Dhaka ০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ভারতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক নজরদারি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৭ Time View

প্রতিবেশি দেশ ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নিয়ে উত্তাল পুরো ভারত। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে পশ্চিমবঙ্গসহ সারাদেশে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ বিক্ষোভ করছেন। এই বিক্ষোভ এখন ক্রমশ গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার কলকাতায় নির্মম এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চেয়ে শুক্রবার মিছিল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আবার ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে মিছিল করেছে বিজেপি।

এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে নারীর নিরাপত্তার দাবিতে লাখ লাখ নারী-পুরুষ কলকাতার রাস্তা দখল করে বিক্ষোভ করছেন।

এ প্রতিবাদ কেবল মাঠে ময়দানে নয়, সামাজিক মাধ্যমেও চলছে তুমুল আলোচনা আর বিক্ষোভ। কিন্তু তার মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের নজরদারি নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কী লেখা হচ্ছে, তার ওপরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের নজরদারি কীভাবে কেন হচ্ছে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে যেসব পোস্ট পুলিশের কাছে আপত্তিকর মনে হচ্ছে, তাদের নোটিশ পাঠিয়ে পোস্ট মুছে দিতে বলা হচ্ছে। আবার পুলিশ সদর দফতরে ডাকও পড়ছে কারও কারও।

পুলিশ যাদের ইতোমধ্যে ডেকে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সংসদ সদস্য, একজন নামকরা চিকিৎসক এবং একজন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

ভারতের স্থানীয় সংবাদপত্রে পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে লেখা হচ্ছে যে এরকম প্রায় ২০০ জন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

কোনো একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমের ওপরে এ ধরণের পুলিশি নজরদারি এর আগে দেখা যায় নি।

তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের নেতা ও সংসদ সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় এ ঘটনা নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন। নামকরা শল্য চিকিৎসক কুনাল সরকার একটি ইউটিউব ভিডিও করেছিলেন ওই ধর্ষণ ও হত্যার বিষয় নিয়ে। এদের দুজনকেও ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বারবার নিজেরাই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আহ্বান জানাচ্ছে যে, আরজি করের ঘটনা নিয়ে বহু গুজব ও ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। নাগরিকদের এ ধরণের তথ্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।

একই সঙ্গে, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও ভুয়া তথ্য না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ও খুন হওয়া চিকিৎসকের পরিবার-পরিজনও।
তবে, সামাজিক মাধ্যমে এভাবে পুলিশি নজরদারি যেমন আগে দেখা যায় নি, তেমনই একের পর এক অভাবনীয় প্রতিবাদ হচ্ছে আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ চলছে এখনও। নানা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিলে নামছে কলকাতা এবং মফস্বল শহরগুলোতে।

সোমবারও শহর জুড়ে নানা বিক্ষোভ মিছিল, জমায়েত হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিবাদ হচ্ছে রাজ্যের বাইরেও। সারা দেশে জুনিয়র এবং রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

এবার ভারতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক নজরদারি

Update Time : ০৫:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

প্রতিবেশি দেশ ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নিয়ে উত্তাল পুরো ভারত। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে পশ্চিমবঙ্গসহ সারাদেশে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ বিক্ষোভ করছেন। এই বিক্ষোভ এখন ক্রমশ গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার কলকাতায় নির্মম এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চেয়ে শুক্রবার মিছিল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আবার ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে মিছিল করেছে বিজেপি।

এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে নারীর নিরাপত্তার দাবিতে লাখ লাখ নারী-পুরুষ কলকাতার রাস্তা দখল করে বিক্ষোভ করছেন।

এ প্রতিবাদ কেবল মাঠে ময়দানে নয়, সামাজিক মাধ্যমেও চলছে তুমুল আলোচনা আর বিক্ষোভ। কিন্তু তার মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের নজরদারি নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কী লেখা হচ্ছে, তার ওপরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের নজরদারি কীভাবে কেন হচ্ছে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে যেসব পোস্ট পুলিশের কাছে আপত্তিকর মনে হচ্ছে, তাদের নোটিশ পাঠিয়ে পোস্ট মুছে দিতে বলা হচ্ছে। আবার পুলিশ সদর দফতরে ডাকও পড়ছে কারও কারও।

পুলিশ যাদের ইতোমধ্যে ডেকে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সংসদ সদস্য, একজন নামকরা চিকিৎসক এবং একজন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

ভারতের স্থানীয় সংবাদপত্রে পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে লেখা হচ্ছে যে এরকম প্রায় ২০০ জন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

কোনো একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমের ওপরে এ ধরণের পুলিশি নজরদারি এর আগে দেখা যায় নি।

তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের নেতা ও সংসদ সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় এ ঘটনা নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন। নামকরা শল্য চিকিৎসক কুনাল সরকার একটি ইউটিউব ভিডিও করেছিলেন ওই ধর্ষণ ও হত্যার বিষয় নিয়ে। এদের দুজনকেও ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বারবার নিজেরাই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আহ্বান জানাচ্ছে যে, আরজি করের ঘটনা নিয়ে বহু গুজব ও ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। নাগরিকদের এ ধরণের তথ্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।

একই সঙ্গে, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও ভুয়া তথ্য না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ও খুন হওয়া চিকিৎসকের পরিবার-পরিজনও।
তবে, সামাজিক মাধ্যমে এভাবে পুলিশি নজরদারি যেমন আগে দেখা যায় নি, তেমনই একের পর এক অভাবনীয় প্রতিবাদ হচ্ছে আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ চলছে এখনও। নানা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিলে নামছে কলকাতা এবং মফস্বল শহরগুলোতে।

সোমবারও শহর জুড়ে নানা বিক্ষোভ মিছিল, জমায়েত হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিবাদ হচ্ছে রাজ্যের বাইরেও। সারা দেশে জুনিয়র এবং রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা