Dhaka ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার করে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০
  • ১৪৬ Time View

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে পাকড়াও করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ কুমারকে
আদালতে হাজির করা হবে। তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার চট্টগ্রামের দামপাড়ায় পুলিশ লাইনে অবস্থিত সিএমপি’র হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তাকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। এখন তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। তবে এখন তাকে সিএমপির হাতে আটক বা গ্রেফতার বলা যাবে না।

এর আগে ওসি প্রদীপকে দুপুরে পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ লাইনের সিএমপি হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। পরে তাকে একটি গাড়িতে তুলে আরও দুটি গাড়ি স্কট করে কক্সবাজারের দিকে রওনা হয়। অসুস্থতার কথা বলে থানা থেকে চট্টগ্রাম আসেন প্রদীপ।
মেজর সিনহার বড় বোনের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি প্রদীপ। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। এর আগে, গতকাল বুধবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৫ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় বুধবার মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা একটি তথ্যচিত্র ধারণের কাজ করছিলেন। ৩১ জুলাই রাতে ওই দিনের শুটিং শেষ হলে তিনি টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ফিরছিলেন। শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে তার গাড়ির গতিরোধ করা হলে তিনি অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দিলেও পুলিশ পরিদর্শক তাকে গুলি করলে তার মৃত্যু হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার করে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে

Update Time : ০৮:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে পাকড়াও করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ কুমারকে
আদালতে হাজির করা হবে। তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার চট্টগ্রামের দামপাড়ায় পুলিশ লাইনে অবস্থিত সিএমপি’র হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তাকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। এখন তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। তবে এখন তাকে সিএমপির হাতে আটক বা গ্রেফতার বলা যাবে না।

এর আগে ওসি প্রদীপকে দুপুরে পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ লাইনের সিএমপি হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। পরে তাকে একটি গাড়িতে তুলে আরও দুটি গাড়ি স্কট করে কক্সবাজারের দিকে রওনা হয়। অসুস্থতার কথা বলে থানা থেকে চট্টগ্রাম আসেন প্রদীপ।
মেজর সিনহার বড় বোনের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি প্রদীপ। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। এর আগে, গতকাল বুধবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৫ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় বুধবার মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা একটি তথ্যচিত্র ধারণের কাজ করছিলেন। ৩১ জুলাই রাতে ওই দিনের শুটিং শেষ হলে তিনি টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ফিরছিলেন। শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে তার গাড়ির গতিরোধ করা হলে তিনি অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দিলেও পুলিশ পরিদর্শক তাকে গুলি করলে তার মৃত্যু হয়।