Dhaka ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারও বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
  • 145

সময়ের চাকা ঘুরেছে চার বছর। আবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচন। তবে চিত্র বদলায়নি। আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।

এই নিয়ে টানা চতুর্থবার বাফুফে প্রধান হলেন তিনি। আর সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। অনানুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি জানিয়েছে বাফুফের একটি সূত্র।

বাফুফে নির্বাচনে এবার সভাপতি পদে বিজয়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৯৪টি। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক ১টি ও বাদল রায় ৪০টি ভোট পেয়েছেন। আর সহ-সভাপতি পদে সালাম মুর্শেদী ভোট পেয়েছেন ৯১টি। প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি।

ভোট গণনার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন ছোট ব্রিফিংয়ে জানান, সবার আগে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতির ভোট গণনা করা হবে। সেই অনুযায়ী অনানুষ্ঠানিকভাবে এই ফল জানা গেছে।

অথচ অনেকদিন থেকেই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কর্মকাণ্ডের ব্যবচ্ছেদ হয়ে আসছিলেন সালাউদ্দিন। মূলত তার কাছে যে প্রত্যাশা ছিল ফুটবল অনুরাগীদের তা পূরণ না হয়নি। তাকে নিয়ে তাই সমালোচনায় মাতে ফুটবলভক্তরা। এমনকি শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভোট চলাকালীন সময়েও বাইরে একদল সমর্থক তার বিপক্ষে বিক্ষোভ করেছেন।

এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। মেজর জেনারেল আমিন আহমেদকে হারিয়ে সেবার দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের চেয়ার জেতেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

পরের দফায় অবশ্য নির্বাচন করতে হয়নি সালাউদ্দিনকে। ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৬ বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে কামরুল আশরাফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বাফুফে সভাপতি হন দেশের ফুটবলের এ কিংবদন্তি।

সভাপতি পদটি ছাড়া আরও ২০টি পদে মোট ৪৭ জন প্রার্থী লড়াই করেছেন এবারের নির্বাচনে। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়েছেন দুজন। সম্মিলিত পরিষদের সালাম মুর্শেদী ও সমন্বয় পরিষদ থেকে থেকে শেখ মোহাম্মদ আসলাম।

চারটি সহ-সভাপতি পদে মোট ৮ জন লড়াই করেছেন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও আমিরুল ইসলাম বাবু। সমন্বয় পরিষদ থেকে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান লড়ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল। আর ১৫টি সদস্য পদে লড়াই করেছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। কমিশনার হিসেবে ছিলেন মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও মোহাতার হোসেইন সাজু।

নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে ভেন্যু হোটেল সোনাগাঁওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ভোটের দিন বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ ও এনএসআইয়ের সদস্যরাও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আবারও বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন

Update Time : ০১:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

সময়ের চাকা ঘুরেছে চার বছর। আবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচন। তবে চিত্র বদলায়নি। আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।

এই নিয়ে টানা চতুর্থবার বাফুফে প্রধান হলেন তিনি। আর সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। অনানুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি জানিয়েছে বাফুফের একটি সূত্র।

বাফুফে নির্বাচনে এবার সভাপতি পদে বিজয়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৯৪টি। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক ১টি ও বাদল রায় ৪০টি ভোট পেয়েছেন। আর সহ-সভাপতি পদে সালাম মুর্শেদী ভোট পেয়েছেন ৯১টি। প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি।

ভোট গণনার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন ছোট ব্রিফিংয়ে জানান, সবার আগে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতির ভোট গণনা করা হবে। সেই অনুযায়ী অনানুষ্ঠানিকভাবে এই ফল জানা গেছে।

অথচ অনেকদিন থেকেই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কর্মকাণ্ডের ব্যবচ্ছেদ হয়ে আসছিলেন সালাউদ্দিন। মূলত তার কাছে যে প্রত্যাশা ছিল ফুটবল অনুরাগীদের তা পূরণ না হয়নি। তাকে নিয়ে তাই সমালোচনায় মাতে ফুটবলভক্তরা। এমনকি শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভোট চলাকালীন সময়েও বাইরে একদল সমর্থক তার বিপক্ষে বিক্ষোভ করেছেন।

এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। মেজর জেনারেল আমিন আহমেদকে হারিয়ে সেবার দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের চেয়ার জেতেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

পরের দফায় অবশ্য নির্বাচন করতে হয়নি সালাউদ্দিনকে। ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৬ বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে কামরুল আশরাফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বাফুফে সভাপতি হন দেশের ফুটবলের এ কিংবদন্তি।

সভাপতি পদটি ছাড়া আরও ২০টি পদে মোট ৪৭ জন প্রার্থী লড়াই করেছেন এবারের নির্বাচনে। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়েছেন দুজন। সম্মিলিত পরিষদের সালাম মুর্শেদী ও সমন্বয় পরিষদ থেকে থেকে শেখ মোহাম্মদ আসলাম।

চারটি সহ-সভাপতি পদে মোট ৮ জন লড়াই করেছেন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও আমিরুল ইসলাম বাবু। সমন্বয় পরিষদ থেকে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান লড়ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল। আর ১৫টি সদস্য পদে লড়াই করেছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। কমিশনার হিসেবে ছিলেন মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও মোহাতার হোসেইন সাজু।

নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে ভেন্যু হোটেল সোনাগাঁওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ভোটের দিন বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ ও এনএসআইয়ের সদস্যরাও।