Dhaka ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • ১১০ Time View

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ শিরোপা বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছিল ২০১৩ সালে। এরপর চার-চারবার সেমিফাইনালে উঠেছিল জার্মানির ক্লাবটি। চারবারই বিদায় নিয়েছিল শেষ চার থেকে।

এ বছর কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেমিতে লিঁওকে হারিয়ে সাত বছর পর আবার ফাইনালে নাম লেখায় বাভারিয়ানরা। রোববার (২৩ আগস্ট) রাতে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ১-০ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুললো তারা। মাথায় পরলো ইউরোপ সেরার মুকুট।

অন্যদিকে প্রথম শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল পিএসজির সামনে। রোনালদো-মেসির বিদায়ের পর নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল নেইমারের সামনে। কিন্তু না পেরেছে পিএসজি ইতিহাস গড়তে, না পেরেছে নেইমার নায়ক হতে। পুরো মৌসুমে দাপট দেখিয়ে আসা সেরা দলটিই জিতে নিয়েছে ইউরোপ সেরার মুকুট। জিতে নিয়েছে ট্রেবল।

জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন কিংসলে কোমান। তাকে গোলে সহায়তা করেছেন জশুয়া খিমিচ।

পুর্তগালের লিসবনে রোববার রাতে ম্যাচের ১৬ মিনিটে নেইমার সুযোগ পেযেছিলেন গোলের। কিন্তু তার নেওয়া শট দুইবার ফেরে বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের পায়ে লেগে। ২২ মিনিটে বায়ার্নের রবার্ত লেভানডোফস্কির নেওয়া শট পিএসজির কেইলর নাভাস ধরতে পারেননি। নিশ্চিত গোল হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যের শিকে ছিড়েনি পোল্যান্ডের এই ফুটবলারের। তার নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

২৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু মিস করেন এই আর্জেন্টাইন। তার নেওয়া শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনেটে লেভানডোফোস্কি আরো একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময় তার নেওয়া হেড পাঞ্চ করে ফেরান নাভাস। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডি বক্সের মধ্যে গোলরক্ষকে একা পেয়েছিলেন কালিয়ান এমবাপে। কিন্তু তিনি সরাসরি মেরে দেন নয়্যারের পায়ে!

তাতে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতির পর ৫৯ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় বায়ার্ন। এ সময় বাম দিক থেকে জশুয়া খিমিচের ক্রসে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেড নেন কিংসলে কোমান। বল নিরাপদে জালে আশ্রয় নেয় (১-০)।

৬৯ মিনিটে পিএসজির মার্কুইনহোস গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ম্যানুয়াল নয়্যারের পায়ে মেরে দেন। তাতে সমতা ফেরানো হয় না ফঁরাসি ক্লাবটির। এর যোগ করা সময়ে এমবাপে ও নেইমার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু জালে জড়াতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে নেইমার বলে পা লাগাতে পারলেও গোল হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যদ্বেবী মুখ তুলে তাকাননি। ফলে সমতা ফেরানোও হয়নি। হয়নি প্রথমবার ফাইনালে এসে শিরোপা জয়।

শেষ ষোলো থেকে ফাইনাল পর্যন্ত বায়ার্ন প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ১৯ বার। পক্ষান্তরে তারা গোল হজম করেছে মাত্র ৩টি। শেষ ষোলোর দুই লেগে চেলসিকে তারা হারায় ৭-১ গোলে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দেয় ৮-২ গোলে। সেমিফাইনালে লিঁওকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে। ফাইনালে পিএসজিকে হারালো ১-০ গোলে। করোনার কারণে এবার অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল ডাবল লেগে হয়নি। তাহলে বায়ার্নের গোল সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকতো বলা মুশকিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

Update Time : ০২:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ শিরোপা বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছিল ২০১৩ সালে। এরপর চার-চারবার সেমিফাইনালে উঠেছিল জার্মানির ক্লাবটি। চারবারই বিদায় নিয়েছিল শেষ চার থেকে।

এ বছর কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেমিতে লিঁওকে হারিয়ে সাত বছর পর আবার ফাইনালে নাম লেখায় বাভারিয়ানরা। রোববার (২৩ আগস্ট) রাতে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ১-০ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুললো তারা। মাথায় পরলো ইউরোপ সেরার মুকুট।

অন্যদিকে প্রথম শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল পিএসজির সামনে। রোনালদো-মেসির বিদায়ের পর নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল নেইমারের সামনে। কিন্তু না পেরেছে পিএসজি ইতিহাস গড়তে, না পেরেছে নেইমার নায়ক হতে। পুরো মৌসুমে দাপট দেখিয়ে আসা সেরা দলটিই জিতে নিয়েছে ইউরোপ সেরার মুকুট। জিতে নিয়েছে ট্রেবল।

জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন কিংসলে কোমান। তাকে গোলে সহায়তা করেছেন জশুয়া খিমিচ।

পুর্তগালের লিসবনে রোববার রাতে ম্যাচের ১৬ মিনিটে নেইমার সুযোগ পেযেছিলেন গোলের। কিন্তু তার নেওয়া শট দুইবার ফেরে বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের পায়ে লেগে। ২২ মিনিটে বায়ার্নের রবার্ত লেভানডোফস্কির নেওয়া শট পিএসজির কেইলর নাভাস ধরতে পারেননি। নিশ্চিত গোল হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যের শিকে ছিড়েনি পোল্যান্ডের এই ফুটবলারের। তার নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

২৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু মিস করেন এই আর্জেন্টাইন। তার নেওয়া শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনেটে লেভানডোফোস্কি আরো একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময় তার নেওয়া হেড পাঞ্চ করে ফেরান নাভাস। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডি বক্সের মধ্যে গোলরক্ষকে একা পেয়েছিলেন কালিয়ান এমবাপে। কিন্তু তিনি সরাসরি মেরে দেন নয়্যারের পায়ে!

তাতে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতির পর ৫৯ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় বায়ার্ন। এ সময় বাম দিক থেকে জশুয়া খিমিচের ক্রসে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেড নেন কিংসলে কোমান। বল নিরাপদে জালে আশ্রয় নেয় (১-০)।

৬৯ মিনিটে পিএসজির মার্কুইনহোস গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ম্যানুয়াল নয়্যারের পায়ে মেরে দেন। তাতে সমতা ফেরানো হয় না ফঁরাসি ক্লাবটির। এর যোগ করা সময়ে এমবাপে ও নেইমার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু জালে জড়াতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে নেইমার বলে পা লাগাতে পারলেও গোল হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যদ্বেবী মুখ তুলে তাকাননি। ফলে সমতা ফেরানোও হয়নি। হয়নি প্রথমবার ফাইনালে এসে শিরোপা জয়।

শেষ ষোলো থেকে ফাইনাল পর্যন্ত বায়ার্ন প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ১৯ বার। পক্ষান্তরে তারা গোল হজম করেছে মাত্র ৩টি। শেষ ষোলোর দুই লেগে চেলসিকে তারা হারায় ৭-১ গোলে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দেয় ৮-২ গোলে। সেমিফাইনালে লিঁওকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে। ফাইনালে পিএসজিকে হারালো ১-০ গোলে। করোনার কারণে এবার অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল ডাবল লেগে হয়নি। তাহলে বায়ার্নের গোল সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকতো বলা মুশকিল।