Dhaka ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে র‍্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • ২৮ Time View

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং মোবাইল ফোর্স কাজ করবে র‍্যাব।

মো. মাহবুব আলম বলেন, আর কয়েকদিন পরেই আসন্ন ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আমরা র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক এই ঈদকে নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনটি স্তরে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। প্রথম স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা যেসব জনবহুল শপিং সেন্টার আছে, সেসব স্থানগুলোতে এবং এর আশেপাশে আমাদের ২৪টি পেট্রোল টিম টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দ্বিতীয় স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা অন্যান্য যেসব শপিং সেন্টার আছে, যেখানে ছিনতাই বা অজ্ঞান পার্টি বা মলমপার্টি এ ধরনের চক্রগুলো সক্রিয়, সেসব এলাকায় আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং আমরা যেকোনো ধরনের তথ্য পেলে প্রাথমিকভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তৃতীয় পর্যায়ে আমাদের কাছে স্ট্রাইকিং মোবাইল রিজার্ভ থাকবে, যেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোন স্থানে যদি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়, বেশি ভাড়া আদায় করা ও চাঁদাবাজির কোনো সিন্ডিকেট যদি আমরা শনাক্ত করতে পারি অথবা অন্যকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স স্বল্প সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে। আপাতত এভাবেই আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, সবাই যাতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে, তার জন্য আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে দুটি অনুরোধ থাকবে। আপনারা যখন ঢাকা থেকে আপনাদের নিজ গৃহের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন, তখন ঢাকায় আপনাদের যে আবাসস্থল আছে, সেখানে আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, ততটা নিশ্চিত করে যাবেন। আর দ্বিতীয়ত, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচল করার সময় কারো সঙ্গে সখ্যতা না গড়ে অথবা অপরিচিত কারো কাছ থেকে যেন কিছু না খাই। যেটার কারণে সাধারণত আমরা মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ি। এই ব্যাপারে যেন আমরা সতর্ক থাকি। এই দুটি অনুরোধ আমাদের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণের প্রতি থাকবে। আর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে এবং পরে আমাদের র‍্যাব এখনও মাঠে আছে এবং সবসময় মাঠে থাকবে।

ঈদে ফাঁকা রাজধানীতে আপনাদের কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত আমাদের নিরাপত্তা বাস স্টেশন এবং বিপণিবিতান কেন্দ্রিক। যখন ঢাকা শহর আরেকটু ফাঁকা হয়ে যাবে, তখন আমাদের আবাসিক এলাকাগুলোতে আমরা আমাদের টহল কার্যক্রমগুলো বৃদ্ধি করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে র‍্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তা

Update Time : ০৬:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং মোবাইল ফোর্স কাজ করবে র‍্যাব।

মো. মাহবুব আলম বলেন, আর কয়েকদিন পরেই আসন্ন ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আমরা র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক এই ঈদকে নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনটি স্তরে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। প্রথম স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা যেসব জনবহুল শপিং সেন্টার আছে, সেসব স্থানগুলোতে এবং এর আশেপাশে আমাদের ২৪টি পেট্রোল টিম টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দ্বিতীয় স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা অন্যান্য যেসব শপিং সেন্টার আছে, যেখানে ছিনতাই বা অজ্ঞান পার্টি বা মলমপার্টি এ ধরনের চক্রগুলো সক্রিয়, সেসব এলাকায় আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং আমরা যেকোনো ধরনের তথ্য পেলে প্রাথমিকভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তৃতীয় পর্যায়ে আমাদের কাছে স্ট্রাইকিং মোবাইল রিজার্ভ থাকবে, যেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোন স্থানে যদি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়, বেশি ভাড়া আদায় করা ও চাঁদাবাজির কোনো সিন্ডিকেট যদি আমরা শনাক্ত করতে পারি অথবা অন্যকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স স্বল্প সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে। আপাতত এভাবেই আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, সবাই যাতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে, তার জন্য আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে দুটি অনুরোধ থাকবে। আপনারা যখন ঢাকা থেকে আপনাদের নিজ গৃহের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন, তখন ঢাকায় আপনাদের যে আবাসস্থল আছে, সেখানে আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, ততটা নিশ্চিত করে যাবেন। আর দ্বিতীয়ত, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচল করার সময় কারো সঙ্গে সখ্যতা না গড়ে অথবা অপরিচিত কারো কাছ থেকে যেন কিছু না খাই। যেটার কারণে সাধারণত আমরা মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ি। এই ব্যাপারে যেন আমরা সতর্ক থাকি। এই দুটি অনুরোধ আমাদের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণের প্রতি থাকবে। আর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে এবং পরে আমাদের র‍্যাব এখনও মাঠে আছে এবং সবসময় মাঠে থাকবে।

ঈদে ফাঁকা রাজধানীতে আপনাদের কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত আমাদের নিরাপত্তা বাস স্টেশন এবং বিপণিবিতান কেন্দ্রিক। যখন ঢাকা শহর আরেকটু ফাঁকা হয়ে যাবে, তখন আমাদের আবাসিক এলাকাগুলোতে আমরা আমাদের টহল কার্যক্রমগুলো বৃদ্ধি করবো।