Dhaka ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে পুলিশের চাকরি ছাড়লেন ৫ এএসপি তিন দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না : ডিএমপি ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে, এনবিআর যেভাবে ভাগ করা হয়েছে, সেরকমই থাকবে: অর্থ উপদেষ্টা সারাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি, কারামুক্ত হয়ে নুসরাত ফারিয়া ইশরাককে মেয়র ঘোষণা না দিলে সব সেবা বন্ধের হুমকি কর্মচারীদের বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট ফিরে গেল কলকাতায়

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণখেলাপি হবে না

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৫৮ Time View

মহামারি করোনার কারণে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধার সময় আরেক দফা বা‌ড়ি‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপির তালিকায় দেখানো যাবে না। এর আগে, এ‌ সু‌বিধা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোনো কিস্তি পরিশোধ না করলেও গ্রহীতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এ সময়ের মধ্যে ঋণ/বিনিয়োগের ওপর কোনোরকম দণ্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ শ্রেণীকরণের বিষয়ে এ বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ঋণগ্রহীতার ব্যবসায় কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধসূচি নির্ধারণ ও শ্রেণীকরণের নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে উক্ত ঋণ/বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় মেয়াদি ঋণ (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) কিস্তি পরিশোধ এবং চলতি ও তলবি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক যৌক্তিক রিবেট সুবিধা প্রদান করা যাবে। কিস্তি পরিশোধের জন্য বর্ধিত সময়ের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণখেলাপি হবে না

Update Time : ০১:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

মহামারি করোনার কারণে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধার সময় আরেক দফা বা‌ড়ি‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপির তালিকায় দেখানো যাবে না। এর আগে, এ‌ সু‌বিধা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোনো কিস্তি পরিশোধ না করলেও গ্রহীতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এ সময়ের মধ্যে ঋণ/বিনিয়োগের ওপর কোনোরকম দণ্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ শ্রেণীকরণের বিষয়ে এ বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ঋণগ্রহীতার ব্যবসায় কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধসূচি নির্ধারণ ও শ্রেণীকরণের নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে উক্ত ঋণ/বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় মেয়াদি ঋণ (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) কিস্তি পরিশোধ এবং চলতি ও তলবি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক যৌক্তিক রিবেট সুবিধা প্রদান করা যাবে। কিস্তি পরিশোধের জন্য বর্ধিত সময়ের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।