Dhaka ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালত আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে : গয়েশ্বর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • ১৩ Time View

আদালত আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট কর্তৃক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। এর ফলে যে সুবিধাটা হয়েছে, অনেকেই ভেবে নিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা সবচেয়ে নিরাপদ। সাংবাদিকরা আগে বলতো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা হতো। তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয়। সংবাদপত্রের মালিক বা প্রকাশকের স্বাধীনতাই মূল স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, কিছু মিডিয়ার মালিক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে, ফলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করে না। অনেক মিডিয়ার পয়সার অভাব নেই, কিন্তু সাংবাদিকদের ঠিকমতো বেতন দেয় না।

গয়েশ্বর বলেন, কোর্ট আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে। প্রায়ই সেখানে যেতে হয়। আজকের প্রধান উপদেষ্টার ওপরেও অনেক মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমরা কিন্তু তার প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন তিনি তার বিরুদ্ধের সব মামলা প্রত্যাহার করে চেয়ারে বসেছেন, অথচ আমি গয়েশ্বর কেন এখনো কোর্টে হাজিরা দিই?

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট যদি হাসিনা না পালিয়ে পদত্যাগ করতেন, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া লাগতো। তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড় দুই বছর সময় লাগছে কেন? আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের কীসের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করছি?

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী, প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

আদালত আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে : গয়েশ্বর

Update Time : ০৯:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

আদালত আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট কর্তৃক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। এর ফলে যে সুবিধাটা হয়েছে, অনেকেই ভেবে নিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা সবচেয়ে নিরাপদ। সাংবাদিকরা আগে বলতো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা হতো। তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয়। সংবাদপত্রের মালিক বা প্রকাশকের স্বাধীনতাই মূল স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, কিছু মিডিয়ার মালিক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে, ফলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করে না। অনেক মিডিয়ার পয়সার অভাব নেই, কিন্তু সাংবাদিকদের ঠিকমতো বেতন দেয় না।

গয়েশ্বর বলেন, কোর্ট আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে। প্রায়ই সেখানে যেতে হয়। আজকের প্রধান উপদেষ্টার ওপরেও অনেক মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমরা কিন্তু তার প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন তিনি তার বিরুদ্ধের সব মামলা প্রত্যাহার করে চেয়ারে বসেছেন, অথচ আমি গয়েশ্বর কেন এখনো কোর্টে হাজিরা দিই?

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট যদি হাসিনা না পালিয়ে পদত্যাগ করতেন, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া লাগতো। তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড় দুই বছর সময় লাগছে কেন? আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের কীসের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করছি?

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী, প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।