Dhaka ০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে বিমানের যাত্রীরা পাশাপাশি সিটগুলোতে বসতে পারবেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৪৩ Time View

আজ রোববার থেকে বিমানের সিটগুলোতে যাত্রী বসা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। এখন থেকে যাত্রীরা পাশাপাশি সিটগুলোতে বসতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আগে এক সিটে যাত্রী বসলে পাশের সিট খালি রাখা হতো। এ নিয়ম আর থাকছে না। পাশাপাশি সিটগুলোতে যাত্রী বসতে পারবে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি প্লেনের শেষ দুটি সারির সিটগুলো খালি রাখতে হবে।

এর আগে গত মে মাসে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা ঠিক করে দেয় বেবিচক। সে সময় তারা বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উড়োজাহাজের এক সিটে বসবেন যাত্রী, পাশের সিট থাকবে ফাঁকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ফ্লাইট পরিচালিত হবে- সেটা অভ্যন্তরীণ রুট হোক বা আন্তর্জাতিক রুট। আইকাওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে বেবিচক।

বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল করলেও উড়োজাহাজের ভেতরে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসতে পারবেন না। যে সিটে যাত্রী বসবেন তার পাশের সিটটি রাখতে হবে ফাঁকা। যদি প্রতি সারিতে তিনটি করে মোট ছয়টি সিট থাকে তাহলে প্রতি সারির মাঝের সিটটি ফাঁকা রাখতে হবে। যদি প্রতি সারিতে দুটি করে চারটি সিট থাকে তাহলে একটি সিটে যাত্রী থাকবে, অপরটি থাকবে ফাঁকা।

বেবিচকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি ফ্লাইটের সামনে অথবা পেছনে একটি সারির সিট খালি রাখতে হবে। ফ্লাইটের মাঝে কোনো যাত্রী যদি অসুস্থ বোধ করেন তাহলে তাকে ওই সারিতে আলাদাভাবে বসাতে হবে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে লন্ডন এবং কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের ফ্লাইটগুলো চালু করা হচ্ছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ওমান ও বাহরাইনের বিমান যোগাযোগ চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই দুই দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে তিন বিদেশি এয়ারলাইন্স।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আজ থেকে বিমানের যাত্রীরা পাশাপাশি সিটগুলোতে বসতে পারবেন

Update Time : ০৫:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

আজ রোববার থেকে বিমানের সিটগুলোতে যাত্রী বসা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। এখন থেকে যাত্রীরা পাশাপাশি সিটগুলোতে বসতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আগে এক সিটে যাত্রী বসলে পাশের সিট খালি রাখা হতো। এ নিয়ম আর থাকছে না। পাশাপাশি সিটগুলোতে যাত্রী বসতে পারবে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি প্লেনের শেষ দুটি সারির সিটগুলো খালি রাখতে হবে।

এর আগে গত মে মাসে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা ঠিক করে দেয় বেবিচক। সে সময় তারা বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উড়োজাহাজের এক সিটে বসবেন যাত্রী, পাশের সিট থাকবে ফাঁকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ফ্লাইট পরিচালিত হবে- সেটা অভ্যন্তরীণ রুট হোক বা আন্তর্জাতিক রুট। আইকাওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে বেবিচক।

বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল করলেও উড়োজাহাজের ভেতরে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসতে পারবেন না। যে সিটে যাত্রী বসবেন তার পাশের সিটটি রাখতে হবে ফাঁকা। যদি প্রতি সারিতে তিনটি করে মোট ছয়টি সিট থাকে তাহলে প্রতি সারির মাঝের সিটটি ফাঁকা রাখতে হবে। যদি প্রতি সারিতে দুটি করে চারটি সিট থাকে তাহলে একটি সিটে যাত্রী থাকবে, অপরটি থাকবে ফাঁকা।

বেবিচকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি ফ্লাইটের সামনে অথবা পেছনে একটি সারির সিট খালি রাখতে হবে। ফ্লাইটের মাঝে কোনো যাত্রী যদি অসুস্থ বোধ করেন তাহলে তাকে ওই সারিতে আলাদাভাবে বসাতে হবে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে লন্ডন এবং কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের ফ্লাইটগুলো চালু করা হচ্ছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ওমান ও বাহরাইনের বিমান যোগাযোগ চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই দুই দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে তিন বিদেশি এয়ারলাইন্স।