Dhaka ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে ছেলেদের নতুন পোশাকে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ২৫ Time View

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জমে উঠেছে মার্কেট, শপিংমলে নতুন কাপড়ের কেনা-বেচা। এক্ষেত্রে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও নানা ডিজাইন এবং নতুন ট্রেন্ডের বিপুল পরিমাণ পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে।

আবহাওয়া, চাহিদা এবং ক্রেতার পছন্দ মাথায় রেখে প্রতিবারের মতো এবারও ফ্যাশন হাউস এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের আউটলেটগুলোতে ছেলেদের ঈদের পোশাকের জন্য বিশেষ সংগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে। আর সেসব পোশাকে দেখা গেছে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সুন্দর মিশ্রণ।

রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুর এলাকার কয়েকটি মার্কেট ও ব্রান্ডের আউটলেটগুলোতে ছেলেদের বিপুল পরিমাণ পোশাকের সমাহার দেখা গেছে।

যার মধ্যে ছেলেদের শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি, কুর্তা, জোব্বা, শার্ট-প্যান্ট রয়েছে। আর এসব পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, কটন, সিল্কসহ বিভিন্ন কাপড়।

রয়েছে রঙের বিভিন্নতাও। সাদা, নীল, সবুজ, সোনালি এবং কালো রঙের শেরওয়ানি ও পাঞ্জাবি বিশেষভাবে নজর কাড়ছে। তেমনি ফ্যাশন হাউসগুলো তরুণদের জন্য আধুনিক এবং স্টাইলিশ পোশাকের আয়োজনও করেছে। এছাড়া, পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচিং পায়জামা-প্যান্ট বা শালওয়ারের কালেকশনও দেখা গেছে।

এছাড়া পাঞ্জাবির ডিজাইনে রয়েছে নানান ধরনের নকশা। এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড-স্টিচ, এবং ডিজাইন করা বাটনে পোশাকের নান্দনিকতা এবং সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী, আধুনিকতা ও স্টাইল এই তিনের সমন্বয়ও দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন রুচির মাপকাঠি অনুযায়ী, রঙের ব্যবহারেও এসেছে পরিবর্তন। আগে যেখানে সাদা ও সোনালি রঙের আধিক্য ছিল, সেখানে বর্তমানে নীল, মেরুন, কালো, সবুজ ও হালকা গোলাপি রঙের পোশাক ছেলেদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এমনকি, কিছু ফ্যাশন হাউসে বিশেষভাবে ঈদ উপলক্ষ্যে ‘লিমিটেড এডিশন’ হিসেবেও রঙের কিছু এক্সক্লুসিভ কালেকশনও বের করেছে।

আবার, কিছু ব্রান্ডের আউটলেটগুলোতে ঈদ উপলক্ষ্যে ছেলেদের পোশাকের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট অফারও দেওয়া হয়েছে।

মিরপুরের ইসিবি চত্বর মোড়ের ইজি ফ্যাশন লিমিটেডের আউটলেট ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, আমাদের এখানে জুতা ছাড়া ছেলেদের সব ধরনের পোশাক রয়েছে। প্যান্ট-শার্ট, পায়জামা-পাঞ্জাবি, টিশার্ট, পলো শার্ট এবং বাচ্চাদের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে। যার মধ্যে সুতি কাপড়ের সংখ্যাই বেশি। আর পোশাকের দামও সবার নাগালের মধ্যেই রয়েছে। আবার কিছু নির্দিষ্ট পোশাকের ওপর ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।

দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে পলো টিশার্ট সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৮০ টাকা, সুতি কাপড়ের ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল ফিট শার্ট সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫৯০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং পাঞ্জাবি ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে দাম শুরু হচ্ছে।

একই এলাকার টরি লিমিটেডের আউটলেটেও দেখা গেছে ঈদ ঘিরে নানা পোশাকের সমারোহের। সেখানেও প্রিমিয়াম ও সাধারণ মানের পাঞ্জাবি, টিশার্ট, শার্টের কালেকশন রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু পাঞ্জাবিতে এবং টিশার্টে ৪০-৫০ শতাংশ ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।

আরিফ নামের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, আমাদের এখানে এখনো তেমন বেচাকেনা শুরু হয়নি। মূলত, রোজার শেষ দশকে এখানে ভিড় বাড়ে। সেদিক বিবেচনায় রেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কেনা-বেচা বেশ ভালোই হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদ কেনাকাটায় তারা হালকা কাপড়ের পোশাককে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ, গরমের দিন আবহাওয়া উপযোগী কাপড় না হলে ঈদ উদ্‌যাপনের আনন্দে ভাটা পড়তে পারে।

মোহাইমিনুল ইসলাম নামের এক তরুণ ক্রেতা বলেন, এবারের ঈদ পুরোপুরি গরমের মধ্যে পড়বে। সেজন্য কেনাকাটায় হালকা কাপড়ের পোশাকের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। বেশি তাপমাত্রায় আরামদায়ক পোশাক না হলে সেটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং টিশার্টই পছন্দের শীর্ষে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ঈদে ছেলেদের নতুন পোশাকে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ

Update Time : ১২:৪২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জমে উঠেছে মার্কেট, শপিংমলে নতুন কাপড়ের কেনা-বেচা। এক্ষেত্রে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও নানা ডিজাইন এবং নতুন ট্রেন্ডের বিপুল পরিমাণ পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে।

আবহাওয়া, চাহিদা এবং ক্রেতার পছন্দ মাথায় রেখে প্রতিবারের মতো এবারও ফ্যাশন হাউস এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের আউটলেটগুলোতে ছেলেদের ঈদের পোশাকের জন্য বিশেষ সংগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে। আর সেসব পোশাকে দেখা গেছে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সুন্দর মিশ্রণ।

রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুর এলাকার কয়েকটি মার্কেট ও ব্রান্ডের আউটলেটগুলোতে ছেলেদের বিপুল পরিমাণ পোশাকের সমাহার দেখা গেছে।

যার মধ্যে ছেলেদের শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি, কুর্তা, জোব্বা, শার্ট-প্যান্ট রয়েছে। আর এসব পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, কটন, সিল্কসহ বিভিন্ন কাপড়।

রয়েছে রঙের বিভিন্নতাও। সাদা, নীল, সবুজ, সোনালি এবং কালো রঙের শেরওয়ানি ও পাঞ্জাবি বিশেষভাবে নজর কাড়ছে। তেমনি ফ্যাশন হাউসগুলো তরুণদের জন্য আধুনিক এবং স্টাইলিশ পোশাকের আয়োজনও করেছে। এছাড়া, পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচিং পায়জামা-প্যান্ট বা শালওয়ারের কালেকশনও দেখা গেছে।

এছাড়া পাঞ্জাবির ডিজাইনে রয়েছে নানান ধরনের নকশা। এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড-স্টিচ, এবং ডিজাইন করা বাটনে পোশাকের নান্দনিকতা এবং সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী, আধুনিকতা ও স্টাইল এই তিনের সমন্বয়ও দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন রুচির মাপকাঠি অনুযায়ী, রঙের ব্যবহারেও এসেছে পরিবর্তন। আগে যেখানে সাদা ও সোনালি রঙের আধিক্য ছিল, সেখানে বর্তমানে নীল, মেরুন, কালো, সবুজ ও হালকা গোলাপি রঙের পোশাক ছেলেদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এমনকি, কিছু ফ্যাশন হাউসে বিশেষভাবে ঈদ উপলক্ষ্যে ‘লিমিটেড এডিশন’ হিসেবেও রঙের কিছু এক্সক্লুসিভ কালেকশনও বের করেছে।

আবার, কিছু ব্রান্ডের আউটলেটগুলোতে ঈদ উপলক্ষ্যে ছেলেদের পোশাকের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট অফারও দেওয়া হয়েছে।

মিরপুরের ইসিবি চত্বর মোড়ের ইজি ফ্যাশন লিমিটেডের আউটলেট ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, আমাদের এখানে জুতা ছাড়া ছেলেদের সব ধরনের পোশাক রয়েছে। প্যান্ট-শার্ট, পায়জামা-পাঞ্জাবি, টিশার্ট, পলো শার্ট এবং বাচ্চাদের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে। যার মধ্যে সুতি কাপড়ের সংখ্যাই বেশি। আর পোশাকের দামও সবার নাগালের মধ্যেই রয়েছে। আবার কিছু নির্দিষ্ট পোশাকের ওপর ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।

দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে পলো টিশার্ট সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৮০ টাকা, সুতি কাপড়ের ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল ফিট শার্ট সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫৯০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং পাঞ্জাবি ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে দাম শুরু হচ্ছে।

একই এলাকার টরি লিমিটেডের আউটলেটেও দেখা গেছে ঈদ ঘিরে নানা পোশাকের সমারোহের। সেখানেও প্রিমিয়াম ও সাধারণ মানের পাঞ্জাবি, টিশার্ট, শার্টের কালেকশন রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু পাঞ্জাবিতে এবং টিশার্টে ৪০-৫০ শতাংশ ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।

আরিফ নামের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, আমাদের এখানে এখনো তেমন বেচাকেনা শুরু হয়নি। মূলত, রোজার শেষ দশকে এখানে ভিড় বাড়ে। সেদিক বিবেচনায় রেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কেনা-বেচা বেশ ভালোই হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদ কেনাকাটায় তারা হালকা কাপড়ের পোশাককে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ, গরমের দিন আবহাওয়া উপযোগী কাপড় না হলে ঈদ উদ্‌যাপনের আনন্দে ভাটা পড়তে পারে।

মোহাইমিনুল ইসলাম নামের এক তরুণ ক্রেতা বলেন, এবারের ঈদ পুরোপুরি গরমের মধ্যে পড়বে। সেজন্য কেনাকাটায় হালকা কাপড়ের পোশাকের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। বেশি তাপমাত্রায় আরামদায়ক পোশাক না হলে সেটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং টিশার্টই পছন্দের শীর্ষে।