Dhaka ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • ২২১ Time View

আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এবার এক লাখ দুই হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এর মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের আর ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন।

এদিকে কোনো শিশুর করোনাভাইরাস পজিটিভ হলেও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান। জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুধু শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোনো মারাত্মক অসুস্থতা না থাকলে সে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।

প্রতি বছর জুন মাসে ভিটামিন এ ক্যাপস্যুল ক্যাম্পেইন করা হলেও এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। এবার দুই সপ্তাহ ক্যাম্পেইনের পর অতিরিক্ত চারদিন দেশের দুর্গম অঞ্চলে এ ক্যাম্পেইন চালানো হবে।

জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, এ বছর প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দুই লাখ ৯৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেক দিন একেক কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিন দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন এই সূচি ঘোষণা করবে।

ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন তাদের সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করা হবে। ছয় থেকে ১২ মাস বয়সী আনুমানিক ২০ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ছয় মাসের কম এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সী কোনো শিশু অসুস্থ থাকলে তাকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনো শিশু বাদ পড়লে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

Update Time : ০২:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এবার এক লাখ দুই হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এর মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের আর ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন।

এদিকে কোনো শিশুর করোনাভাইরাস পজিটিভ হলেও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান। জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুধু শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোনো মারাত্মক অসুস্থতা না থাকলে সে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।

প্রতি বছর জুন মাসে ভিটামিন এ ক্যাপস্যুল ক্যাম্পেইন করা হলেও এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। এবার দুই সপ্তাহ ক্যাম্পেইনের পর অতিরিক্ত চারদিন দেশের দুর্গম অঞ্চলে এ ক্যাম্পেইন চালানো হবে।

জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, এ বছর প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দুই লাখ ৯৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেক দিন একেক কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিন দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন এই সূচি ঘোষণা করবে।

ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন তাদের সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করা হবে। ছয় থেকে ১২ মাস বয়সী আনুমানিক ২০ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ছয় মাসের কম এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সী কোনো শিশু অসুস্থ থাকলে তাকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনো শিশু বাদ পড়লে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে।’