Dhaka ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্থিক সঙ্কট নিরসনে কেন্দ্রীয় সরকারের প্যাকেজ ফলদায়ী নয়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • ৪৪ Time View

সরোজ উপাধ্যায়, বিশেষ প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ:

করোনা কালে ভারতে যে বিপুল আর্থিক সঙ্কট চলছে তার নিরসন কল্পে চাহিদা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

চাহিদার অভাবে আর্থিক গতি হ্রাস পাচ্ছে ।চাহিদা বাড়লে উৎপাদন বাড়বে ও জোগান বাড়াতে হবে ।তখন অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে । আরও বিনিয়োগ বাড়বে ।
চাহিদা বাড়াতে অর্থের যোগান বাড়াতে হবে ।করোনা আবহে বহু লোক কর্মচ্যুত হয়েছেন ।এখন সাধারণ লোকের হাতে অর্থের যোগান দরকার ।নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ্ অমর্ত্য সেন ও অভিজিত বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছেন টাকা ছাপিয়ে গরীবকে দেয়া ।এক্ষেত্রে অনেকে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা করেন । রাজকোষ ঘাটতির আশঙ্কা থাকে ।তবে এই অসুবিধা গুলো হলো সাময়িক ।উৎপাদন বাড়লে এই অসুবিধা গুলো দূর হয়ে যাবে ও কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে ।গরীব মানুষের হাতে অর্থ যোগানের আরো ও একটি উপায় 100 দিনের মতো উন্নয়ন মূলক কাজ কে বাড়িয়ে দেওয়া ।
তাতে কর্ম সংস্থান আর্থিক যোগান ও চাহিদা বেড়ে চলবে ।
এই পথগুলি অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী স্থায়ী ফলদান করে ।কিন্তু নির্মলা সীতারমণ তথা মোদী সরকার খালি ঋণ দানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।আটটি মহানগরের বাইরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি কল্পে সস্তায় ঋণ অতিক্ষুদ্র মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বৃদ্ধির জন্য ঋণ দান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই ঋণ দিলেই কি বিনিয়োগ বাড়বে? বিনিয়োগের একটা দিশা লক্ষ্য ও ইঙ্গিত থাকে ।কিন্তু ক্ষুদ্র শিল্পের প্রকল্প গুলিতে সেই জিনিসটার অভাব।এই ঋণগুলি ব্যাঙ্কগুলি থেকে দেওয়া হবে ।তাতে নাকি কোন কোন ক্ষেত্রে রাষ্ট্র গ্যারান্টার হিসেবে থাকবে ।এই ঋণ গুলি যদি অপরিকল্পিত ভাবে নিয়ে শোধ না করা হয় তাহলে তো ব্যাঙ্কগুলির ওপর নতুন করে অনাদায়ী ঋণের চাপ বাড়বে ও সেগুলির নিরসনে সরকারের ঘাটতি ও বেড়ে চলবে ।ঋণখেলাপীরা টাকা আত্মসাৎ করলে দেশে কোন সম্পদ বাড়বে না।তাতে করে মূল সমস্যার কোন সমাধান হবে না ।সরকারের উচিত টাকা নিজের উদ্যোগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ করা।তাহলে আরও কার্যকরীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছোবে।পরিকাঠামো সে স্বাস্থ্য হোক বা সড়ক হোক আরও উন্নত হবে এবং বিনিয়োগের একটা অর্থ থাকবে ।সরকার দায়সারা গোছের কিছু অবাস্তব পন্থা
বIদলালে তার কোন কার্যকারিতা থাকে না । বেসরকারি ক্ষেত্র সঙ্কট নিরসনে কখনই কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে না ।নেতৃত্ব দিতে হয় সরকারকেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আর্থিক সঙ্কট নিরসনে কেন্দ্রীয় সরকারের প্যাকেজ ফলদায়ী নয়

Update Time : ০১:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

সরোজ উপাধ্যায়, বিশেষ প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ:

করোনা কালে ভারতে যে বিপুল আর্থিক সঙ্কট চলছে তার নিরসন কল্পে চাহিদা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

চাহিদার অভাবে আর্থিক গতি হ্রাস পাচ্ছে ।চাহিদা বাড়লে উৎপাদন বাড়বে ও জোগান বাড়াতে হবে ।তখন অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে । আরও বিনিয়োগ বাড়বে ।
চাহিদা বাড়াতে অর্থের যোগান বাড়াতে হবে ।করোনা আবহে বহু লোক কর্মচ্যুত হয়েছেন ।এখন সাধারণ লোকের হাতে অর্থের যোগান দরকার ।নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ্ অমর্ত্য সেন ও অভিজিত বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছেন টাকা ছাপিয়ে গরীবকে দেয়া ।এক্ষেত্রে অনেকে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা করেন । রাজকোষ ঘাটতির আশঙ্কা থাকে ।তবে এই অসুবিধা গুলো হলো সাময়িক ।উৎপাদন বাড়লে এই অসুবিধা গুলো দূর হয়ে যাবে ও কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে ।গরীব মানুষের হাতে অর্থ যোগানের আরো ও একটি উপায় 100 দিনের মতো উন্নয়ন মূলক কাজ কে বাড়িয়ে দেওয়া ।
তাতে কর্ম সংস্থান আর্থিক যোগান ও চাহিদা বেড়ে চলবে ।
এই পথগুলি অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী স্থায়ী ফলদান করে ।কিন্তু নির্মলা সীতারমণ তথা মোদী সরকার খালি ঋণ দানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।আটটি মহানগরের বাইরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি কল্পে সস্তায় ঋণ অতিক্ষুদ্র মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বৃদ্ধির জন্য ঋণ দান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই ঋণ দিলেই কি বিনিয়োগ বাড়বে? বিনিয়োগের একটা দিশা লক্ষ্য ও ইঙ্গিত থাকে ।কিন্তু ক্ষুদ্র শিল্পের প্রকল্প গুলিতে সেই জিনিসটার অভাব।এই ঋণগুলি ব্যাঙ্কগুলি থেকে দেওয়া হবে ।তাতে নাকি কোন কোন ক্ষেত্রে রাষ্ট্র গ্যারান্টার হিসেবে থাকবে ।এই ঋণ গুলি যদি অপরিকল্পিত ভাবে নিয়ে শোধ না করা হয় তাহলে তো ব্যাঙ্কগুলির ওপর নতুন করে অনাদায়ী ঋণের চাপ বাড়বে ও সেগুলির নিরসনে সরকারের ঘাটতি ও বেড়ে চলবে ।ঋণখেলাপীরা টাকা আত্মসাৎ করলে দেশে কোন সম্পদ বাড়বে না।তাতে করে মূল সমস্যার কোন সমাধান হবে না ।সরকারের উচিত টাকা নিজের উদ্যোগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ করা।তাহলে আরও কার্যকরীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছোবে।পরিকাঠামো সে স্বাস্থ্য হোক বা সড়ক হোক আরও উন্নত হবে এবং বিনিয়োগের একটা অর্থ থাকবে ।সরকার দায়সারা গোছের কিছু অবাস্তব পন্থা
বIদলালে তার কোন কার্যকারিতা থাকে না । বেসরকারি ক্ষেত্র সঙ্কট নিরসনে কখনই কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে না ।নেতৃত্ব দিতে হয় সরকারকেই।