Dhaka ১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ ইতিহাসের কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫৩:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • 57

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ তেসরা নভেম্বর-ইতিহাসের কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চার সংগঠক-সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে।

জেলহত্যার বিচার শেষ হলেও, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে এই কলংকের দাগ কখনই মুছবার নয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সপরিবারে হত্যা করার আড়াই মাসের মাথায় তেসরা নভেম্বর খুনিচক্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে হত্যা করে জাতির পিতার প্রধান চার সহযোগীকে। তারা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান।

কারাগারের ভেতর নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর চার নেতার পরিবার জেনেছে আরো একদিন পর চৌঠা নভেম্বর। সেদিন লালবাগ থানায় মামলা করা হলেও, ক্ষমতার পালাবদলে রাজনৈতিক কারণে দুই দশক পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জেল হত্যার বিচার শুরু করে। জাতীয় চার নেতার স্বজনেরা এখনো এই হত্যাকান্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের অপেক্ষায়।

পরাজিত ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান জাতীয় চার নেতার পরিবারের সন্তানেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আজ ইতিহাসের কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস

Update Time : ০৬:৫৩:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ তেসরা নভেম্বর-ইতিহাসের কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চার সংগঠক-সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে।

জেলহত্যার বিচার শেষ হলেও, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে এই কলংকের দাগ কখনই মুছবার নয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সপরিবারে হত্যা করার আড়াই মাসের মাথায় তেসরা নভেম্বর খুনিচক্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে হত্যা করে জাতির পিতার প্রধান চার সহযোগীকে। তারা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান।

কারাগারের ভেতর নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর চার নেতার পরিবার জেনেছে আরো একদিন পর চৌঠা নভেম্বর। সেদিন লালবাগ থানায় মামলা করা হলেও, ক্ষমতার পালাবদলে রাজনৈতিক কারণে দুই দশক পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জেল হত্যার বিচার শুরু করে। জাতীয় চার নেতার স্বজনেরা এখনো এই হত্যাকান্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের অপেক্ষায়।

পরাজিত ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান জাতীয় চার নেতার পরিবারের সন্তানেরা।