়েড ওষুধ গ্রহণ করলে উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই হতে হবে।

তবে ব্যাপক শব্দদূষণ কিংবা ঠাণ্ডা-সর্দিতে অনেক সময়ই দুই কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু নিরাপদ কিন্তু প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে কান বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তা হলো-

* মুখ বন্ধ করুন এবং হাতের দুই আঙুলে নাক চেপে ধরুন। অর্থাৎ এই অবস্থায় নাক বা মুখ নিয়ে কোনো বাতাস ঢুকছে বা প্রবেশও করছে না। এবার নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ার মতো করে চাপ দিন, কিন্তু নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস বেরোতে দেবেন না। দেখবেন ‘পপ’ শব্দে বন্ধ কান খুলে গেছে। তবে খুব জোরে শ্বাস ছাড়ার মতো করে বাতাসের চাপ দেবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রথমবার কাজ না হলে কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন।

* যে কানটি বন্ধ হয়ে আছে তা ওপরের দিকে রেখে কাত হয়ে শুতে হবে। অর্থাৎ অন্য কান বালিশে থাকবে। এবার একটা ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড খোলা কানে দিন। অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা হালকা গরম অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ের। এই তেলও একই পদ্ধতিতে নিতে হবে। যেটাই ব্যবহার করেন না কেন, তিন-পাঁচ ফোঁটা তরল কানে নিয়ে ৫-১০ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকবেন। এবার উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ, বন্ধ কান বালিশে দিয়ে শুয়ে থাকুন আরও কয়েক মিনিট। এ অবস্থায় কানের সব ময়লা নিয়ে বেরিয়ে আসবে অলিভ অয়েল কিংবা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড।

* একটি পরিষ্কার কাপড় নিন। গরম পানিতে ভেজান। এবার কাপড়টা চিপে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এবার কাপড়টি বন্ধ কানের ওপর ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ময়লা বেরিয়ে আসা সুবিধা করতে বালিশে কাপড়টি রেখে তার ওপর কান চেপে শুয়ে থাকতে পারেন।

মনে রাখবেন, কানে অযথাই খোঁচাখুচি করা উচিত নয়। এতে বিপদ বাড়ে বৈ কমে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা

কানের সমস্যা হলে কি করণীয়

Update Time : ০২:০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

অনেকেই কানে কম শোনার সমস্যায় ভোগেন। কানে কম শোনা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটি প্রচলিত সমস্যা। এ সমস্যার সুদূরপ্রসারী কিছু প্রভাব রয়েছে। হঠাৎ করে কানে কম শোনা উচ্চ বা নিম্ন কম্পাংকের হতে পারে এবং এর ফলে কথা বুঝতে পারার ক্ষমতাও কমে যায়। এছাড়া মাথা ঝিম ঝিম করা, ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

কানে কম শোনার সমস্যা এক বা উভয় কানেই হতে পারে। এর সাথে সাথে কানে শব্দ হওয়ার সমস্যাও হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই হয়ত কানে না শোনার অভিজ্ঞতা হতে পারে যা রাতে ঘুমানোর সময় ছিল না। অথবা কয়েকদিন যাবত কানে কম শোনার অভিজ্ঞতাও হতে পারে। তবে সময় মতো সেগুলো নির্ণয় করা হলে তাও নিরাময়যোগ্য।

কানে কম শোনার কারণ-

* মাথায় আঘাত পেলে বা বহিরাগত কোনো বস্তুর কারণে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, প্রচণ্ড শব্দের কারণে অথবা কানের কোন অপারেশন হলে।

* কানের ভেতরের ও বাহিরের বায়ুর ভারসাম্যের সমস্যা হলে।

* অটোটক্সিক ওষধ যেমন- জেন্টামিসিন, ফিউরোস্যামাইড (ল্যাসিক্স) অথবা অ্যাসপিরিনের বেশি মাত্রায় খেলে।

* ভাইরাস ইনফেকশনের কারণে।

* স্নায়বিক সমস্যা।

* মাথা ঘুরানোর সমস্যা থাকলে।

* কানে যে কোন টিউমার বৃদ্ধি পেতে থাকলে।

* রক্ত প্রবাহের পরিবর্তন এবং মধ্যকর্ণে কম অক্সিজেন পৌঁছানোর কারণে

হঠাৎ করেই কানে কম শোনার সমস্যার ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। যত দ্রুত আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। কিন্তু দ্রুত শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রবণ ক্ষমতা ফিরে আসে। অন্য গবেষণায় বলা হয় যে, করটিকোস্টেরয়েড ওষুধ গ্রহণ করলে উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই হতে হবে।

তবে ব্যাপক শব্দদূষণ কিংবা ঠাণ্ডা-সর্দিতে অনেক সময়ই দুই কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু নিরাপদ কিন্তু প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে কান বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তা হলো-

* মুখ বন্ধ করুন এবং হাতের দুই আঙুলে নাক চেপে ধরুন। অর্থাৎ এই অবস্থায় নাক বা মুখ নিয়ে কোনো বাতাস ঢুকছে বা প্রবেশও করছে না। এবার নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ার মতো করে চাপ দিন, কিন্তু নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস বেরোতে দেবেন না। দেখবেন ‘পপ’ শব্দে বন্ধ কান খুলে গেছে। তবে খুব জোরে শ্বাস ছাড়ার মতো করে বাতাসের চাপ দেবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রথমবার কাজ না হলে কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন।

* যে কানটি বন্ধ হয়ে আছে তা ওপরের দিকে রেখে কাত হয়ে শুতে হবে। অর্থাৎ অন্য কান বালিশে থাকবে। এবার একটা ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড খোলা কানে দিন। অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা হালকা গরম অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ের। এই তেলও একই পদ্ধতিতে নিতে হবে। যেটাই ব্যবহার করেন না কেন, তিন-পাঁচ ফোঁটা তরল কানে নিয়ে ৫-১০ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকবেন। এবার উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ, বন্ধ কান বালিশে দিয়ে শুয়ে থাকুন আরও কয়েক মিনিট। এ অবস্থায় কানের সব ময়লা নিয়ে বেরিয়ে আসবে অলিভ অয়েল কিংবা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড।

* একটি পরিষ্কার কাপড় নিন। গরম পানিতে ভেজান। এবার কাপড়টা চিপে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এবার কাপড়টি বন্ধ কানের ওপর ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ময়লা বেরিয়ে আসা সুবিধা করতে বালিশে কাপড়টি রেখে তার ওপর কান চেপে শুয়ে থাকতে পারেন।

মনে রাখবেন, কানে অযথাই খোঁচাখুচি করা উচিত নয়। এতে বিপদ বাড়ে বৈ কমে না।