Dhaka ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার মন্ত্রী-বিধায়কদের যেহেতু গ্রেফতার করা হচ্ছে তাহলে আমাকেও গ্রেফতার করুন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • ১৬০ Time View

মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ:

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আর এই গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেছেন দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তার করতেও সিবিআই কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন মমতা।

ভারতের তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) সোমবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে চাঞ্চল্যকর নারদ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন ও পৌরসভা বিষয়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং রাজ্য বিধানসভা সদস্য মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার সকালে প্রথমে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই তাকে বাইরে নিয়ে আসা হন।

নারদা কাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। একইসাথে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয় বিধায়ক মদন মিত্র, সাবেক মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। নিয়ে আসা হয় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। এরপরই তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

মমতার দাবি করে বলেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে যখন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তখন আমাকেও গ্রেফতার করতে হবে। নিজাম প্যালেসে ঢোকার আগে তিনি বলেন, দলের গ্রেফতার হওয়ায় নেতাদের দেখতে এসেছেন। তবে এভাবে আইনজীবী না নিয়ে কারও সঙ্গে দেখা করা যায় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

তৃণমূল নেতা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সবাই বিধানসভার সদস্য। দুর্নীতির মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করতে হলে বিধানসভা স্পিকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। সিবিআই সেই অনুমতি নেয়নি। তাছাড়া তাদের গ্রেপ্তারের আগে আগাম কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। ফলে, গোটা প্রক্রিয়াটিই বেআইনি হয়েছে।’

এদিকে বেলা গড়াতেই নিল নিজাম প্যালেসের সামনের রাস্তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভের মধ্যেই ধস্তাধস্তি শুরু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিক্ষোভকারীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটি বৃষ্টি শুরু করে। তাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আমার মন্ত্রী-বিধায়কদের যেহেতু গ্রেফতার করা হচ্ছে তাহলে আমাকেও গ্রেফতার করুন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Update Time : ০৯:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ:

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আর এই গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেছেন দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তার করতেও সিবিআই কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন মমতা।

ভারতের তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) সোমবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে চাঞ্চল্যকর নারদ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন ও পৌরসভা বিষয়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং রাজ্য বিধানসভা সদস্য মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার সকালে প্রথমে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই তাকে বাইরে নিয়ে আসা হন।

নারদা কাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। একইসাথে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয় বিধায়ক মদন মিত্র, সাবেক মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। নিয়ে আসা হয় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। এরপরই তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

মমতার দাবি করে বলেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে যখন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তখন আমাকেও গ্রেফতার করতে হবে। নিজাম প্যালেসে ঢোকার আগে তিনি বলেন, দলের গ্রেফতার হওয়ায় নেতাদের দেখতে এসেছেন। তবে এভাবে আইনজীবী না নিয়ে কারও সঙ্গে দেখা করা যায় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

তৃণমূল নেতা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সবাই বিধানসভার সদস্য। দুর্নীতির মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করতে হলে বিধানসভা স্পিকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। সিবিআই সেই অনুমতি নেয়নি। তাছাড়া তাদের গ্রেপ্তারের আগে আগাম কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। ফলে, গোটা প্রক্রিয়াটিই বেআইনি হয়েছে।’

এদিকে বেলা গড়াতেই নিল নিজাম প্যালেসের সামনের রাস্তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভের মধ্যেই ধস্তাধস্তি শুরু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিক্ষোভকারীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটি বৃষ্টি শুরু করে। তাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।